।। প্রথম কলকাতা ।।
Country Without River: নদী ছাড়া বেঁচে রয়েছে বিশ্বের আস্ত ৩ টে দেশ! কীভাবে জলের জোগান দিচ্ছে দেশগুলো? শুনলে অবাক হবেন। এর মধ্যে হয়ত অনেক দেশে আপনি গেছেনও। কিন্তু বুঝতেই পারেননি সেখানে জলের এত সমস্যা। জল বদলে একটা জিনিস ছিল বলেই কি এরা এত ধনী? জল ছিল না কিন্তু তেল ছিল। আর সেই তেল বিক্রি করেই জল কিনছে এরা। বুঝতে পেরেছেন নিশ্চই, কোন দেশের কথা বলছি। সৌদি আরব, এদেশের পশ্চিম দিকে লাল সাগর রয়েছে। দক্ষিণ দিকে ওমান এবং ইয়েমেন, উত্তর দিকে জর্ডান এবং ইরানের সীমানা। আর পূর্বদিকের দেশটি হলো কুয়েত। অগণিত খেজুরগাছ ঘেরা সৌদি এত ধনী হওয়া সত্ত্বেও এদেশের ভাগ্যে ছিল না কোনও নদী।
নদী ছাড়া দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওমান। এ দেশটি আরবের দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি ছোট দেশ। এ দেশের দ্বিতীয় নাম সালতানান ওমান। মধ্যপ্রাচ্যের ছোট একটি দেশ কাতার। এ দেশটিও নদীর মুখ দেখেনি কোনওদিন। বর্তমান সময়ের খুবই উন্নত দেশ কাতার। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ কর্মসংস্থানের উদ্দেশে সেদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। এছাড়াও রয়েছে আরব আমিরাত, কুয়েতেও জানে না নদী কাকে বলে। তারপরও এখানকার জনজাতি টিকে আছে কীভাবে? কত দামে জল বিক্রি হয় এদেশগুলোতে কারা দেয় এদের জল?
তথ্য বলছে, সৌদি আরবের বেশিরভাগই অংশই ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভরশীল। আজও এখানকার মানুষ জলের জন্য কূপ ব্যবহার করে থাকেন। তবে ভূগর্ভস্থ জলও সমস্ত জনগোষ্ঠী জলের অভাব দূর করতে পারে না। পরিসংখ্যান তো এটাও বলছে এখানকার ভূগর্ভস্থ জলও শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। তাই জলের অভাব মেটাতে সৌদি আরবে সমুদ্রের জলকে পানযোগ্য করে ব্যবহার করা হয়। বুঝতেই পারছেন এই প্রক্রিয়া মারাত্মক ব্যয়বহুল।
https://www.facebook.com/100069378195160/posts/717757987213468/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz
ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর সৌদি আরব তার জিডিপির ২ শতাংশ জলের জন্য খরচ করে। নদী না থাকলেও সৌদি আরব দুটি সাগর দ্বারা বেষ্টিত। এই দেশের পশ্চিমে রয়েছে লোহিত সাগর এবং পারস্য উপসাগর দ্বারা পূর্বে বেষ্টিত আরবের কাছে এই দুটি সমুদ্রই বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সৌদি আরব সমুদ্রের জলকে পানযোগ্য করে ব্যবহার করে সাগরের জল পানযোগ্য করতে রিভার্স অসমোসিস পদ্ধতি প্রয়োগ করে, তা ডিস্যালিনেশন বা বিলবণীকরণ করা হয়। অর্থাৎ সাগরের জল লবণমুক্ত করা হয়, তার তা পিউরিফাই করে গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। শুধু সৌদি একা নয় কাতার , বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে এভাবে জল লবণমুক্ত করা হয়। ইসরায়েলেও এই পদ্ধতি চালু আছে৷ তবে যথেষ্ট ব্যয়বহুল এই প্রক্রিয়া। যদিও মধ্যেপ্রাচ্যের এই সব দেশগুলো ধনী বলেই হয়ত পেরে উঠছে এভাবেই
জীবনকে দাম দিয়ে কিনতে জলের আরেক নাম তো জীবন, তাই না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম