।। প্রথম কলকাতা ।।
Tour Guide Job: ভারত হল বৈচিত্রের দেশ। এদেশের সংস্কৃতি, বিভিন্ন স্থাপত্য, পর্যটন কেন্দ্র গুলি এখনও পর্যন্ত ইতিহাসের সাক্ষী। সারা ভারত জুড়ে এমন বহু দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে যা দেখতে প্রত্যেক বছর দূর দূর থেকে বিদেশীরা এসে উপস্থিত হন। তবে তাদের থেকে ভারতকে বেশি ভালো করে চেনেন ভারতীয়রা। আরও ভালোভাবে বলতে গেলে যেটা যার জায়গা তাঁরই সেই সম্পর্কে অধিক জ্ঞান থাকা স্বাভাবিক। বর্তমানে যেভাবে পর্যটন শিল্প বিকশিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আগামী দিনে ট্যুর গাইডের পেশা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
এখনই ভারতের তাজমহল থেকে শুরু করে লালকেল্লা, ইন্ডিয়া গেট থেকে শুরু করে কাশী বিশ্বনাথ ধাম প্রভৃতি জায়গায় গেলে আপনি এমন বহু ট্যুর গাইডের দেখা পাবেন। তাঁরা কেউ কেউ একেবারে ব্যক্তি স্বাধীন হিসেবে কাজ করছেন আবার কেউ কেউ কোন ট্যুর গাইড সংস্থার সাথে জড়িত রয়েছেন । ট্যুর গাইডের কাজ কী তা কমবেশি সকলেই জানেন। তবুও বলে রাখা ভালো, যেকোনো পর্যটন স্থান সম্পর্কে যারা পর্যটকদের বিস্তারিত তথ্য দেন এবং তাদেরকে নির্ঝঞ্ঝাট ভ্রমণ করাতে সক্ষম হন তাদেরকেই বলা হয় ট্যুর গাইড। এক্ষেত্রে অবশ্যই পর্যটকদের তরফ থেকে তাকে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা। তবে যদি তিনি কোন সংস্থার সাথে যুক্ত থাকে সেখান থেকে অবশ্যই পাবেন বেশ ভালো অঙ্কের স্যালারি।
* কাজের ধরন বুঝে নিন:
হুজুকের বসে নিজেকে ট্যুরিস্ট গাইড বলে বসলে কিন্তু সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ এটা পেশা হিসেবে শুরু করার আগে কাজটা ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। ট্যুরিস্ট গাইড কী কাজ করেন, তাদের কী গুণ থাকা প্রয়োজন, তাদের কী দক্ষতা অবশ্যই থাকা প্রয়োজন। যেমন আপনি যদি একজন ট্যুর গাইড হন তবে পর্যটকদের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরিয়ে দেখাতে হবে , নিরাপদ ভাবে সেখানে পৌঁছে দিতে হবে এবং সেই জায়গা সম্পর্কে জানাতে হবে। এছাড়াও আপনাকে হতে হবে দায়িত্বশীল এবং আন্তরিক। আপনার ক্লায়েন্টরা কোথায় থাকবেন সেই বিষয়টির বন্দোবস্ত আপনাকেই করতে হবে । তাদের খাবারদাবার, পরিবহন এবং অন্যান্য বিষয় নির্বাচনের জন্য এগিয়ে আসতে হবে আপনাকেই।
এছাড়াও আপনি যেই জায়গার ট্যুর গাইড হিসেবে কাজ করেন সেই জায়গা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। পর্যটকদের আগ্রহের কথা জানতে হবে। তাদেরকে বোঝাতে হবে বিশেষত্ব। সর্বোপরি সঠিক তথ্য পরিবেশন করতে হবে । যদি দুর্ভাগ্যবশত কোন পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়েন তবে সেই ক্ষেত্রেও তাকে সঠিক চিকিৎসা পাইয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে একজন ট্যুরিস্ট গাইডকেই। এক কথায় যতদিন পর্যন্ত আপনার অধীনে থাকছে ততদিন তাঁর সবরকম চাহিদার খেয়াল রাখতে হবে ট্যুরিস্ট গাইডকে।
* বাড়তি যে দক্ষতা থাকা জরুরী :
যেকোনো পর্যটন কেন্দ্রে পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা আসতে পারেন। তাই তার জন্য ট্যুরিস্ট গাইডকে ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হতে হবে। কারণ যদি কোন চিনা বা জাপানি পর্যটক এসে উপস্থিত হন তাকে আপনার কথা বোঝানোর জন্য সবথেকে সহজ ভাষা হল ইংরেজি । যেকোনো পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে ট্যুরিস্ট গাইডের । তাকে হতে হবে ধৈর্যশীল এবং সহনশীল। সুন্দরভাবে কথা বলতে হবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা এবং পর্যটকদের জন্য সরকারের তরফ থেকে যে সকল সুযোগ সুবিধা ও বিধি নিষেধ গুলি রয়েছে সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। এছাড়াও যদি ছবি তোলার দক্ষতা থাকে তবে আরও কিছুটা বেশি খুশি করা যাবে পর্যটকদের।
* কাজের সুযোগ কেমন ?
এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম পড়ানো হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের । এর মাধ্যমেই বোঝা যায় ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবে কাজ করা বেশ লাভজনক। কারণ বর্তমানে পর্যটন সংস্থা, অন্যান্য ট্রাভেল এজেন্সি , বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র অথবা ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শকের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। জায়গার ভিত্তিতে ট্যুরিস্ট গাইডদের উপার্জিত অর্থের পরিমাণ বিভিন্ন হয়। তবে এর মাধ্যমে নিজের এবং পরিবারের ভরন-পোষণ খুব ভালোভাবেই করতে পারেন ট্যুরিস্ট গাইডরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম