এই দুর্গামন্দিরে ঢুকলেই মানসিক রোগ সারে! প্রসাদী ছাই খেলেই সৌভাগ্য, বিবেকানন্দ চিনিয়েছিলেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারতের এই দুর্গামন্দিরে সারে মানসিক রোগ। প্রসাদে ছাই খেলেই আসে সৌভাগ্য। আজও নাসা পরীক্ষা করছেন এই মন্দির নিয়ে। মন্দিরের গর্ভগৃহেই রয়েছে আসল ম্যাজিক। একবার এই মন্দিরে পা রাখলে মন থেকে সব বিষন্নতা হবে দূর। স্বামী বিবেকানন্দের চোখ এড়ায়নি এই দুর্গামন্দির। এখানেই বসে ধ্যান করেছিলেন তিনি। তারপর নিজের বইয়ে এই অঞ্চলকে গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরেন বিবেকানন্দ। হিমাচল প্রদেশের আলমোড়ার কাসারগড়ের দুর্গামন্দির।

সমুদ্রস্পৃষ্ঠ থেকে ৮,৬০০ ফুট উচ্চতায় পাইন ও দেবদারু গাছে ঘেরা এই মন্দির দেখলে গায়ে কাটা দেয়। কুমায়ুন পাহাড়ের জাগ্রত দেবী কাসার দুর্গা এই দেবীর প্রসাদের ছাইতেই নাকি সারে মানসিক রোগ? স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস দেবী দুর্গা অর্থাৎ দেবী কাসারের লীলায় তাঁদের মনকে কোনও বিষণ্ণতা স্পর্শ করতে পারে না। কীভাবে এত পজেটিভ এনার্জি মায়ের এই মন্দির এলাকায়? প্রত্যেক কার্তিক পূর্ণিমায় দেবী গ্রামের রাস্তায় নুপুর পরে ঘুরে বেড়ান বলেও বিশ্বাস করেন গ্রামবাসীরা। কাশ্যপ বা হিপি হিল নামে পরিচিত। পাহাড়ের মাঝে দেবীর মন্দিরের গর্ভগৃহে আছে একটি গুহা এই গুহাতেই রয়েছে অষ্টভুজা সিংহবাহিনী দেবী দুর্গার মূর্তি। গর্ভগৃহে জ্বলছে ‘অখণ্ড জ্যোতি’ৎযা কখনও নেভে না। এছাড়াও কাসার দেবীর মন্দিরে আছে পবিত্র হোমকুণ্ড এই কুণ্ডে ২৪ ঘণ্টা কাঠ জ্বলে। আর এই কুণ্ডের ছাইতেই নাকি সেরে যায় যে কোনওপ্রকার মানসিক রোগ, এমনটাই বিশ্বাস এখানকার ভক্তদের।

২০১৩ সালে এই মন্দিরে আসেন মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। কারণ, এই জায়গাটি ভ্যান অ্যালেন রেডিয়েশন বেল্টের অন্তর্গত কাসার অঞ্চল ছাড়া পেরুর মাচু পিচু ও ইংল্যান্ডের স্টোনহেঞ্জে রয়েছে এমন রেডিয়েশন বেল্টের প্রভাব। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই রেডিয়েশন বেল্টের জন্যই ভুচৌম্বকীয় ও মহাজাগতিক রশ্মির মিলিত প্রভাব। গোটা কাসার এলাকায় কাজ করে যার জেরে ওই এলাকায় পজিটিভ এনার্জির পরিমাণ বেশি থাকে। তবে মায়ের অপার করুণা বলেই বিশ্বাস করা হয়।

দেবী কাসারের মন্দির থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে শক্তিপীঠ কালীমাঠ। ওই শক্তিপীঠে দেবী কালীর সঙ্গেই পূজিতা হন লক্ষ্মী ও সরস্বতী। কার্তিক পূর্ণিমার সময় এখানে কাসার দেবীর বড় মেলা বসে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা জড়ো হন এই আলমোড়ায়। স্কন্দ পুরাণ অনুযায়ী এখানকার গুহা মন্দির তৈরি করেছিলেন যক্ষ আর গন্ধর্বরা। তবে দেবী ভাগবত পুরাণ বলছে এখানেই নাকি দেবী কৌশিকী শুম্ভ আর নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version