পুজোর আগে কতটা ব্যস্ত কুমোরটুলি? বিদেশে গেল কটা প্রতিমা? খোঁজ নিল প্রথম কলকাতা

।। প্রথম কলকাতা ।।

মাঝে আর এক মাসও বাকি নেই। সাজো সাজো রব কুমোরটুলিতে। শিল্পীরা ভুলতে বসেছেন নাওয়া খাওয়া। দিনে ২৪ ঘন্টাই ব্যস্ত থাকলে তারা খুশি। হাতে অর্ডার আসতে শুরু করেছে অঢেল। আপাতত কুমোরটুলিদের শিল্পীদের মধ্যে এখন খুশির আবহ। কেউ বাঁধছেন খড়, কেউ বা খড়ের গায়ে লেপছেন মাটি। আবার অনেকেই বিদেশে ঠাকুর পাঠানোর জন্য তড়িঘড়ি কাজ সারছেন। ইতিমধ্যেই বহু জায়গায় দেবীর সাজ সজ্জা শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর ঠিক এক মাস আগে কুমোরটুলির ব্যস্ততা কতটা? প্রজন্মের পর প্রজন্ম এভাবেই কি কুমোরটুলিতে ঠাকুর তৈরি হয়ে যাবে? নতুন প্রজন্ম দায়িত্ব নিচ্ছে তো? অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বিদেশে কুমোরটুলি থেকে ঠিক কতগুলো ঠাকুর গেল? এসব কিছু জানতে কুমোরটুলিতে ঢুঁ দিয়েছিল ‘প্রথম কলকাতা’র ক্যামেরা। প্রতিনিধিরা কথা বললেন কুমোরটুলির শিল্পীদের সঙ্গে।

সেই ২০০৪ সাল থেকে বাবার কাজের দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়েছেন শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পাল। হাতে রয়েছে বড় বড় কয়েকটি কাজ। যার মধ্যে অন্যতম নোয়াপাড়ার জলের ঠাকুর। জলের মধ্যে তৈরি করছেন পাঁচটা ধাম অর্থাৎ থাকবে পাঁচটা মন্দির। সেই তালিকায় রয়েছে পুরীর মন্দির, রামেশ্বরম কৃষ্ণের মন্দির, কেদারনাথ ধাম প্রভৃতি। এছাড়াও একটি মন্দিরের ভিতরে থাকবে সোনালী দুর্গা। যা এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে, এক ঝলক দেখলে মনে হবে প্রতিমা তৈরি হয়েছে সোনা দিয়ে। যে শিল্পীর কথা বলা হচ্ছে তার আঙুলের ছোঁয়ায় রয়েছে অসাধারণ প্রতিভা। ২০২২ সালে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন ভাইরাসুর নামক প্রতিমা গড়ে। যার জন্য লন্ডনে পেয়েছেন বিশ্বের সম্মান। এছাড়াও তিনি করোনাসুর, ডেল্টাসুর সহ সময়ের উপযোগী বিভিন্ন প্রতিমা বানিয়েছেন। শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পাল আশা করেন, পরবর্তী প্রজন্মও কুমোরটুলির দায়িত্ব সযত্নে কাঁধে তুলে নেবে।

কুমোরটুলির বিভিন্ন জায়গায় বেশ ব্যস্ততার ছবি। দিল্লী বোম্বে তো রয়েইছে, বহু ঠাকুর চলে যাচ্ছে বিদেশের মাটিতে। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন দেশে রওনা দিয়েছে কুমোরটুলির প্রতিমা। আমেরিকাতেও যাচ্ছে বেশ কয়েকটা প্রতিমা। সদ্য গেছে গণেশ চতুর্থী। গণেশ পুজোর কাজ শেষ হতেই শিল্পীরা এখন পুরোদমে মন দিয়েছেন দেবী দুর্গার প্রতিমা বানানোর কাজে। কারোর হাতে অর্ডার আসছে ২৫ টা, আবার কারোর হাতে অর্ডার আসছে ৩০ টা। এককথায় কুমোরটুলি এখন ভীষণ ব্যস্ত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version