লোহার বর্মে উঃ কোরিয়া! মহাকাশে এটা কী বসিয়ে দিলেন কিম, মন্ত্রেই ধূ’লি’সাৎ শত্রুদেশ ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

লোহার বর্মে ঢেকে দেওয়া হলো উঃ কোরিয়াকে। মহাকাশে ধুরন্ধর গোয়েন্দা বসিয়ে দিলেন কিম? কয়েক সেকেন্ডেই ধুলোয় মিশে যাবে শত্রুদেশ? এই স্পাই আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়াচ্ছে উঃ কোরিয়াকে। শত্রু থাকবে হাতের মুঠোয়। একটা সুইচে কিভাবে কন্ট্রোল হবে কিমের দেশ? মালিগিয়ং-১ দেবে কারেন্টের ঝটকা? উঃ কোরিয়াকে ছুঁলেই বিপদ। রেঞ্জে চলে এলো যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দঃ কোরিয়া? কিভাবে এই স্পাইকে লুকিয়ে রেখেছেন কিম জং উন? শত্রুকে পাল্টা অ্যাটাকের সুযোগ দেবেনা!
ভয়ঙ্কর কোনো প্রাণী? ক্ষমতা জানলে শঙ্কায় কাঁপবে গোটা পৃথিবী। কিমের হাতে মোস্ট পাওয়ারফুল স্পাই সিস্টেম। বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু। তছনছ করে দেবেন শত্রুদেশ?ডিরেকশন শুনে এবার কাজ করবে এই খতরনাক স্পাই।

মালিগিয়ং ওয়ান এর কানে কানে কোন মন্ত্র ঢালবেন উঃ কোরিয়ার কিম জং উন? গোপনে নিলেন বড় স্টেপ। রাতের অন্ধকারে উচ্চ গোপনীয়তা বজায় রেখে উৎক্ষেপণ করা হয় মালিগিয়ং ওয়ান কৃত্রিম নজরদারি স্যাটেলাইট, যা সফলভাবে কক্ষপথে সেট করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি উঃ কোরিয়ার। যা সম্ভাব্য আক্রমণ সম্পর্কে কিমকে আগেভাগেই সতর্ক করবে। ফলে শত্রুকে মোকাবিলা করা আরো নির্ভুলভাবে পরিকল্পনা করা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, ছক সাজানো কিম জং উনের জন্য অনেক বেশি সহজ হবে। না এখানেই শেষ নয়, সামনের দিনগুলোতে নজরদারি আরো বাড়াতে একাধিক স্পাই স্যাটেলাইট পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা দ্য ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস টেকনোলজি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। তবে এটা একদিনের প্ল্যানিং নয়। অনেক দিন ধরেই মহাকাশে একটি গুপ্তচর উপগ্রহ স্থাপনের পরিকল্পনা করে আসছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। অবশেষে সেটাই সাক্সেসফুল হলো।

যদিও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার আঞ্চলিক মিত্র যায়, দক্ষিণ কোরিয়া।পুরো বিষয়টা তাদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক বলছে তারা। উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে আবার তারা নজরদারি শুরু করবে, সাফ জানিয়ে দিয়েছে দঃ কোরিয়া। জাপান বলছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রচেষ্টা জাতিসংঘরের জ্যুলেশনের লঙ্ঘন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পিয়ংইয়ংকে উপগ্রহ উৎক্ষেপণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা মনে করছেন, উপগ্রহ উৎক্ষেপণের অজুহাতে মিসাইল সিস্টেম পরীক্ষা করবে উত্তর কোরিয়া। মোদ্দা কথা কিম জং উন কে ভরসা করতে পারছেনা কোনো দেশ। এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ ও। জাতিসংঘের মহাসচিব বলছেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে উত্তর কোরিয়ার যেকোনো অস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে পারে। যা নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনকে লঙ্ঘন করা।

জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এক বিজ্ঞপ্তিতে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ৯ দিনের একটি প্রচেষ্টা ধাপ সম্পর্কে জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। যা আগামী ৩০ নভেম্বর শেষ হবে। পিয়ংইয়ংয়ের এই বিজ্ঞপ্তিতে তিনটি সামুদ্রিক অঞ্চলকে স্যাটেলাইট বহনকারী রকেটের ধ্বংসাবশেষ পড়ার স্থান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপান কোস্ট গার্ড। স্থান তিনটির মধ্যে দুটি কোরীয় উপদ্বীপের পশ্চিমে এবং অন্যটি ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপের পূর্বে। এই স্থানগুলোর যে কোনও একটিতে স্যাটেলাইট বহনকারী রকেটের ধ্বংসাবশেষ পড়তে পারে। মহাকাশে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা এটিই প্রথম নয়; এর আগেও দুবার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে পিয়ংইয়ং। এটা তাদের তৃতীয় প্রচেষ্টা ছিল যা সফল হয়েছে বলেই দাবি উঃ কোরিয়ার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version