কালীয় নাগ এখনও বেঁচে আছে পৃথিবীর বুকে! ভয়ঙ্কর ফণার স্বাক্ষী হন

।। প্রথম কলকাতা ।।

শ্রীকৃষ্ণের সেই কালীয় নাগ এখন বেঁচে রয়েছে পৃথিবীর বুকে। কোথায় গেলে দেখা পাবেন সেই বীভৎস ফনার নাগের? একে সরাতে গেলেই ঘটে যায় বিপদ। নাগকে দমন পর শ্রীকৃষ্ণ কি করেছিলেন জানেন? শ্রীকৃষ্ণের কথা বাল্যবয়সের কথা উঠলে কালীয় নাগ দমনের কথা উঠে আসে। কীভাবে যমুনাকে নিজের বিষে বিষাক্ত করে রেখেছিল কালীয় নাগ, তারপর তাকে পরাজিত করে কালীয় নাগের মাথার ওপর উঠে বাঁশি বাজিয়েছিলেন কানাই। কিন্তু তারপর? তারপরের কথা খুব কম মানুষই জানেন। এখন পৃথিবীর বুকে নিজেদের বংশধরদের নিয়ে বাস করেন কালীয় নাগ। রমনক দ্বীপ নাকি এই ভারতের বুকে কালীয়র বাস? বৃন্দাবনে গেলে এখন দেখা যায় কালীয় নাগকে? জয়কুন্ডের ঠিক পাশে এখন তিনি পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে তাকে ছুঁলেই নাকি ঘটে বড় বিপদ?

কালীয় নাগকে নিয়ে মূলত দুটো কাহিনী প্রচলিত রয়েছে প্রথমত, শ্রীকৃষ্ণ তাকে পরাজিত করার পর বৃন্দাবন ছেড়ে চলে যেতে বলেছিলেন। আর বলেছিলেন ফিরে না তাকাতে কিন্তু কালীয় সে কথা না শুনে ফিরে তাকানোয় পাথরে পরিনত হয়। পরবর্তীকালে নাকি সেই পাথর গুলি চালিয়ে ধ্বংস করারও চেষ্টা করেছিল ব্রিটিশেরা। সেই দাগ আরও জ্বলজ্বল করলেও তাকে পাথরের কিচ্ছু হয়নি। স্থানীয়দের বিশ্বাস এতে কেউ কোনও আঘাত করলে তা থেকে রক্ত বের হত। এই কালীয় নাগের লেজ এখনও গোটা বৃন্দাবনে ছড়িয়ে রয়েছে এমনটাই মানেন সেখানকার মানুষ।

দ্বিতীয় গল্প হল ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কালীয়কে আদেশ দিয়েছিলেন বৃন্দাবন ছেড়ে রমণক দ্বীপে পরিবার নিয়ে চলে যেতে। পুরানের সেই রমণক দ্বীপ আজকের ফিজি আইল্যান্ড। ফিজিতে সাধারণত কোন সাপ নেই কিন্ত সকল ফিজিবাসী বিশ্বাস করেন সেখানে রয়েছে একটি সুবৃহৎ সাপ যার নাম ‘দেগিই’। যেটি ফিজির উত্তর, পশ্চিম অংশের একটি বৃহৎ দ্বীপ বনুয়া লেবুতে অবস্থিত। নকভদ্র পাহাড়ের একটি গুহাই নাকি দেগির বাসস্থান। ফিজির পৌরাণিক কথা অনুসারে ‘দেগিই’ হলেন একজন পৌরাণিক সর্প দেবতা। যিনি সকল ফিজিয়ানদেরকে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে ফিজিতে নিয়ে আসেন।

১৯৭৬ সালে ইস্কন প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রভুপাদ ফিজি ভ্রমণ করে কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচার করেন। তিনিই সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন কৃষ্ণ কালীয়া মন্দির। যেটি ফিজির লাউটোকাতে অবস্থিত। এটাও জানা যায় ফিজির একটি স্থানীয় বিগ্রহের নাম “কালাউ”। এই নামের সাথে “কালীয়” নামের মিল রয়েছে। যাদের সামর্থ্য হয় সেই আশ্চর্যপূর্ণ অদ্ভুত নাগ মন্দির ও রামানক দ্বীপ দর্শনের। তারা ফিজি যান নয়ত ইউটিউবে গিয়ে এর ভার্চুয়াল দর্শন লাভ করতে পারেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version