Ireland: আয়ারল্যান্ড দিচ্ছে দুর্দান্ত সুযোগ! পাবেন ৭১ লক্ষ টাকা, নাগরিকত্ব আর সুন্দর বাংলো

।। প্রথম কলকাতা ।।

Ireland: আপনার কাছে কি বিদেশ ভ্রমণ স্বপ্নের মতো? ইচ্ছা থাকলেও সাধ্য হয়ে ওঠে না। বিদেশের নানান দেশের দৃশ্য শুধু মুঠো ফোনেই বন্দি থাকে। বাস্তবে আর যাওয়া হয় না। আজকে আপনি এমন এক দেশের কথা জানবেন যেখানে গেলে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে না। বরং আপনার পিছনে সেই দেশের সরকার টাকা খরচ করবে। পাবেন প্রায় ৭১ লক্ষ টাকা। সাথে রয়েছে সুন্দর বাংলো, নাগরিকত্বসহ অনেক কিছু।

যে দেশটির কথা বলা হচ্ছে তার পরিবেশে অসাধারণ। মনে হবে যেন স্বর্গ রাজ্যে রয়েছেন। শান্ত নিরিবিলি। শুনতে অবাক লাগছে তো ? ভাবছেন এমনটা আবার হয় নাকি? এমনই দুর্দান্ত সুযোগ দিচ্ছে এক দেশ। যেখানে গেলে আরামে বিলাসবহুল জীবন কাটাতে পারবেন। দেশটি আয়ারল্যান্ড। ইউরোপের বরফে ঢাকা ছোট্ট একটা দ্বীপ রাষ্ট্র। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে থাকা এই রাষ্ট্রে জনসংখ্যার পরিমাণও অত্যন্ত কম। অসাধারণ মায়াবী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে প্রতিবছর লক্ষ্য লক্ষ্য পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। কিন্তু স্থায়ীভাবে বসবাস করার লোক দিনের পর দিন কমছে বৈ বাড়ছে না। দেশটার সরকারও জনসংখ্যা নিয়ে বেশ উদ্বেগে রয়েছে। তাই নতুন বসতি স্থাপনের জন্য আয়ারল্যান্ড সরকার নানান প্রকল্প চালু করেছে। তার মধ্যে অন্যতম ৭১ লক্ষ টাকার একটা স্কিম। এখানে যদি বিদেশীরা এসে বসবাস করেন তাহলে দেওয়া হবে ৭১ লক্ষ টাকা আর নাগরিকত্ব।

আয়ারল্যান্ড সরকারের মূল লক্ষ্য, এর মাধ্যমে দ্বীপগুলিকে সমৃদ্ধ করা। এই পরিকল্পনায় রয়েছে প্রায় ৩০ টি দ্বীপ। তবে হ্যাঁ, মনে রাখতে হবে এই দ্বীপগুলোর কাছাকাছি কিন্তু কোন উপকূল নেই। এছাড়াও দ্বীপগুলো একে অপরের সঙ্গে কোন সেতু দ্বারা সংযুক্ত নয়। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। তাহলে এখানে থাকতে গেলে কি করতে হবে? প্রথমেই দ্বীপগুলিতে সম্পত্তি কিনতে হবে। সেই সম্পত্তি যেন ১৯৯৩ সালের আগে এবং কমপক্ষে দু’বছর খালি পড়ে থাকে। স্থানটি সংস্করণ, কাঠামোগত উন্নতির জন্য প্রকল্পের অধীনে মোটা টাকাও পাবেন। যদি আপনি এই দ্বীপে গিয়ে বসবাস করতে রাজি হন তাহলে আবেদনও করতে পারেন। ইতিমধ্যেই আবেদন প্রক্রিয়া জুলাই থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। জুন, জুলাই, আগস্ট এই তিন মাস আয়ারল্যান্ড দেখার জন্য উত্তম সময়। যাবেন নাকি এই সুন্দর মায়াবী দ্বীপ রাষ্ট্রে?

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version