Hanuman Jayanti 2023: হনুমান জয়ন্তীতে কোন সময় পুজো করলে মিলবে সুফল? দান করুন ছোট্ট জিনিস

।। প্রথম কলকাতা ।।

Hanuman Jayanti 2023: প্রায় ১২ বছর পর গুরু আদিত্য যোগে পালিত হচ্ছে ২০২৩ এর হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)। তাই এবারের হনুমান জয়ন্তী একটু বিশেষ। ধর্মীয় কাহিনী এবং প্রচলিত বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে হনুমান জয়ন্তীতে (Hanuman Jayanti) এমন কিছু কাজ রয়েছে যা করা উচিত নয়। ২০২৩ এর হনুমান জয়ন্তী পড়েছে বৃহস্পতিবার। বলা হয় কোন ব্যক্তি যদি ভক্তিভরে হনুমানজির কৃপা পেতে রাশি অনুযায়ী জপ করেন তাহলে তার জীবনের সব সংকট কেটে যায়। পাশাপাশি পূরণ হয় মনের বাসনা। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, চৈত্র মাসের শুক্রপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে হনুমানজির জন্ম হয়েছিল। আবার অন্য মতে, তিনি ছোট দীপাবলিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। উদয়া তিথি অনুযায়ী, হনুমান জয়ন্তী পালিত হবে ৬ই এপ্রিল। এই দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুজোর বেশ কয়েকটি শুভ মুহূর্ত রয়েছে।

(১) সকাল ৬টা ৬ মিনিট থেকে ৭টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত
(২) সকাল ১০টা ৪৯ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত
(৩) বেলা ১টা ৫৮ মিনিট থেকে ৩টে ৩২ মিনিট পর্যন্ত
(৪) বিকেল ৫টা ৭ মিনিট থেকে ৬টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত
(৫) সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৭ মিনিট পর্যন্ত
পঞ্জিকা ভেদে সময়ের একটু হেরফের হতে পারে।

হনুমানজিকে বলা হয় সংকটমোচনকারী। কথিত আছে, যিনি পূর্ণ ভক্তি সহকারে হনুমানজির পুজো করেন, ভগবান তার জীবনের সমস্ত দুঃখ-কষ্টের অবসান ঘটান। প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা দিনটি হনুমান বাবার জন্মবার্ষিকী হিসেবে পালিত হয়। এইদিন দান কাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হনুমান জয়ন্তীতে কিছু বিশেষ জিনিস দান করে জীবনের সমস্ত সংকট দূর করা যায়।

ছোলা হনুমানজির খুব প্রিয়। কোনো ভক্ত তাঁকে ছোলা নিবেদন করলে তিনি খুব খুশি হন এবং ভক্তের সমস্ত কষ্ট দূর করেন। হনুমান জয়ন্তীর দিন, একজন পণ্ডিতের সাহায্যে সংকল্প নিতে পারেন। হাতে দক্ষিণা, ফুল এবং জল নিয়ে সংকল্প নেবেন। এরপর প্রথমে শ্রীরামের নাম নেবেন এবং হনুমানজির মূর্তি দিয়ে তাঁর পুরানো চোল পরিষ্কার করবেন। এরপর কাপড় দিয়ে হাত মুছে কমলা সিঁদুরে জুঁই তেল ও সুগন্ধি মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। সেটি হনুমানজির পায়ে লাগাবেন। এরপর শ্রীরামের নাম জপ করবেন। হনুমানজিকে ফুলের মালা পরিয়ে এবং ধূপ-প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো করবেন। তারপর দক্ষিণা দিয়ে বেসন বা বুন্দির লাড্ডু নিবেদন করবেন। হনুমান চালিসা, হনুমান মন্ত্র, সুন্দরকাণ্ড, যে পাঠ আপনি পড়তে চান পাঠ করবেন। শেষে আরতি করে আপনার ভুলের জন্য হনুমানজির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। হনুমানজির পুজোয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ খেয়াল রাখবেন।

ছোলা নিবেদন করার পর, হনুমান বাবার পায়ে সিঁদুর দিয়ে বাড়িতে প্রধান ফটকের মাঝখানে একটি স্বস্তিক তৈরি করবেন। এটি সমস্ত ঝামেলা থেকে ঘরকে রক্ষা করে। এই বিশেষ দিনে অসহায়-দুস্থদের মধ্যে অবশ্যই গুড় এবং ছোলা দান করুন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এর ফলে জীবনের সমস্ত সংকট কেটে যায়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version