Potato Farming: আলুর ফলন বেশি হবে কী ভাবে? কৃষক বন্ধুরা শুনছেন !

।। প্রথম কলকাতা ।।

Potato Farming: বিশ্বের বহু দেশের অন্যতম প্রধান ফসল হিসেবে চাষ করা হয় আলু। অনুকূল আবহাওয়া এবং বাজারজাতকরণের সুবিধার জন্য ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয় আলু। এর চাহিদাও রয়েছে তেমন। স্বাভাবিকভাবেই বাজারে থাকা চাহিদার জোগান দিতে গেলে আলুর ফলন বৃদ্ধি পাওয়া প্রয়োজন। আলু হল একটি স্বল্পমেয়াদী উচ্চ ফলনশীল ফসল। তাই এই চাষ করতে গিয়ে চাষী ভাইরা কী কী পন্থা অবলম্বন করলে সহজেই আলুর ফলন বাড়াতে পারবেন সেই সংক্রান্ত কিছু তথ্য নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন।

আলুর ফলন বৃদ্ধি করতে গেলে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন:

১) উচ্চ ফলনশীল বীজ

আলু চাষের জন্য উন্নত জাতের বীজ বেছে নেওয়াই শ্রেয়। বর্তমানে হিরা, আইলসা, পেট্রোনিস, মুল্টা, ডায়ামন্ড, কার্ডিনাল মন্ডিয়াল, চমক প্রভৃতি জাতের আলু বেশি চাষ করা হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই সমস্ত জাতের আলু গুলির ফলন অন্যান্য জাতের তুলনায় অনেকটাই বেশি।

২) মাটি নির্বাচন ও উৎপাদন পদ্ধতি

যে কোন শস্য চাষ করার পূর্বে তার জন্য কোন মাটি আদর্শ তা জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। দোঁআশ মাটিতে আলু চাষ করে থাকেন কৃষক ভাইয়েরা। তবে এমন অনেক চাষী রয়েছেন যারা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি মেনে চাষ করেন না। যার কারণে ফলন তেমন হয় না। তাই আলুর ফলন যদি বাড়াতে হয় সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে অবশ্যই চাষ করার প্রয়োজন রয়েছে।

৩) সারের পরিমাণ

কৃষকেরা যদি আলুর উচ্চ ফলন পেতে চান তবে আলু রোপনের আগেই তাদেরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে গোবর ,ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ,জিপসাম এবং জিঙ্ক সালফেট। প্রায় ৩০-৩৫ দিন পর আবার কিছুটা ইউরিয়া দিতে হবে জমিতে।

৪) সেচ

আলু মূলত একটি শীতকালীন সবজি । আর শীতকালের আবহাওয়া এমনিতেই থাকে শুষ্ক। যার জন্য পর্যাপ্ত জলের পরিমাণ কম হলেই কিন্তু তার মারাত্মক প্রভাব পড়ে আলুর ফলনের উপরে। গবেষণায় বলা হয়েছে, আলুর বীজ বপন করার ২০-২৫ দিনের মাথায় একবার সেচ দিতে হবে। তারপর আবার ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মাথায় দ্বিতীয় সেচ দিতে হবে। তৃতীয় সেচ দিতে হবে আরো ২০- ২৫ দিন পরে।

৫) পোকামাকড় দমন

আলুর ফলন ভালো হল কিন্তু তাতে যদি পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা যায় তবে কৃষক বন্ধুদের সমস্ত পরিশ্রমই জলে চলে যাবে । মূলত আলুতে কাটুই পোকার উপদ্রব দেখা দেয় । এই পোকা আলু থেকে দূরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কীটনাশক স্প্রে করতে হবে । এছাড়াও মাঠে থাকা অবস্থায় আলুতে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। যেমন আলুর দাঁদ রোগ, আলুর মোজাইক রোগ, অনেক ক্ষেত্রে আলু নরম হয়ে পচে যাওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে সেচ দেওয়া বাদ রাখতে হবে এবং কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে আলুতে দিতে হবে কীটনাশক।

এই সমস্ত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে উচ্চ ফলনশীল জাতের আলুর পরিপক্কতা আসতে সময় লাগবে ৮০ থেকে ১০০ দিন। তারপরে সংগ্রহ করা যাবে সেই আলুগুলি। দেশি জাতে যদিও আরও বেশ কিছুটা সময় লাগে ভালো ফলন পেতে।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version