Bangladesh: অশনি সংকেত! একই মাসে ঘূর্ণিঝড় তাপপ্রবাহ বন্যা, বাংলাদেশে ভীষণ ভাইটাল আগস্ট মাস

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh: অশনি সংকেত! বাংলাদেশে ভীষণ ভাইটাল হতে চলেছে আগস্ট মাস। এই একটা মাসে ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহ, বন্যা , বৃষ্টি সবই সহ্য করতে হবে দেশটাকে। যেতে যেতে খেল দেখাবে বর্ষা, আরো বাড়বে ডেঙ্গুর প্রকোপ। পরিস্থিতি সামলাতে পারবে তো? কী বলছে আবহাওয়া অফিস?

সাধারণত আগস্ট মাসের শেষ মানে বর্ষার বিদায় ঘন্টা বাজল। ধীরে ধীরে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটবে। আকাশে খেলে বেড়াবে পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘ। কিন্তু আগস্ট শেষ হওয়ার আগে দেখাবে বিচিত্র রূপ। বৃষ্টির পাশাপাশি দেশটাকে ভোগ করতে হবে মৃদু তাপপ্রবাহ। আগস্ট মাস জুড়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি থাকবে। প্রায় ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৮° সেলসিয়াস। তুমুল বৃষ্টির সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বৃষ্টিতে ভিজবে দেশটার উত্তর পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল আর দক্ষিণ-পূর্বের পার্বত্য এলাকা। বেশি বৃষ্টি হলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে। আসলে এই আগস্টটা অনেকটা হ য ব র ল এর মতো। প্রকৃতির নানান রূপ দেখা যাবে এই মাসে। লঘুচাপ নিম্নচাপ তাপপ্রবাহ থেকে শুরু করে বন্যা, সবই হতে পারে বলে মনে করছে দেশটার আবহাওয়া অফিস। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে দুটো লঘুচাপ, যার একটি রূপ নিতে পারে মৌসুমী নিম্নচাপে। দুই থেকে তিন দিন মতো মাঝারি বজ্র ঝড়ে ভুগতে হতে পারে দেশের উত্তর এবং মধ্যাঞ্চলকে। এছাড়াও গোটা দেশে তিন থেকে চার দিন হালকা বজ্রঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশে গড়ে সবথেকে বৃষ্টি হয় জুলাই মাসে। অথচ ২০২৩ এর জুলাইতে স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৫১ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। আগস্ট মাস শুরু হতে না হতেই বদলাচ্ছে আবহাওয়া। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি ফোর বি ঘূর্ণিঝড় মঙ্গলবার দুপুরে আঘাত করেছে বরিশাল আর খুলনা বিভাগের স্থলভাগে। দমকা হাওয়া সহ ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৮৩ কিলোমিটার। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কাছে বুঝবার দুপুর পর্যন্ত তলিয়ে গেছে ২৬টি ফিশিং ট্রলার। উচ্চ গতির ঝোড়ো হাওয়া তাণ্ডব চালিয়েছে সাগর পাড়ে। গুঁড়িয়ে গেছে বেশ কয়েকটা বাড়ি। বুধবারও ১০ জেলার উপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস ছিল।

আসলে বিশ্ব জুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশকে ভোগ করতে হচ্ছে অসহনীয় ভ্যাপসা গরম। বেশি তাপ আর কম বৃষ্টিপাতের জেরে প্রকোপ পড়ছে দেশটার জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং কৃষির উপর। একদিকে বাড়ছে কৃষি উৎপাদনের খরচ, অপরদিকে কমছে ভূগর্ভস্থ জলের রিজার্ভ। পাল্লা দিয়ে ভারী হচ্ছে রোগ ব্যাধির প্রকোপ। এখনো পর্যন্ত দেশটাতে ডেঙ্গুর আস্ফালন কমেনি। সাধারণত মে থেকে সেপ্টেম্বর মাসকে এই রোগের মৌসুম বলে মনে করা হয়। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, আগস্টে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। এই মাস হতে পারে চলতি বছরে ডেঙ্গুর পিক সিজন। যদিও নদ নদীতে ঘেরা বাংলাদেশের কাছে এমন আবহাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই অযথা আতঙ্কিত হবেন না। সুস্থ থাকতে একটু সতর্ক থাকুন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version