Eucalyptus Farming: জানুন ইউক্যালিপটাস চাষের পদ্ধতি, বাড়তি খরচ ছাড়াই হাতে আসবে ৭০ লক্ষ!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Eucalyptus Farming: ভারতের কৃষক বন্ধুরা এখন ঝুঁকেছেন বাণিজ্যিক চাষের দিকে। ধান, গম, ডাল শাকসবজি থেকে খানিকটা সরে এসে এবার বেশি মুনাফা লাভের আশায় কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে অন্যান্য ধরনের চাষের সম্প্রতি। ভারতে বিশাল আকারে ইউক্যালিপটাস গাছের চাষ দেখা যাচ্ছে। কারণ এই গাছকে সোনা বললেও কম হবে। প্রথমত এই গাছগুলির জন্য কৃষকদের বিশেষ কিছুই করতে হয় না। আলাদা করে রক্ষণাবেক্ষণের কোন প্রক্রিয়া নেই। একবার চারা লাগানোর পর কিছুটা থিতু হয়ে গেলেই শুধু অপেক্ষা। ইউক্যালিপটাস গাছ সঠিকভাবে চাষ করা গেলে লক্ষ লক্ষ টাকা অর্জন করা খুবই সহজ কৃষকদের জন্য।

* কী জন্য ব্যবহার করা হয় ইউক্যালিপটাস ?

কাঠের বাক্স ও জ্বালানি হার্ডবোর্ড আসবাবপত্র প্রভৃতি তৈরি করার জন্য বর্তমানে ইউক্যালিপটাস গাছের চাহিদা ভীষণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

* লাভের পরিমাণ

কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে এক হেক্টর জমিতে প্রায় তিন হাজার ইউক্যালিপটাস গাছ চাষ করা যেতে পারে । এই গাছের চারার দাম খুব একটা বেশি নয়। বাজারে খুব সহজেই কিনতে পাওয়া যায়। এক হেক্টর জমিতে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগাতে কৃষককে একবারে খরচ করতে হবে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু এই ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করার পর কিছু সময়ের অপেক্ষা। কারণ ইউক্যালিপটাস গাছ পূর্ণরূপে বিকশিত হতে সময় লাগে প্রায় পাঁচ বছর। এক একটি পূর্ণ বিকশিত গাছ থেকে ৪০০ কেজি কাঠ পাওয়া যায়। বাজারে ইউক্যালিপটাস কাঠের দাম প্রতি কেজি ছয় থেকে সাত টাকা। তাই কৃষক বন্ধুরা কিছুটা হিসাব করলেই বুঝতে পারবেন যদি এক হেক্টরে ৩০০০ গাছ চাষ করা যায় তবে পাঁচ বছর পর ৩০ হাজারের বিনিময়ে মিলবে প্রায় ৭০ থেকে ৭২ লক্ষ টাকা।

* ইউক্যালিপটাস চাষের পদ্ধতি

১) এই গাছ চাষ করার জন্য বিশেষ কোনো আবহাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ভারতের যে কোন জায়গায় পাহাড় কিংবা মাঠে এই গাছ চাষ করা যায়।

২) এই গাছ লাগানোর জন্য নির্দিষ্ট জমিতে গর্ত তৈরি করতে হয়। আর তারপর সেই গর্তের মধ্যে গোবর সার ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হয় । তাতে মাটি হয় বেশ উর্বর হয়।

৩) চারাগাছ লাগানোর প্রায় কুড়ি দিন আগে গর্ত তৈরি করা হয়।

৪) গাছগুলিকে বসানো হয় একটি থেকে ৫ ফুট দূরত্বে।

৫) ইউক্যালিপটাসের চারা রোপণের জন্য একদম যথাযথ সময়ে হিসেবে ধরা হয় বর্ষাকালকে।

৬) বর্ষাকালে এই গাছগুলি রোপণ করলে জল সেচের প্রয়োজন হয় না। এক একটি গাছ প্রায় ৩০ মিটার থেকে ৯০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। প্রতিটি ঋতুর জন্যেই এই চাষ একেবারে উপযোগী।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version