Cyclone Mocha: মোকায় ধ্বংসলীলা মায়ানমারে, ডুবে গেছে সিতওয়ে, এ যেন আমফানের স্মৃতি

।। প্রথম কলকাতা ।।

Cyclone Mocha: মোকার তান্ডব মায়ানমার তছনছ হয়ে গেল। জলে ডুবে গিয়েছে সিতওয়ের একাংশ, খাদ্য সংকট শুরু হয়ে গেল। বাংলার আমফানে যা হয়েছিল এ তো একই অবস্থা মায়ানমারের। যতদূর চোখ যায় শুধু ধ্বংসলীলা৷ মোকার জন্য যতটা প্রিকশন বাংলাদেশ মায়ানমার কি নিতে পেরেছিল? যুদ্ধ যুদ্ধ করেই তো শেষ হয়ে যাচ্ছে দেশটা। কিন্তু প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধে হেরে গেল জান্তা সরকার। প্রাণহানি এবং বন্যার আশঙ্কায় অ্যালার্ট জারি করে দিয়েছে সরকার।

১২ ফুট উঁচুতে ওঠা জলোচ্ছাসে কোথায় ভেসেছে, কোথায় আটকে পড়ছে মানুষ। বিবিসি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে গাছ ভেঙে পড়ে ১৪ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মায়ানমারের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর মোকার তাণ্ডবে মায়ানমারে কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যন্ত ৭০০ মানুষের আহত হওয়ার খবর রয়েছে। এদিকে মায়ানমার সেনার জানাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বহু ট্রান্সফর্মার উড়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে একাধিক এলাকার মোবাইল টাওয়ার, ল্যাম্পপোস্ট। কোকো আইল্যান্ডের স্পোর্টস বিল্ডিংয়ের ছাদ উড়ে গিয়েছে। জান্তা সরকার এখনও সরকারি ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলেনি। কিন্তু বিপুল ক্ষতির আশঙ্কাই করছে মায়ানমার প্রশাসন।

মায়ানমারের বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ঝড়ের দাপটে তো হুড়মুড় করে ভেঙেছে টেলিফোনের টাওয়ার। ইন্টারনেট পরিষেবা নেই। তবে এখন সিতওয়ের অবস্থা সবথেকে খারাপ। কারণ সেখানে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে গিয়েছে প্রায় ১০০০ মানুষ সেখানে আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন এ যেন এক অভিশাপ৷ যে যে এলাকা এ দুর্গতির শিকার সেখানে কতটা অ্যাকটিভ প্রশাসন, জান্তা সরকার? সিতওয়ার পাশাপাশি কিয়াউপউ, গওয়া, মান আউং এলাকাতেও তাণ্ডব চালিয়েছে মোকা। এ মুহূ্র্তে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় খাবার পৌঁছে দেওয়া। রবিবার দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটে ওই সময় ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিমি সর্বোচ্চ বেগ ছিল ২১০ কিমি ‘মায়ানমার নাও’ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর রবিবার দুপুর দেড়টায় সিতওয়ায় আছড়ে পড়ে মোকা।

সবথেকে বড় কথা সিতওয়ে বন্দর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সিতওয়ের একটি আশ্রয়কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবী টিন নিনও জানাচ্ছেন বন্দরের তিন লাখ বাসিন্দার মধ্যে চার হাজারেরও বেশি লোককে অন্য শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ শহরের বিভিন্ন মঠ, প্যাগোডা এবং স্কুলের মজবুত ভবনগুলিতে আশ্রয় নিয়েছে। তবে অনেক প্রত্যাশার থেকে বেশি মানুষ জড়ো হওয়ার খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version