রাতারাতি মুছে গেল ইসরায়েল ? চীনের ভয়ানক নকশার প্যাঁচ। লুকিয়ে বড় রহস্য

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনের ভয়ানক নকশার প্যাঁচ, রাতারাতি উবে গেল ইহুদী ভূমি। পৃথিবীর অতলে হারিয়ে গেল ইসরাইল? রহস্য ঘনাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের চোখ ঘুরছে। বাইদু-আলিবাবা কে ঘিরে দুনিয়া জুড়ে তোলপাড়। সাজানো ভুল নাকি বড়সড় কন্সপিরেসি? কোন মন্ত্রে বাসা বাঁধলো লুক্সেমবার্গ? বেইজিং এর নকশায় লুকিয়ে কোন বিপদ সংকেত? সত্যিই কী বড় রিস্কে পড়ে গেল মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার?একেই ব্যালেন্সের নামে লবডঙ্কা। তার মাঝে আরও বড় ব্লান্ডার করলো চীন। কিন্তু কি এমন করল শি এর দেশ? যে রাতারাতি চর্চার কেন্দ্রে। চীনের বিশ্ব মানচিত্রে থেকে জাস্ট গায়েব ইসরায়েল। একটা দেশ কী উবে গেল রাতারাতি? আসল রহস্যটা জানেন?

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের মাঝেই বিশ্ব মানচিত্রের অনলাইন ভার্সনে বিরাট চমক চীনের। রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের নাম মুছে দিল চীন। ম্যাপে থাকলোই না ইসরাইল। হ্যাঁ, শীর্ষ দুই চীনা কোম্পানি বাইদু এবং আলিবাবা বিশ্ব মানচিত্রের যে অনলাইন ভার্সন প্রকাশ করেছে, তাতে পাওয়াই যাচ্ছে না ইসরায়েলের নাম। আর এই বিষয়টাকে ইস্যু করেই বিশ্বজুড়ে হুলস্থূল কাণ্ড। প্রথম এই বিষয়টা মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের নজরে আসে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী, এমনকি লুক্সেমবার্গের মতো ক্ষুদ্র দেশের নামও চীনা মানচিত্রের অনলাইন ভার্সনে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু ইসরায়েলের নাম নেই। কেন এই তুলনাটা উঠছে? কারণ, লুক্সেমবার্গের আয়তন মাত্র ২ হাজার ৫৮৬.৪ কিলোমিটার। আর ইসরায়েলের আয়তন ২২ হাজার ৭২ কিলোমিটার তাহলে ভাবুন। এই আয়তনের একটা দেশ জায়গাই পেল না মানচিত্রে। তাও আবার এই মুহূর্তে যে দেশ প্যালেস্টাইন জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে আছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে এটা কি ভুল? নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে মানচিত্র থেকে ইসরাইলকে বাদ দিয়ে দিল চীন?

জানা যাচ্ছে চীনের ভেতরেও এ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হয়েছে তবে, বৈশ্বিক মানচিত্রের অনলাইন ভার্সন থেকে ইসরায়েলকে বাদ দিতে চীনের সরকারি পর্যায় থেকে কোনো নির্দেশ এসেছে কি না জানতে চাওয়া হয়েছিল বাইদু আর আলিবাবার কাছে। কিন্তু তারা কোনও কমেন্ট করতে নারাজ। বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, এই মানচিত্র থেকে ইসরাইল উধাও হওয়ার পেছনে বেইজিংয়ের রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে হ্যাঁ, সরাসরি চিন সরকার এই কাজ করেনি ঠিকই। তবে ওই দুই সংস্থার প্রকাশিত মানচিত্রে চীন সরকারের যে সমর্থন রয়েছে, তা বলতেই হচ্ছে। কারণ, অতীতে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে, চীন প্রশাসনের নির্দিষ্ট করা মানচিত্রের একচুল এদিক-ওদিক হলেই, মানচিত্র প্রকাশক সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে চীন সরকার। এবার তেমন কিছু এখনও ঘটেনি।

যদিও এটা মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, ঐতিহাসিকভাবে ইহুদীদের প্রতি চীনের দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু ইতিবাচক তবে বর্তমান পরিস্থিতি অন্য। যখন কিনা যুদ্ধের শুরুতে চীন প্যালেস্টাইনের হাত ধরলেও, পরে সুযোগ বুঝে ইসরায়েলের হয়ে সুর চড়াতে শুরু করে। তারপর থেকেই হামাস ইসরাইল যুদ্ধে চীনের স্ট্যান্ড পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা হয়ে গেছে। আর এর মাঝেই চীনের দুই সংস্থার কন্ট্রোভার্সিয়াল ম্যাপ নতুন করে বিতর্কের ঝড় তৈরি করল।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version