।। প্রথম কলকাতা ।।
Qatar: কাতারে বড় সাফল্য ভারতের এবার হবে মুখোমুখি লড়াই। ৮ অফিসারের মৃত্যুদণ্ডের খবরের বড় আপডেট। ভারত প্রথমেই যে পথে হাঁটল তাতে প্রাথমিক সাকসেস। কাতারের কোর্টেই এবার দোহাকে আইনের প্যাঁচে ফেলবে দিল্লি। কাতারের মাটিতে ভারত সুযোগ করে নিল তাহলে এবার ভারতের সামনে খুলে গেল ৮ অফিসারকে বাঁচানোর আরও বেশ কয়েক দরজা। ভারতের স্পেশাল আইনজীবীরা কাতারের মাটিতে গিয়ে লড়বেন আইনি লড়াই? বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেই দিয়েছিলেন কাতারে থাকা ৮ প্রাক্তন নেভি অফিসারদের মৃত্যুদন্ডের বিষয়টিই বর্তমানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখবে ভারত। সেই কথাই মিলে যাচ্ছে একেবারে অক্ষরে অক্ষরে। মিন্ট সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে প্রাক্তন আট নৌসেনার মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ করল কাতার কোর্ট। ভারত সরকারের তরফে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই আট নৌসেনার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ্কাতার কোর্ট এই মামলার শুনানিতে সম্মতি জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর মানে এবার জানা যেতে পারে ঠিক কোন অপরাধে ওই ৮ ভারতীয় অফিসারেকে মৃত্যুদন্ডের মতো সাজা দিয়েছিল কাতার। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই কাতার কোর্টে এই মামলা উঠবে। আট নৌসেনার মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এই মামলার শুনানি হবে। এক্ষেত্রে একটু জানিয়ে রাখি গত ২৬ অক্টোবর কার্যত আকাশ ভেঙে পড়ার মতো খবর এসে পৌঁছয় ভারতে। আটজন প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে কাতার প্রশাসন। কী অপরাধে এত বড় সাজা এখনও তা পরিস্কার জানা যায়নি। এই ঘটনার পরই এই মৃত্যুদণ্ড রদের জন্য আইনি সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। কাতার প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগেই এই ৮ প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীকে গ্রেফতার করে কাতার। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত এবং নাবিক রাগেশ। এরপর তাঁদের বিচার প্রক্রিয়া চলে। ্কাতারের দাবি দোষ প্রমাণিত হওয়ায় কাতার আদালত তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়। যদিও গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মৃত্যুদণ্ড প্রাপক ও প্রাক্তন নৌসেনারা। আর দোষ যে প্রমাণিত হল সেই প্রমাণ তো ভারতকে দিতে হবে।
আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন এবার অ্যাটলিস্ট রাস্তা খুলল আইনের মাধ্যমে লড়াই করার। এই আদালতে ন্যায় না মিললে ভারত আন্তর্জাতিক আদালতের দিকে এগোতে পারবে। কাতারে গুপ্তচর বৃত্তির সর্বোচ্চ সাজা ডেথ পেনাল্টি প্রক্তন নৌসেনা কর্মীদের মৃত্যুদণ্ড রদ করার জন্য। এখন ভারতের সামনে যে কয়েকটি পথ খোলা রয়েছে তার প্রথমত, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে নতুন করে আপিল করা। যা ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি করেছে এবং সেই আবেদন গ্রহণও করে ফেলেছে কাতার কোর্ট। এ ছাড়া ২০১৫ সালে কাতারের সঙ্গে ্ভারতের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন এই নৌসেনা কর্মীদের ভারতে ফিরিয়ে এনে তারপর সাজার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে মোদী সরকার। তৃতীয়ত, কাতার আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের যেতে পারে ভারত। যদিও এখনও সে পথে এখনও হাঁটেনি নয়াদিল্লি। এবার দেখার কাতার কোর্টের এই লড়াইয়ে ভারত মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদে কী যুক্তি খাড়া করে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম