Qatar Death Sentence to Indians: কাতারের সামনে আন্তর্জাতিক বিপদ! ভারত নেবে মোক্ষম স্টেপ, ৮ অফিসারের মুক্তির চান্স কতটা?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Qatar Death Sentence to Indians: কাতারের বিপদ! ভারত নিতে পারে চরম স্টেপ দিল্লি কীভাবে বাঁচাবে কাতারে আটক ৮ অফিসারকে? কোন কোন পথ খোলা রয়েছে? জয়শঙ্কর দিয়ে দিলেন আল্টিমেটাম। এত বড় শাস্তি দিয়েও কাতার কেন চুপ? ঠিক কতদিন সময় রয়েছে ভারতের হাতে ৮ প্রাক্তন নেভি অফিসারকে বাঁচানোর জন্য? সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে ভারত এই ইস্যুতে পরিস্কার জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রাক্তন সেনাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তাদেরকে আশ্বাস দিয়ে বলেন এই বিষয়টি কেন্দ্রের কাছে এই মুহূর্তে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সাজাপ্রাপ্তদের নিরাপত্তার সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে দিল্লির তরফে।

সত্যিই কি তাই? ভারত চাইলেই কি আটকাতে পারে এই মৃত্যুদন্ড? আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন একেবারেই রয়েছে সেই আশা। তার আগে আপনাদের জানিয়ে রাখি ভারতের হাতে এমূহুর্তে ঠিক কোন কোন অপশন রয়েছে। জাকির নায়েক থেকে নূপুর শর্মা আগেও কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিগড়েছে ভারতের। সেটা এতটাও খারাপ পর্যায়েও এসে পৌঁছয়নি। এক্ষেত্রে লক্ষ্য করবেন কাতার কিন্তু কানাডার মতো ভোকালও নয় তারা শুধুমাত্র মৃ্ত্যুদন্ডের নির্দেশ দিয়েই খালাস। কোনওধরণের কথোপকথন নয় কোনওধরণের কূটনৈতিক বার্তালাপ নয়। প্রশ্ন উঠছে ২০১৫ সালে স্বাক্ষর করা চুক্তিও কি এক্ষেত্রে কোনওকাজে আসবে না? আইন বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই ৮ অফিসারকে মুক্তি দেওয়ার প্রথম ধাপ হল কাতারের বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের মুক্তির জন্য আবেদন করা। যদি কাতার যথাযথ আইনি পদ্ধতি অনুসরণ না করে বা ভারতকে আবেদনের কোনও সুযোগ না দেয় সেই ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে আবেদন করতে পারে ভারত।

নৌসেনার প্রাক্তন অফিসারদের মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে সরকার কূটনৈতিক চাপও ব্যবহার করতে পারে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং সুশীল সমাজ বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিয়ে যেতে পারে। রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকেও কাতারের উপর চাপ সৃষ্টি করা যেতে পারে অভিযোগ এবং রায়ের বিশদ বিবরণ এখনও জানা না গেলেও আন্তর্জাতিক আইন এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তির বিধান অনুযায়ী কিছু কিছু ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণত বিদেশি নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায় না। তাই, সাজা প্রাপ্ত ভারতীয় নাগরিকদের মুক্তির আশা রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার কাতারের কোনও সংবাদমাধ্যমেই ভারতীয়দের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া নিয়ে কোনও খবর প্রকাশিত হয়নি। এদিকে কাতারের আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি এখনও ভারতের হাতে এসে পৌঁছায়নি। এই সবের মঝেই রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক নীরবে এই ৮ ভারতীয়কে কাতারের জেল থেকে দেশে ফেরানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে। কূটনৈতিক চ্যানেলে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে কি না সেদিকেই কার্যত নজর দিয়েছে ভারত। এদিকে আইনি দিক দিয়েও এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

২০১৫ সালে ভারত ও কাতারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তিতে বলা হয় ভারতের কোনও নাগরিক যদি কাতারে গ্রেফতার হয় বা কাতারের নাগরিক ভারতে গ্রেফতার হয় তাহলে নিজেদের দেশে সেই ধৃতকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এরপর সাজার বাকি কাল নিজের দেশের জেলেই কাটাবে সেই অপরাধী এবার দেখার এই পথেও দিল্লি এগোয় কিনা? নাকি সরাসরি আন্তর্জাতিক কূটনীতির প্যাঁচেই ফেলা হয় কাতারকে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version