Mandir: মায়ের একটি স্বপ্নাদিষ্ট ওষুধেই সেরে যাচ্ছে রোগ! রোজই ভিড় জমছে মন্দিরে

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Mandir: রোগ সারাতে ছুটে আসেন অসংখ্য ভক্ত, রোজই শয়ে শয়ে মানুষ জমা হয় মায়ের দরবারে। মায়ের একটি স্বপ্নাদিষ্ট ওষুধেই সুস্থ হয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। কথিত আছে, মায়ের দেওয়া এই অব্যর্থ ওষুধ খেয়েই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠত রোগীরা‌। তাই তো দেবীর নামও ধন্বন্তরী। স্বর্গের বৈদ্যরাজ ধন্বন্তরীর মতই রোগ সারিয়ে তুলছেন মা ধন্বন্তরী। জানেন কোথায় রয়েছে এই মন্দির? কীভাবে পৌঁছাবেন এই মায়ের মন্দিরে?

 

বাংলার কোণায় কোণায় ছড়িয়ে রয়েছে বহু সাধন ক্ষেত্র। কোনও ক্ষেত্র সাধকদের সৌজন্যে খ্যাতি লাভ করেছে। তো কোথাও আবার ঈশ্বর নিজেই ভক্তদের টেনে এনেছেন। মন্দিরের আরাধ্য দেবতার অলৌকিক ক্ষমতার বর্ননা শুনে ভক্তরাই এসে ভিড় করেছে সেইসব মন্দিরে। পেয়েছেন ঈশ্বরের আশীর্বাদ। এরকমই এক সাধক ক্ষেত্র রয়েছে আমাদেরই বাংলায়।

 

তবে এই মন্দিরটি আর পাঁচটা মন্দিরের চেয়ে বেশ আলাদা। জাগ্রত তো বটেই, সেই সাথে ভয় ধরানোও বটে। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল, এখানকার আরাধ্য দেবীর স্বপ্নাদেশ। শোনা যায় স্বপ্নাদেশে দেবীর দেওয়া ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়েছেন বহুজন। স্বর্গের বৈদ্যরাজ ধন্বন্তরীর মতই অব্যর্থ্য তাঁর ওষুধ। আর সেই কারণেই দেবীর নামও ধন্বন্তরী। দূরদূরান্ত থেকে লোক ছুটে আসে দেবীর মন্দিরে। প্রায় প্রতিদিনই কাতারে কাতারে লোক জড় হয় এখানে। তবে শনি আর মঙ্গলবার যেন পা ফেলা দায় হয়ে যায়। আর অমাবস্যা, কালীপুজোর সময় তো কোনও কথাই নেই। জানেন কোথায় রয়েছে দেবী ধন্বন্তরীর মন্দির?

 

ভক্তদের মুখ থেকেই শোনা যায়, মন্দিরে এসে মনপ্রাণ দিয়ে দেবীকে ডাকলে দেবী তুষ্ট হন। শরীরে কোনও রোগ থাকলে স্বপ্নাদেশের মাধ্যমে সেই রোগের প্রতিকার জানান তিনি। এমনভাবে বহু মানুষই নাকি সুস্থ হয়েছেন। ভক্তদের থেকে এখানকার দেবীর মহিমা শুনলে রীতিমতো গায়ে কাঁটা দেয়। আপনার শরীরে এমন কোনও রোগ থাকলে একবার মায়ের দরবারে মাথা ঠুকে আসতেই পারেন।

 

তবে তার আগে জানা দরকার যে, মন্দিরটি কোথায় রয়েছে। প্রথমেই জানাই, ৪০০ বছরের পুরনো এই সাধনক্ষেত্রটি রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মজিলপুরে। মজিলপুরের এই ধন্বন্তরী মা-কে দর্শন করতে হলে ট্রেনে করে আসাই সুবিধাজনক। সেক্ষেত্রে আপনাকে নামতে হবে জয়নগর-মজিলপুর স্টেশনে। সেখান থেকে রেললাইন বরাবর মিনিট পাঁচেকের হাঁটা রাস্তা। এরপরেই পড়বে পিচ রাস্তা। সেই রাস্তা থেকে কয়েক পা এগিয়ে গেলেই পেয়ে যাবেন ধন্বন্তরী দেবীর মন্দির।

 

জনশ্রুতি আছে, মজিলপুরের ঠাকুরবাড়ির আদিপুরুষ ছিলেন রাজেন্দ্রলাল চক্রবর্তী। পরবর্তী সময়ে ভৈরবানন্দ নামে এক তন্ত্রসাধকের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন তিনি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, একদা এই ভৈরবানন্দ একটি স্বপ্নাদেশ পান। এবং স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে একটি জলাশয় থেকে ৩০০ বছরের প্রাচীন একটি বিগ্রহ তুলে আনেন তিনি। এবং ইনিই হলেন মা ধন্বন্তরী কালী। যার স্বপ্নাদেশে দেওয়া ওষুধে সেরে যায় অসুখ বিসুখ। হাতে সময় থাকলে একবার মায়ের দর্শন করেই আসুন না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

 

 

 

 

Exit mobile version