ইজরায়েলকে ইরান গুঁড়িয়ে দেবে! বেড়াল ঝুলির বাইরে, অপেক্ষা শেষ

।। প্রথম কলকাতা ।।

ইজরায়েলকে গুড়িয়ে দেবে ইরান! এ দিনটারই কি অপেক্ষা করছিল তেহেরান পারফেক্ট টাইমিং! ভয়ঙ্কর হাইপারসনিক মিশাইল ঝুলি থেকে বের করল ইরান। যে কোনও মূহুর্তে ঘুরে যেতে পারে যুদ্ধের মোড়। বেশি কিছু নয় ইব্রাহিম রাইসির একটা ইঙ্গিত মাত্র মধ্যপ্রাচ্যে যখন তখন লেগে যেতে পারে আরও একটা যুদ্ধ। অলরেডি ইজরায়েলকে প্রেসারে রাখতে ভারতগামী জাহাজকে ইমেন থেকে হাইজ্যাক করে নিয়েছে হাউথি গোষ্ঠী। লোহিত সাগরে একটি পণ্যবাহী জাহাজ হাইজ্যাক করা হয় বলে খবর। আর তাতেই ইজারায়েলের দাবি এর নেপথ্যে রয়েছে একমাত্র ইরান। তারমধ্যেই তেহেরান থেকে আসছে চাঞ্চল্যকর খবর নয়া হাইপারসনিক মিসাইল প্রকাশ্যে আনল ইরান। সরাসরি কি তেল আভিভের ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা? পরিকল্পনা আসলে কি সেটা জানতে পারা যায়নি, কিন্তু আল জাজিরা সূত্রে খবর রবিবার ইরানের রাজধানী তেহরানে এক সামরিক প্রদর্শনীতে নতুন এক ফাতাহ হাইপারসনিক মিসাইল প্রকাশ্যে আনে ইরান সেনার বিশেষ বাহিনী ‘ইসলামিক রেভোলি‌উশনারি গার্ডস কোর‘। আর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লা আলি খামেনেই।

নতুন এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র খতিয়ে দেখার পাশাপাশি এদিন আরও একবার ইজরায়েলের নিন্দায় সরব হন খামেনেই। গাজায় ইজরায়েলি সেনার হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন গাজার হাসপাতালগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল প্যালেস্টাইনের যোদ্ধাদের সঙ্গে তারা লড়াইয়ে পেরে উঠছে না। তাই রাগের বশে এই পন্থা অবলম্বন করছে। এখানেই শেষ নয় ক্ষোভ উগরে খামেনি আরও বলেন জায়নবাদ বর্ণবিদ্বেষের প্রতীক। একই সঙ্গে তিনি তোপ দাগেন ্ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানো পশ্চিমের দেশগুলোকেও। তাহলে হাইপারসনিক মিশাইল প্রকাশ্যে এনে ঘুরপথে নেতানইয়াহুর দেশকেই হুমকি? ফাতাহ্-২ নামের এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ১,৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে বিকল করতে সক্ষম এটি। ফার্সি ভাষায় ফাতাহ শব্দের অর্থ ‘জয়ী’। চলতি বছরের জুন মাসে ওই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা করা হয়েছিল ইরানের তরফে।

সমর বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন মধ্যপ্রাচ্যের এই রক্তক্ষয়ী সংঘাত আবহে নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রকাশ্যে এনে ইজরায়েলকে বিশেষ বার্তা দিতে চাইছে ইরান। এর আগেই গাজায় সাধারণ মানুষ ও শিশুদের মৃত্যু নিয়ে ইহুদি দেশটিকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ইরান। গত মাসে তারা বলেছিল ইজরায়েলের বিচ্ছিন্নতাবাদী যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। কিন্তু প্রকাশ্যে অস্ত্র আনা মানেই এই নয় যে ইজরায়েলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া এটা কৌশলি হুমকি ছাড়া আর কিছু নয় দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version