Freelancing: বাড়িতেই বানিয়ে নিন অফিস, নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে শুরু করুন ফ্রিল্যান্সিং

।। প্রথম কলকাতা ।।

Freelancing : সময়ের সাথে সাথে বর্তমানে কাজের ধরনে এসেছে বহু পরিবর্তন। একটা সময় ওয়ার্ক ফ্রম হোম কী জিনিস সেই সম্পর্কে আমাদের কোন রকম ধারণাই ছিল না। কিন্তু কোভিড আমাদের ওয়ার্ক ফর্ম হোমে অভ্যস্থ করে দিয়ে গিয়েছে। তেমনভাবে আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি আমাদের শব্দভাণ্ডারের মধ্যে সেই ভাবে জায়গা করে নেয়নি। কিন্তু আজ বহু যুবক যুবতি এমনকি গৃহবধূরাও রয়েছেন যারা শুধুমাত্র নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করছেন।

তবে আগ্রহী মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে এই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি কী? উত্তরে বলা যায়, ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং একটা বড় জায়গা। এর মধ্যে রয়েছে ফটো এডিটিং, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, কোডিং, অ্যানিমেশন থেকে শুরু করে ব্লগিং এর মতো একাধিক কাজ। ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি পেশা যার মাধ্যম হল ইন্টারনেট আপনার বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট থাকবে বিদেশে। এটাও আর পাঁচটা সাধারণ চাকরির মতোই। কিন্তু তা হলেও ন’টা থেকে পাঁচটার চাকরি থেকে অনেকটাই আলাদা ফ্রিল্যান্সিং।

কারণ ফ্রিল্যান্সিং করার সময় আপনার নির্দিষ্ট কোন বস নেই। যখন আপনি যেই ক্লায়েন্টের কাজ করবেন তখন সে আপনার ইমপ্লয়ার। কোন সময়সীমা নেই। আপনার ইচ্ছে না করলে আপনি কাজ না করতেই পারেন । অথবা যখন ইচ্ছে করল তখন কাজ করতে পারেন । এক্ষেত্রে কোনো রকম বাঁধা ধরা সময়সীমা নেই । আর তার থেকেও বড় ব্যাপার হল ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে কোন অফিসে গিয়ে ফর্মাল ড্রেসে বসতে হবে না । কারণ আপনার নিজের বাড়ির নিজের রুমটাই হবে অফিস।

* কীভাবে শুরু করবেন ফ্রিল্যান্সিং ?

ফ্রিল্যান্সিং এর বেশ কিছু ভাগ রয়েছে যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিষয়গুলি সম্পর্কে আপনার ধারণা কতটা , আপনি কতটা দক্ষ তা নির্ধারণ করবে আপনার কাজ । অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঢোকার আগে কোন ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা সব থেকে বেশি তা নিজেকে যাচাই করে নিতে হবে। যেমন উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক, আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন সেকশন থেকে বেছে নিয়েছেন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য। এটা অবশ্যই একটা ক্রিয়েটিভ কাজ । তাই আপনার ক্লায়েন্টদের চাহিদা মত আপনাকে ব্যানার ,কভার পেজ, লিফলেট, পোস্টার লোগো ইত্যাদি ডিজাইন করে দিতে হবে। রিসোর্স খুঁজতে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে Google কিংবা ইউটিউব তবে সম্পূর্ণ কাজটাই হবে আপনার সৃজনশীলতার মাপকাঠি অনুযায়ী।

ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করার জন্য আপনাকে কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের সাহায্য নিতে হবে । যেমন ফিভার, ফ্রিল্যান্সার , আপওয়ার্ক ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিন। সেখানে নিজের কাজ সাজিয়ে তুলুন খানিকটা পোর্টফোলিও আকারে। আর তারপর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে প্রথম কাজ পাওয়ার জন্য। আপনি যত ভালো কাজ করবেন ক্লায়েন্টের তরফ থেকে তেমন রেটিং পাবেন , মিলবে ফিডব্যাক। সেই ভিত্তিতে আপনার পরবর্তী কাজ গুলি আসতে থাকবে।

* কতটা লাভজনক ফ্রিল্যান্সিং ?

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বহু ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করছেন । তাই মার্কেট ধরতে গেলে আপনাকে সর্বপ্রথম মাথায় রাখতে হবে কেন ক্লায়েন্টরা আপনাকে কাজটির জন্য বেছে নেবেন । অবশ্যই আপনাকে ভালো মানের কাজ দিতে হবে। ক্লায়েন্ট যে পেমেন্ট করবে সেই অনুযায়ী কাজের মান অত্যন্ত ভালো করতে হবে আপনাকে। আর সর্বোপরি ক্লায়েন্টদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা। এক একটি প্রজেক্ট থেকে ফ্রিল্যান্সাররা যা উপার্জন করতে পারবেন তা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত কর্মচারীদের প্রায় সমান অথবা তার থেকে বেশি। অর্থাৎ নিজের ভালো লাগার জিনিসকে পেশায় পরিণত করে খুব সহজেই মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করা সম্ভব ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version