।। প্রথম কলকাতা ।।
মধ্যপ্রাচ্যে চীন কোন মরীচিকার পেছনে ছুটছে? শি’এর মক্সদ পূরণে বড় বাধা। ইজরায়েল প্যালেস্টাইন যুদ্ধ। ভারতকে দেখে কপি করতে গিয়েই ভুল করল বেইজিং। ঠুনকো কূটনীতিই কাল? যুদ্ধের ঝাঁঝ বাড়লে মধ্যপ্রাচ্যে চীনের পা রাখা কঠিন। সামর্থ্য নেই, ব্যালেন্স পলিসিই ডোবাবে দেশটাকে? মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার বিকল্প হতে গিয়ে নিজেদের বড় বিপদে ডেকে আনলো চীন। বিরাট ট্র্যাপে পড়ে গেল শি এর দেশ। একটা সময় ছিল যখন বিশ্লেষকরা বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো চীনের কাছাকাছি যেতে দ্বিধা করছে না কিন্তু ২০২৩ এর শেষের দিকে শুরু হওয়া। ইসরাইল প্যালেস্টাইন যুদ্ধ সম্পূর্ণ পরিস্থিতিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
হিসেবটা বুঝতে হবে। এখনও পর্যন্ত চীন এই যুদ্ধে নিউট্রল স্ট্যান্ড পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে শি এর দেশ। অনেকেই আশা করেছিল কঠোর ভাষায় হামাসের নিন্দা জানাবে চীন। কিন্তু চীনের কূটনীতি কী ততটাও সূক্ষ? বেইজিং ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইন দুইপক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক গভীর করে চলেছে। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের মারপ্যাঁচ না গিয়ে সেফ খেলতে চাইছে চীন আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, দূরে থেকে জেতার পলিসি দিয়েই মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তারের আশা রাখছে কি করে চীন? ভেবে দেখেছে, যুদ্ধের তীব্রতা বাড়লে এই ব্যালেন্স পলিসি বজায় রাখা কতটা কঠিন হবে?
এই চীন কিনা নিজেদের বিশ্বের পরবর্তী পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। প্রমাণ করতে চায় যে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে তাদের কূটনীতি আলাদা কিন্তু সেক্ষেত্রে কোনো একটা দেশে হস্তক্ষেপ করার মতো সামর্থ্য তাদের থাকা উচিৎ, সেটা কী আদৌ আছে? অন্য একটা দেশের রাজনৈতিক বিন্যাস বদলে দেওয়ার সামর্থ্য ও কী চীনের আছে? এটা প্রমাণ করতে পারবে তারা? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। আসলে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে চীনের নীতির পার্থক্য তৈরি করতে হলে বেজিং কে আরও সূক্ষ্ম কূটনীতি গ্রহণ করতে হবে এটা ফ্যাক্ট। অতএব চীনের সামনে এখন বিস্তর চ্যালেঞ্জ। সেগুলো কাটিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের য়জায়গা করা, প্রভাব বিস্তার করা কঠিন শুধু নয় প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে যদি হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে যায় সময়ের সাথে সাথে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বাকিটা তো বলবে সময়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম