Chandaneswar Temple Near Digha: সব ইচ্ছা পূরণ করেন মহাদেব! দীঘার কাছেই চন্দনেশ্বর মন্দিরে অবাক করা কাহিনী

।। প্রথম কলকাতা ।।

Chandaneswar Temple Near Digha: আমরা বছরভর নানান মন্দিরে যাই। সে সব মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা কাহিনী। এক একটি মন্দিরের কাহিনী শুনলে অবাক হতে হয়। আজ তেমনই এক মন্দিরের কাহিনী শোনাবো আপনাদের। এ মন্দিরে দেবতা করেন ভক্তদের ইচ্ছেপূরণ। ভক্তদের রোগব্যাধি দূর হয়ে যায় এই মন্দিরে মানত করলে। সংসারে শান্তি ফেরে। এমন হাজারো সমস্যায় এই মন্দির বড় ভরসাস্থল।এটি দীঘার কাছেই ওড়িশার চন্দনেশ্বর মন্দির। এই মন্দিরের বিশেষত্ব কী তা জানেন? এই মন্দিরের মহিমা জানতে গোটা ভিডিওটির দেখে নিন। প্রতিবেদনের সাথে দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন।

ভক্তদের বিশ্বাস, অতি জাগ্রত এই শিবমন্দির। সেই কারণে, দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভিড় করেন সংসার পরিত্যক্ত মহিলারা। ভগবানের কাছে হত্যে দেন। তাতে নাকি কাজও হয় বলেই দাবি ভক্তদের। লোককথা, এখানে যিনি প্রথম ঈশ্বরের দর্শন পেয়েছিলেন, তিনিও ছিলেন পরিবার পরিত্যক্তা। দেবতা তাঁকে এই স্থানে দর্শন দিয়েছিলেন। তার পর তিনি পরিবারের সঙ্গে শান্তিতে সংসার করতে পেরেছিলেন। পাতাল ফুঁড়ে উঠে আসায় এখানে শিব স্বয়ম্ভূ। বর্গী আমলের এই মন্দিরের বয়স প্রায় তিনশো বছরের কাছাকাছি।

এই শিবলিঙ্গকে নিয়ে রয়েছে অবাক করা কাহিনী। আগে এখানে ছিল হোগলা বনের জঙ্গল আর কাজুর গাছ। সেখানেই লক্ষ্মী নামে এক মহিলা শিবলিঙ্গটির দর্শন পান। তিনি গোরু চরাতে বের হতেন। সেই গোরু ঠিকমতো দুধ না-দেওয়ায় পরিবারের লোকজন লক্ষ্মীকেই বাড়িছাড়া করেছিল। লক্ষ্মী গোরুর পিছু নেন। দেখতে পান, গোরুটি এক চম্পক গাছের তলায় শিবলিঙ্গের ওপর নিজে থেকেই দুধ দিচ্ছে। দেখেন, এই শিবলিঙ্গে কোথা থেকে যেন ফুল-বেলপাতা নিজে থেকেই পড়ছে। পুজো শেষে মাটির তলায় চলে যাচ্ছে ওই শিবলিঙ্গ।লক্ষ্মীর কথা শুনেই গ্রামবাসীরা এই শিবলিঙ্গ খুঁজে বের করেন। এই মন্দিরে একটি পুকুর আছে। সেখানে চড়কের সময় তিনটি কাঠ পাওয়া যায়। চড়কের প্রধান সন্ন্যাসী তিনটি কাঠের মধ্যে একটিকে সিঁদুর দিয়ে পুজো করেন। তারপর ওই কাঠ নিজে থেকেই অদৃশ্য হয়ে যায়।এমনটা প্রতিবছর ঘটছে।

https://www.facebook.com/100082942485331/posts/410758771698869/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz

এই মন্দিরে পুজো দিতে হলে কমিটির কাছে নাম লেখাতে হয়। এখানে রয়েছে কল্পনাবৃক্ষ। সেখানেই মনস্কামনা পূরণের জন্য সুতো বাঁধেন ভক্তরা। প্রতিবছর ১৪ এপ্রিল এখানে বড় করে মেলা বসে। ভক্তদের একাংশ ইচ্ছাপূরণের জন্য সেদিন থেকে টানা কয়েকদিন উপবাসও করে থাকেন। মেলা চলে টানা ১৩ দিন। সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৫টা পর্যন্ত প্রতিদিন মন্দির খোলা থাকে।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version