।। প্রথম কলকাতা ।।
Zinger cultivation: আদা একটি উদ্ভিদ মূল যা মানুষের মসলা ও ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে আদা চাষ বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে। আদার কদর যে কতখানি তা আর বলার অপেক্ষায় রাখে না। আমাদের দেশে আদার উৎপাদন চাহিদা তুলনায় খুবই কম। আদার ইংরেজি নাম zinger, বৈজ্ঞানিক নাম zingiber officinale। আদা চাষ করার জন্য উষ্ণ, আদ্র জলবায়ুপূর্ণ আবহাওয়া দরকার। বেশি ফলন পেতে হলে জমিতে প্রচুর পরিমাণে জৈব সার প্রয়োগ করতে হয়। এছাড়া আড়াইশো কেজি সরিষা খোলা প্রয়োগ করতে পারলে আদার ফলন ভালো হয়। আদা লাগানোর একমাস পর জমিতে কুড়ি কেজি নাইট্রোজেন প্রয়োগ করতে হয়। আদার গাছ বের হতে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ সময় লাগে। সাত আট মাস পরেই আদা তোলা সম্ভব হয়। গাছের পাতা হলুদ রঙের হলে এবং গাছের ডাটা শুকোতে শুরু করলে আদা তোলা শুরু করতে হয়।
পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মেঘালয়, উড়িষ্যা, কর্ণাটক, অরুণাচল প্রদেশ গুজরাট আদা চাষে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
তবে যাদের কাছে জমি নেই, বা জমিতে অন্য ফসলের চাষ হচ্ছে তারা বাড়িতে থাকা বস্তায় আদা চাষে বিপুল লাভ করতে পারবেন। বস্তার মধ্যে আদা চাষ করে নিজের পুঁজি বাড়াতে পারেন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বাড়ির ছাদে, বারান্দায় বাড়ির বাগানে যে কোনো ফাঁকা জায়গায় আদা চাষ করতে পারেন। এর ফলে শ্রমিক খরচ, মাটি প্রস্তুত খরচ, সেচ খরচ, আদা তোলার খরচ অনেক কম হয়।
কি কি উপকরণ লাগবে, যেকোনো বস্তা, গোবর সার, মাটি, ছাই, রাসায়নিক সার, বীজ শোধন সার, ফুরাডান, ধানের তুষ, কাঠের গুঁড়ো ,নিমের খোল ব্যবহার করা হয়। এক একটি বস্তা মোটামুটি ১৫ কেজি ওজনের হতে হবে। ৭ কেজি মাটি ,চার কেজি গোবর সার, ১.৫ কেজি ছাই,১ কেজি কোকোপিট ধানের তুষ দিতে হবে। ডিএপি, এমওপি দুটোই ১০থেকে ১২গ্রাম করে দিতে পারেন। মাটি খুব ভালো তৈরি করে বস্তাতে ভর্তি হবে। তারপর প্রতি বস্তায় চাষীরা চার থেকে পাঁচটি আদার টুকরো রোপণ করতে পারবেন। ভালোভাবে রোপন করার পর শুকনো গাছের পাতা বা খড় দিয়ে ভালোভাবে বস্তা ঢেকে দিতে হবে। প্রতিটি বস্তার নিচে ভালো করে তিন থেকে চারটি ছিদ্র করতে হবে। বীজ রোপনের পর বাইশ দিন পর থেকে আদা গাছ বেরোতে শুরু করবে। সেই সময় বস্তায় যাতে আগাছা না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। খুব বেশি রোদ পড়ে এমন জায়গায় বস্তা রাখা যাবে না। লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে জল বেশি না পড়ে। বেশি জল দিলে আদা পচে যেতে পারে। ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি আদা গাছ বেরিয়ে যাবে। নয় থেকে দশ মাস পর আদা গাছ যখন হলুদ বর্ণ ধারণ করবে তখন আদা তোলার সময় হবে। এই আদা চাষের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে খুব কম পুঁজি নিয়ে নিজেরা ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি দপ্তর ইচ্ছুক চাষীদের এই বিষয়গুলিতে সহায়তাও করে থাকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম