ইজরায়েলকে সার্পোট না করলে যুক্তরাষ্ট্র ফ্যাঁসাদে! ফেলো ডলার তোলো কলার, কতটা ক্ষমতা ইহুদিদের?

।। প্রথম কলকাতা ।।

ইজরায়েলকে সমর্থন না করলে প্যাঁচে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। এইপ্যাক (AIPAC) একবার হাত তুলে নিয়েই সর্বনাশ কেন ইজরায়েলকে অন্ধের মতো সমর্থন করে আমেরিকা? ট্রাম্প থেকে বাইডেন ফেলো ডলার তোলো কলার নীতি মানতে বাধ্য। প্রেসিডেন্ট বদলে যায় কিন্তু নীতি বদলায় না। ইজরায়েল আমেরিকার ওপর নাকি আমেরিকা ইজরায়েলের ওপর নির্ভরশীল? আমেরিকাকে গোপনে কী পাঠায় তেল আভিভ জানা আছে? জিও পলিটিক্স বলে চাহিদা ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কও বদলায়। ১৯৪৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানের সময় থেকে কিছু বদলায়নি। বাইডেন ইজরায়েলে গিয়েই কেন এত গদগদ হয়ে নেতানইয়াগুকে সমর্থন করলেন। গাজা হাসপাতালে ইজরায়েলের হামলার অভিযোগ সরাসরি নস্যাত করলেন তার নেপথ্য বড় কারণ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি অনেকেই জানেন ইজরায়েল মাথার ওপর সবসময় আমেরিকার হাত আছে, কিন্তু পাল্টা গোপনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ইহুদিরা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ অনেকেরই সেই ফ্যাক্ট অজানা। কূটনৈতিক মহল বলছে ইজরায়েলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাপোর্টের সবথছেকে বড় কারণ হল মার্কিন রাজনীতিতে ইজরায়েলপন্থীদের প্রভাব। বেশ কয়েকটি ইহুদি সংস্থা রয়েছে। যারা একপ্রকার মার্কিন সরকারকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে ইজরায়েলকে সমর্থন করতে বাধ্য করে। সবথেকে বড় এবং রাজনৈতিক দিক থেকে প্রভাবশালী সংস্থাটি হলআ মেরিকা-ইজরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি বা ‘এইপ্যাক’ (AIPAC) বিভিন্ন প্রকারের সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ধীরে ধীরে এই ধরনের সংগঠনগুলির সদস্যরা মার্কিন-ইহুদি মধ্যে তো বটেই পাশাপাশি খ্রিস্টানদের মধ্যেও প্রভাব বিস্তার করে।

জনমানসে ইজরায়েলপন্থী গোষ্ঠীগুলির প্রভাবই যথেষ্ট নয় সবথেকে বড় পয়েন্ট মার্কিনি-ইহুদি সম্প্রদায়ের টাকার জোর বা ডলারের জোর। মার্কিন ফেডারেল নির্বাচনে রিপাবলিকান হোক কি ডেমোক্র্যাট রাজনৈতিক প্রার্থীদের কোটি কোটি ডালার অনুদান দেয় ইহুদিরা। যা নির্বাচনে বড় প্রভাব রাখে বলেও মত একাংশের। তথ্য বলছে ২০২০ সালে প্রচারের সময় ইসরায়েলপন্থী গোষ্ঠীগুলি সব মিলিয়ে মোট ৩ কোটি ৯ লক্ষ ডলারেরও বেশি অর্থ দান করেছিল। ভারতীয় মুদ্রায় ২৫৭ কোটি টাকারও বেশি এর ৬৩ শতাংশ গিয়েছিল ডেমোক্র্যাটদের ঘরে ৩৬ শতাংশ রিপাবলিকানদের তবে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ইজরায়েল প্রীতি এবং আরব বিদ্বেষ গোপন করতেন না। তবে, ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান দল মিলিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই কিন্তু ইজরায়েলপন্থী কিন্তু এখন এটাও স্বীকার করতে হয় ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে প্যালেস্টাইন সমর্কদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে সাধারণত যাই ঘটে যাক না কেন ইজরায়েলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন সবসময়ই দেখা যায়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version