।। প্রথম কলকাতা ।।
জ্যাকপট ভারতের! মাটির নীচে সোনা সাজানো স্তরে স্তরে? কী করছে বাংলাদেশ? হলুদ ধাতুতেই চমকাচ্ছে ইন্ডিয়ান ইকোনমি? সোনায় ঠাসা একটা ব্যাঙ্কেই কিভাবে কামাল করছে যুক্তরাষ্ট্র! চিন-রাশিয়াও কিছু কম নয়! জানেন বিশ্বের কোন দেশে ফলছে কত সোনা? কোন দেশের লকারে কত সোনা জমানো আছে? কী বলছে রিপোর্ট? বিপুল পরিমাণ সোনা মজুদ করে রাখতে চায় বিশ্বের প্রতিটা দেশ। সোনা সংরক্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত ও। এমনকি সোনা মজুদের দিক থেকে ভারতের থেকে অনেকটাই পেছনে রান করছে বাংলাদেশ।
প্রতি বছর ভারতকে সোনা আমদানি করতে হয়। কিন্তু গত কয়েক বছরে ভারতের অনেক জায়গায় সোনার খনির হদিস ও পাওয়া গেছে। এরমধ্যে কর্ণাটকে ৮৮% সোনার মজুদ রয়েছে, ১২% সোনার মজুদ অন্ধ্র প্রদেশে, ০.১ টনের কম মজুদ ঝাড়খণ্ডে। এছাড়াও ওড়িশার ৩ জেলা দেওঘর, কেওনঝার ও ময়ূরভঞ্জতে পাওয়া গেছে সোনার খনি। সম্প্রতি, জম্মু-কাশ্মীরেও নতুন কয়েকটা সোনার খনির হদিশ পেয়েছেন ভূবিজ্ঞানীরা, তবে সেখান থেকে কবে বাণিজ্যিকভাবে সোনা উত্তোলন করা হবে, তা এখনও জানা যায়নি। তাহলে কী সোনা উৎপাদনে আশা দেখাচ্ছে ভারত ও?
তথ্য বলছে সারা বিশ্বে ৩ হাজার টন সোনা উত্তোলন করা হয়। আর ভারতে প্রায় ১.৬ টন সোনা উৎপাদিত হয়। সোনা উত্তোলনে বিশ্বে ভারত রয়েছে ৬০ নং এ। মোট ৭৯৪.৬ টন সোনা মজুত রয়েছে ভারতে। সেদিক থেকে তালিকায় ভারতের স্থান নবমে। কিন্তু বাংলাদেশ? জানেন কী? ভারত, ইউক্রেন, আরব আমিরাত থেকে সোনার বার আমদানি করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ হিসেবে ১৪ টন সোনার মজুদ নিয়ে বিশ্বে ৬৬তম স্থানে রয়েছে শেখ হাসিনার দেশ।
আর যুক্তরাষ্ট্র? ধারেকাছে ঘেঁষা দায়। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের রিপোর্ট অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সোনা মজুত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীর ব্যাঙ্কে। সেখানে বর্তমানে ৮১৩৩ টন সোনা মজুদ রয়েছে। সোনা মজুত রাখার ক্ষেত্রে আমেরিকার ধারে কাছে নেই অনেক দেশ। সোনা মজুদ এর দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ জার্মানি। এই দেশে মজুত রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৩৫৫ টন সোনা। জার্মানির পর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ, ইতালি। এই দেশে রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৪৫২ টন সোনা। এর পরের তিনটি দেশ যথাক্রমে রাশিয়া, চিন ও সুইজারল্যান্ড। অন্যদিকে, সোনা মজুতের তালিকায় প্রায় দেউলিয়া হতে বসা পাকিস্তান রয়েছে ৪৬ তম স্থানে।
জানিয়ে রাখি, গোল্ড মাইনিং একটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বিজনেস যার উপর একমাত্র অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া প্রতিটি মহাদেশেই কাজ করছে। আসলে, জাতীয় মুদ্রাকে শক্তিশালী করার জন্য জমা করা হয় সোনা। অর্থনৈতিক মন্দার সময় সংরক্ষিত সোনা দেশের অর্থনীতি পরিচালনার সময় শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে কাজ করে। ঠিক এই বিশ্বের অধিকাংশ দেশ একটু একটু করে সোনা মজুদ রাখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম