।। প্রথম কলকাতা ।।
চীনকে জোড়া ধাক্কা মোদীর ফ্রান্স থেকেই। অরুনাচলে চীন এক পা এগোলেই হবে সর্বনাশ। আমেরিকা পাকা করে দিল ব্যবস্থা। ভারতের এক টোটকাতেই চীনের অর্থনীতিতে এভাবে ধস। ভারতের ওপর চটে গিয়ে এবার দাঁত নখ বের করতে পারে বেজিং। ভারত ব্যবসা কমিয়ে দিচ্ছে চীনের সঙ্গে? নরেন্দ্র মোদীর এ কোন নয়া কূটনীতি হাবি হচ্ছে ড্রাগনের দেশের ওপর? কূটনীতি-অর্থনীতি বা ভূরাজনীতি চীনকে একসঙ্গে এমন জোড়া ধাক্কা দিল্লির।
প্রথম ধাক্কাটা অবশ্য এল আমেরিকা থেকে৷ বলতে পারে মোদীর সফরের আরেকটা আফটার এফেক্ট। তবে এরইমাঝে বড় খবর চীনকে বাণিজ্যে মোক্ষম টেক্কা ভারতের। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য কমিয়ে ফেলল ভারত। ওয়াকিবহাল মহল বলছে এর আগে সীমান্তে সংঘর্ষ হলেও দুদেশের বাণিজ্যে তার কোনও আঁচ লাগেনি। তবে এবারের পরিসংখ্যান বলছে একেবারে অন্য কথা। কারণ সংখ্যা কোনওদিনই ভুল তথ্য দেয় না৷ তবে আমেরিকা হঠাৎ অরুনাচল প্রদেশ নিয়ে উঠে পড়ে লাগল কেন? বড় প্রশ্ন উঠছে। অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ, আমেরিকার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটের সংশ্লিষ্ট কমিটিতে। পাশ হয়েছে এমনই একটি প্রস্তাব। মার্কিন সেনেটে ওঠা সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে ‘‘অরুণাচল প্রদেশ যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ সে বিষয়ে আমেরিকার অবস্থান অনমনীয়। গণপ্রজাতন্ত্রী চিন ওই ভারতীয় প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি বিঘ্নিত করতে যে আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে আমেরিকা তার নিন্দা করছে”।
কূটনৈতিক মহলের দাবি প্রধানমন্ত্রী নমোর সফরের ১ মাসও হয়নি এখন। তার আগেই জো বাইডেন সরকারের এই উদ্যোগ মারাত্মক ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। কিন্তু ভারতের অংশ নিয়ে আমেরিকা প্রস্তাব পাশ করা দিল্লির লাভ কীভাবে? কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন লাভটা এখনই প্রত্যক্ষভাবে না বোঝা গেলেও অবশ্যই রয়েছে মার্কিন সেনেটের এই প্রস্তাব ভারতের সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে সংঘাতে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দিল্লি অবস্থান আরও দৃঢ় করবে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কৌশলে বুঝিয়ে দিল অরুনাচল ইস্যুতে ভারতেই পাশেই রয়েছেন তারা। চীন খবর হজম করতে না করতেই বোঝা গেল বাণিজ্যেও চীনের হাল বেহাল করছে ভারত। চিনা কাস্টমসের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ প্রথমার্ধে চিন ভারতের কাছে ৫৭.৫১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য বিক্রি করেছিল যেখানে এই বছর তা ০.৯ শতাংশ কমেছে। এই ব্যবসা দাঁড়িয়েছে ৫৬.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
একই সময়ে, ভারত চিনের কাছে মোট ৯.৪৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিক্রি করেছে। যা আগের বছরের ৯.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় কমেছে। ভারত চীনের কাছে যে পণ্য বিক্রি করছে তা কমে যাচ্ছে, কিন্তু কেন? ভারতের হাতে কি এল কোন নয়া বিকল্প? এতে ভারতের লস হবে না? গোটা বিষয়টা অনেকটাই এখনও অস্পষ্ট। দেখা যাক কোন পথে এগোয় গোটা হিসেব৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম