Bangladesh: পরিবেশ দূষণ রোধে বাংলাদেশের পাশে বিশ্ব ব্যাঙ্ক, পড়শি দেশের জন্য কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে?

।। প্রথম কলকাতা।।

Bangladesh: দূষণ রোধে বাংলাদেশের সঙ্গ দিল এবার বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বহুবার বিশ্বের দূষণ সূচকে শীর্ষস্থানে নাম এসেছে সেদেশের। নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে মাঝে দূষণ কিছুটা কমানো গেলেও, সেভাবে লাভ পাওয়া যায়নি। ফের বিষ মিশেছে পড়শি দেশের হাওয়ায়। ২০১৯ থেকে বাংলাদেশের দূষণ চিত্রে নজর রেখেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। আর এবার বাংলাদেশের পরিবেশ ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৫০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ নামে প্রকল্পে এই টাকা ব্যবহার করা হবে। পরিবেশকে দূষিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী। তা না হলে সে দেশের মানুষের ক্ষতি হওয়ার সঙ্গে উন্নতিতেও বাধা তৈরি হয়।

দূষণ রোধে বাংলাদেশে জারি এই প্রকল্প পরিবেশ অধিদপ্তরকে তার প্রযুক্তিগত প্রশাসনিক ক্ষমতা জোরদারে সহায়তা করবে। ‘BEST প্রকল্প’টি দূষণ রোধ ও পরিবেশের গুণগত মান বাড়ানোর জন্য পরিবেশগত আইন-কানুন প্রয়োগের উন্নতিতেও সাহায্য করবে। তার মূল লক্ষ্য দূষণের মাত্রা কমিয়ে সবুজায়নের পথে এগিয়ে যাওয়া। এই প্রকল্পে আরও পাঁচ বছর অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়েছে অর্থাৎ মোট ৩৫ বছর পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এই আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার মেল করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে।

সমীক্ষা বলছে, যদি এই প্রকল্প ঠিকঠাক মতো চালানো যায় তাহলে রাজধানী ঢাকা ও সংলগ্ন এলাকায় দূষণ সমস্যা অনেকটাই কমবে। প্রায় ২ কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ দূষণের কোপ থেকে মুক্তি পাবেন। এদিকে বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্কের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দানদান চেনের কথায়, পড়শি দেশের অর্থনীতিতে দ্রুত পরিবর্তন ও নগরায়ন দূষণের উপর প্রভাব ফেলছে। আর দূষণ আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর শুধু প্রভাব ফেলছে তা নয়, দেশের অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার ক্ষমতাও নষ্ট করছে। বিইএসটি দেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নের জন্য কাজ করা পরিবেশ সংস্থাগুলিকে শক্তিশালী করবে। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের দেওয়া টাকা দিয়ে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ইলেকট্রনিক বর্জ্য পরিষ্কার, গাড়ি থেকে দূষণ পরীক্ষার জন্য আলাদা বেশ কয়েকটি কেন্দ্র তৈরি হবে। ২০৫০-এর মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্র স্থির করেছে গোটা বিশ্ব। সেখানে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম নয়। আর তাই এই আর্থিক সাহায্য।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version