।। প্রথম কলকাতা ।।
সমুদ্রের উপর রহস্যময় একটা দ্বীপ বানাচ্ছে জাপান। বাংলাদেশ সেখানে কী করবে? বড় কিছু ঘটতে চলেছে, ১৮৪ দিনের এক্সপোতেই অদ্ভুত সব চমক। ওই বিশেষ দ্বীপে আপনি সহজেই ঢুকতে পারবেন না, ওসাকার আকাশে ঝড় তুলবে হেলিকপ্টার। দ্বীপের মাঝে ভেলকি দেখাবে একটা বিশাল রিং। সব দেশকে ঘিরে থাকবে ওই আকর্ষণীয় বলয়। ৫৫ বছর পর জাপানে কী ঘটতে যাচ্ছে? জানেন? সে এক বিরাট তামঝাম। জাপানের মাটিতে অসময়ের উৎসব। বিশ্ব মেলা মানে ‘এক্সপো’।ওসাকা শহরে গ্র্যান্ড ইভেন্টের জোরদার প্রস্তুতি চলছে।বাংলাদেশের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। ওপার বাংলা এই বিশ্বমেলায় পার্টিসিপেট করবে।
এক্সপোর জন্য আয়োজক দেশ জাপান বেছে নিয়েছে সমুদ্রকে। ওসাকা উপসাগরের নির্দিষ্ট একটা জায়গা ভরাট করে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির কাজ শেষ। দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছে ইয়ুমেশিমা দ্বীপ। ১৪৫ হেক্টরের সেই দ্বীপেই বসবে বিশ্ব মেলা। একই সঙ্গে যেখানে তৈরি করা হবে বিশাল আকারের একটি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, নতুন একটি সাবওয়ে যোগাযোগ লাইন ও স্টেশন। এক্সপোর জন্য ওই কৃত্রিম দ্বীপের ঠিক মাঝে তৈরি করা হবে বিশাল আকারের একটি রিং। যে বলয়ের ভেতরে থাকবে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের ৩ রকমের প্যাভিলিয়ন। এর পুরোটা তৈরি হবে কাঠ দিয়ে। নির্মাণ শেষ হওয়ার পর এটা হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কাঠের ভবন। বড় আকারের এ টাইপ প্যাভিলিয়নে অংশগ্রহণকারী দেশ নিজেদের মতো করে সাজাতে পারে, তাদের নির্মাণ খরচের পুরোটা নিজেদের বহন করতে হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আছে বি টাইপ প্যাভিলিয়ন, যেগুলোর বাইরের কাঠামো আয়োজকেরা তৈরি করে দেবে এবং অংশগ্রহণকারী দেশ নিজেদের পছন্দমতো ভেতরটা সাজিয়ে নেবে। তবে ভেতরের সব খরচ অংশগ্রহণকারীদের বহন করতে হবে। তৃতীয় পর্যায়ে আছে সি টাইপ প্যাভিলিয়ন, যার পুরোটা আয়োজকদের অর্থে তৈরি করা হবে।
তিনটি প্যাভিলিয়ন একটি কাঠামোর ভেতরে থাকবে। বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের বি টাইপ প্যাভিলিয়ন, অর্থাৎ এর বাইরের কাঠামো আয়োজকেরা তৈরি করে দেবে আর, বাংলাদেশ নিজেদের উদ্যোগে ভেতরের নকশা ও সাজসজ্জার কাজ শেষ করবে। অলরেডি প্যাভিলিয়নের কনসেপ্ট ডিজাইন নিয়ে কাজ শুরু করেছে ওপার বাংলা, দ্রুতই সেই কাজ শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটা গেল রিং এর ভেতরের গল্প! বলয়ের বাইরে থাকবে বিভিন্ন বাণিজ্যিক কোম্পানির প্যাভিলিয়ন ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’—এই থিমের উপর ভর করেই এক্সপোর পুরো নকশা করা হয়েছে। যেখানে আকাশ, সমুদ্র ও সাগর, এই তিনের দেখা পাবে মানুষ এককথায় জাপানের এই এক্সপো হবে নজরকাড়া। যে বিশ্ব মেলায় বাংলাদেশ সহ মোট ১৫৩টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন এক্সপো তে পার্টিসিপেট করছে।
একটা কথা মাথায় রাখতে হবে দ্বীপের ভেতরে গাড়ি নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হবে! গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে পাশের একটি দ্বীপ মাইশিমায়। গাড়ির আরোহীদের সেখান থেকে বাসে করে যেতে হবে এক্সপোতে। বিদ্যুৎ চালিত বাস এক্সপো এলাকার ভেতরে চলাচল করবে; এই বাসে করে দর্শকেরা এক্সপো চত্বরের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবে। আপাতত পুরোটা হেলিকপ্টারে করে ওপর থেকে দেখার সুযোগ সাংবাদিকদের হয়েছে।
কখন হচ্ছে এক্সপো?
২০২৫ সালের ১৩ এপ্রিল, যা চলবে ১৮৪ দিন ধরে বুঝতে হবে। যখন বিশ্ব অর্থনীতি জটিল একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তখন ওসাকায় পুরো দমে এক্সপোর তোড়জোড় চলছে অনেক দেশ এক্সপো ২০২৫-এ জুড়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছে। আগ্রহ আর উদ্দীপনা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম