Hikikomori in Japan: করোনার পর হিকিকোমোরি আতঙ্ক, বাড়ির বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছে রোগী!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Hikikomori in Japan: করোনা (Corona) ঢেউ সামলাতে না সামলাতেই জাপানকে (Japan) গ্রাস করলো নতুন আতঙ্ক। নাম হিকিকোমোরি (Hikikomori)। এই রোগে দেশটির প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত। দেশটির একটা বড় অংশ নাগরিক স্বাভাবিক জীবন যাপন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। সামাজিক কাজে দেখা দিয়েছে অনীহা। তারা কারোর সাথে মিশতে চান না। কথা বলতে চান না। এমনকি প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দোকানেও যেতে চান না। এক কথায় যাকে বলা হয় নিভৃতবাস। আসলে এটি সম্পূর্ণ এক মানসিক রোগ। যে অবস্থায় মানুষ একা বিচ্ছিন্ন ভাবে জীবন কাটাতে চায়। দীর্ঘদিন মনের মধ্যে দুঃখের পাহাড় জমতে জমতে তারা সমাজের প্রতি আতঙ্কিত। পড়াশোনার চাপ, অফিসের চাপ, সংসারের চাপের পাশাপাশি ভয়ানক প্রতিযোগিতায় জাপানের মানুষ ধীরে ধীরে একা হয়ে পড়ছে। তারা এখন সমাজ থেকে দূরে থাকতে চাইছেন।

কী বলছে সমীক্ষা ?

জাপান সরকার হিকিকোমোরির শিকার হওয়া ঠেকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই সমস্যায় পড়লে ব্যক্তি খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি বিষণ্নতা অনুভব করেন। এর পেছনে রয়েছে আধুনিক সমাজের চাপ। পাশাপাশি পড়াশোনায় ভালো করার চাপ এবং প্রচুর প্রতিযোগিতাও এর জন্য দায়ী। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জাপানের মন্ত্রিসভার দফতর এই বিষয়ে একটি সমীক্ষা করেছে। ১০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ৩০ হাজার মানুষ এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। যেখানে ১৫ থেকে ৬২ বছর বয়সীদের মধ্যে ২% এই রোগে আক্রান্ত। ভয়ের বিষয় হল, এই সমস্যায় আক্রান্তের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে টোকিওতে অন্তত ৯০০০ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। অনেকেই আছেন যারা ভয়ে স্কুল কলেজ যাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন।

কেন এমন হয় ?

হিকিকোমোরিতে ভুগছেন এমন একজন ব্যক্তি বাড়ি ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন। স্কুলে যেতে, কাজ করতে বা দোকানের বাইরে থেকে গৃহস্থালীর জিনিসপত্র কিনতে দেখা দেয় প্রচণ্ড অনীহা। আক্রান্ত ব্যক্তিরা ঘর থেকে বের হতে চান না। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার মতে, হিকিকোমোরির পিছনের কারণগুলি সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার নয়। কিছু মনোবিজ্ঞানী বলেছেন যে একজন ব্যক্তি জীবনের কিছু চাপের ঘটনায় বিরক্ত হয়ে সমাজ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। কিছু গবেষণায় এটাও সামনে এসেছে যে হিকিকোমোরি পরিবারে সমস্যা বা ব্যথার সাথে সম্পর্কিত। জাপানে গত কয়েক বছরে সমাজ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। এটি সমাজে উদ্বেগ, হতাশা বা ভয়ের অবস্থার সাথেও যুক্ত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version