Iran: ইরানকে ঠেকানো মুশকিল! দিনে দিনে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, মধ্যপ্রাচ্যের সিংহে-র নেক্সট টার্গেট কি?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Iran: ইরানের মিসাইল পাওয়ার, ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্রের প্যালপিটিশন বাড়াচ্ছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ নিয়ে শত্রু দেশগুলো রীতিমতো হিসেব কষতে শুরু করে দিয়েছে। সত্যিই কি দিনে দিনে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে? এরপরে কি পরমানু অস্ত্রের মালিক হবে ইরান? মধ্যপ্রাচ্যের সিংহ ইরানের নেক্সট টার্গেট কি, জানেন আপনারা? বিশাল এই ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডার লুকিয়ে রাখা হয়েছে মাটির তলায়, অনেক গভীরে। সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন মডেলের, বিভিন্ন পাল্লার সারি সারি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রয়েছে মাটির নীচে টানেলের মধ্যে। হামলার জন্য এগুলো সর্বদাই প্রস্তুত। এটাই ইরান।

ইরানের সামরিক শক্তির অন্যতম চাবিকাঠি হিসেবে ধরা হয় দেশটার ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাকে। আর, সেই সক্ষমতাকেই আরও ধারালো করছে ইরান। করছে দেখার মতো উন্নতি। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে কয়েক বছর ধরেই আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে দেশটা। আর এটা বলতেই হচ্ছে যে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এবং ড্রোন তৈরিতে বেশ সফলও হয়েছে তারা। আসলে ইরানের শক্তির মূল স্তম্ভই হল নানান ধরনের ফলে তারা হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ফোর্সের মালিক। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, ইজরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রর ভয়ের কারণ। শক্তিশালী ইরানি মিসাইলকে ক্রমবর্ধমান হুমকি বলে মনে করে তারা।

১৯৮০ সাল থেকে মিসাইল তৈরি করছে ইরান। আর ইদানিংকালে ইরান ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ এবং অ্যাকিউরেসি আরও বাড়াচ্ছে। বড়সড় ডেভেলপমেন্ট এর চেষ্টা চালাচ্ছে। কিরকম? ইরান দুই ধরনের জ্বালানি চালিত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ চালাচ্ছে। ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রিসিশন গাইডেড যুদ্ধাস্ত্র নিয়েও কাজ চলছে। আর, এভাবেই ইসরাইল, আমেরিকা সহ এদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর বুকে কাঁপুনি ধরাচ্ছে ইরান। শুধু তাই নয় ইরান অন্যান্য দেশে মিসাইল রপ্তানিও করছে। ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি অনুযায়ী ইরানের মিসাইল পরীক্ষার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। চুক্তিতে ইরানকে ৮ বছরের জন্য পারমানবিক ওয়ারহেডবাহী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে নিষেধ করা হয়েছে। না, আপাতত ইরানের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের কোন অভিযোগ আনা যাচ্ছে না।

কিন্তু, ইরান থেমে নেই, ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করে, ক্রুজ মিসাইলে বিনিয়োগ করে, লক্ষ্য স্থির রেখে, আরও নির্ভুল ভাবে ইরান জটিল ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে চাইছে। মিসাইল আর ড্রোনে সমৃদ্ধ হতে চাইছে দেশটা। কিন্তু, তাদের পরবর্তী টার্গেট কি? তাহলে কি লং রেঞ্জের, নিউক্লিয়ার ওয়ারহেডবাহী মিসাইল, তৈরির ছক কষছে ইরান? না, সেটা এখনই নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন,যদি দেশটার হাতে সেরকম ওয়ারহেড বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র চলে আসে তাহলে তো আর দেখতে হচ্ছে না। পারমাণবিক কর্মসূচিকে অস্ত্রে পরিণত করার পথ ইরানের কাছে আরও প্রশস্ত হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইসরাইল কারো হাতে কি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আছে? তারা কতটা প্রস্তুত? উত্তর দেবে ভবইষ্যত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version