Winter Flower: শীতে গোলাপ আর গাঁদা চাষে বিশাল লাভ, সঠিক উপায়ে তৈরি করুন বাগান

।। প্রথম কলকাতা ।।

Winter Flower: শীতে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে উত্তুরে হাওয়া আর ঘোলাটে কুয়াশা, যার কারণে প্রকৃতি যেন একটু ঝিমিয়ে পড়ে। নিঝুম প্রকৃতিতেই প্রাণের ছোঁয়া জাগায় শীতকালীন ফুল। কুয়াশার আবরণ ভেদ করে শত শত ফুল মাথা তুলে জানান দেয় তাদের সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রয়েছে। শীতের উত্তুরে হাওয়া তাদের কাবু করতে পারেনি। বাগান, ছাদ, ব্যালকনি, আঙিনা, পথের ধার প্রভৃতি স্থান নানান রঙের ফুলে ভরে ওঠে। সেই তালিকায় রয়েছে কৃষ্ণকলি, গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, জিনিয়া , কসমস, পিটুনিয়া, হলিহক ছাড়াও বাগান আলো করে থাকে ফুলের রানি গোলাপ। সারা বছর এই ফুলের দেখা পেলেও শীত কালে প্রতিটি বাগানই কমবেশি নানান রঙের গোলাপে ভরে ওঠে। পৃথিবীতে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ প্রজাতির মত গোলাপ ফুল রয়েছে। শীতে যদি ফুল বাগান করার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে সৌন্দর্য আর ভালোবাসার প্রতীক লাল গোলাপে আপনার বাগান সাজাতে পারেন। বর্তমানে নানা রঙ এবং জাতের গোলাপ ফুল চাষ হচ্ছে। যেমন ক্রিমসন গ্লোরি, টিপটপ, হানিমুন, সানসিল্ক, রোজিনা, গোল্ডেন প্রভৃতি। জাত ভেদে রঙ এবং গন্ধে পার্থক্য রয়েছে।

শীতের বৈচিত্র্যময় আর নজরকাড়া ফুলের তালিকায় রয়েছে গাঁদা। এটি অত্যন্ত পরিচিত একটি ফুল হলেও মানুষের বাড়িতে সযত্নে বেড়ে ওঠে। কোনোটা দেখতে ঝলমলে হলুদ, কোনটা হলদে কমলায় মেশানো, আবার কোনটায় বা হলুদ পাপড়ির মাঝে লালের ছটা। শুধু সৌন্দর্যে নয়, এই ফুল গাছ ভেষজ গুনেও ভরা। শরীরের কাঁটা ছড়া জায়গায় গাঁদার পাতা দুর্দান্ত ওষুধের মত কাজ করে। এমনকি চোখের রোগ বা কানের ব্যাথার ক্ষেত্রেও এই ফুলের পাতার রস ব্যবহার করা হয়।

প্রকৃতির সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি করে তেমনি বাজারে চাহিদা রয়েছে চন্দ্রমল্লিকা। এই ফুলটির আদিবাস চীন দেশ। আপনি চাইলে শাখা কলম, চারা কিংবা বীজ দিয়ে চন্দ্রমল্লিকার চাষ করতে পারেন। চন্দ্রমল্লিকা এমন একটি গাছ যা একবার পুঁতলে আপনি বেশ কয়েক বছর রাখতে পারেন। প্রথম থেকেই বড় টবে দুই মাস মত সময় নিয়ে চারা তৈরি করতে হবে। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্বে সারবদ্ধভাবে চন্দ্রমল্লিকার চারা বসাবেন। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে গাছের ফুল ধরা শেষ হলে আপনি মাটির ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার উপরের অংশ কেটে দিলেই দেখতে পাবেন গাছের গোড়া থেকে আবার নতুন চারা বেরিয়েছে। ওই চারা ছোট টবে স্থানান্তর করে পরের বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন

শীতকালীন ফুলের বীজ, চারা আর কলমের উপযুক্ত সময় হলো অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস। তার জন্য তৈরি রাখতে হবে উঁচু জমির দোআঁশ মাটি। সমস্ত রকম ফুল এক জায়গায় নয়, পরিকল্পনামাফিক জায়গা ভাগ করে চারা রোপন করা উচিত। দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি নার্সারিতে শীতকালীন ফুলের নানান চারা পাওয়া যায়। প্রথমে কোন ফুল গাছ চাষ করবেন তা নির্ধারণ করে নেবেন। তারপর তৈরি করবেন জমি। এমন জায়গা বাছবেন যেখানে প্রচুর রোদ পড়ে। চারা রোপনের অন্তত ২০ থেকে ২৫ দিন আগে পচা গোবর, হাড়ের গুঁড়ো, ইউরিয়া, ছাই , খোল প্রভৃতি মিশিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। ফুল চাষের জন্য জৈব সারের উপর একটু বেশি নির্ভর করা উচিত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version