।। প্রথম কলকাতা ।।
ভুতুড়ে শহরই কাল। এবার দেউলিয়া হয়ে যাবে চীন? রিয়েল এস্টেট সেক্টরে বড়সড় ধস। এ কোন দিন এলো? বেজিং এর দানবীয় অর্থনীতির ভয়াবহ রুপ দেখছে গোটা বিশ্ব। গোড়ায় গলদ? এই সঙ্কট থেকে উদ্ধার হবে কী করে শি এর দেশ? কুলকিনারা পাচ্ছে না বেইজিং। বড় বড় আবাসন, লাখ লাখ ফ্ল্যাট। আর এতেই হিতে বিপরীত। মুখ থুবড়ে পড়লো বেজিং। চীনা অর্থনীতির কালো দিন শেষ হওয়া এতো সোজা নয়। বেজিং এর বিভীষিকা কাটছেই না। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, গোড়ায় গলদ রয়েছে। শি এর নীতি নির্ধারণেই যত ভুল।
আবাসন খাতের হিস্যা দিয়ে চীনা ইকোনমিকে সমৃদ্ধ করার ছক ভেস্তে গেল। পরিষ্কার কথা চীন ডিফ্লেশনের ট্র্যাপে পড়ে গেছে। বেজিংয়ের আবাসন খাতের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান এভারগ্রান্ড গ্রুপ ঋণগ্রস্ত। চীনের আরও একটি বড় নির্মাণসংস্থা কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিংস। সেই সংস্থাও বর্তমানে দেউলিয়া হতে বসেছে। আসলে, মুদ্রাস্ফীতি রোধ করতে চীন সরকার নির্মাণশিল্পে হিউজ ইনভেস্ট করেছিল। সাধারণ মানুষের হাতে কাঁচা টাকা তুলে দিতে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছিল নির্মাণের মহাযজ্ঞ। সারে সারে বহুতল নির্মাণ করিয়েছিল। রাজপথ থেকে অলিগলি, শুরু হয়েছিল নির্মাণকাজ। বড় বড় আবাসন, বাড়ি তৈরি হয়েছিল কিন্তু সবটা প্ল্যানমাফিক এগোয়নি।নির্মাণকাজে দেশের শ্রমিকদের নিয়োগ করে পরিশ্রমের বিনিময়ে তাঁদের হাতে টাকা তুলে দেওয়া ছিল টার্গেট। সেই টাকা লেনদেনের মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে উঠবে বাজার। মুদ্রাস্ফীতি ঠেকানো যাবে, কিন্তু বাস্তবে আদৌ হলো কী?
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বাড়িঘর বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এত নতুন বহুতল তৈরি হয়েছে যে, সেখানে থাকার লোক নেই। সাধারণ মানুষ গাঁটের কড়ি খরচ করে সেখানে থাকার কথা ভাবছেনই না। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা না থাকায় মোটা টাকা খরচে কেউ এগিয়ে আসছে না। মার খাচ্ছে জিনপিংয়ের নির্মাণশিল্প ফলে চীন জুড়ে শুধুই ভুতুড়ে শহর খা খা করছে। চিনের মানুষের একটা বড় অংশের মধ্যে সম্প্রতি সরকারের প্রতি বিরূপ মনোভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। করোনা অতিমারির পর থেকেই চীনা নাগরিকরা অতি সচেতন আর সঞ্চয়ী হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি আউট অফ কন্ট্রোল হতে চলেছে। চিন সরকার নিজেদের তৈরি বহুতল নিজেরাই ভাঙতে বাধ্য হচ্ছে। একের পর এক বহুতল, আবাসন ভেঙে ফেলা হচ্ছে। বাড়ি ফাঁকা পড়ে আছে। ধসে যাচ্ছে নির্মাণশিল্পের মতো অর্থনীতির শক্ত পিলার। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই সঙ্কট থেকে খুব তাড়াতাড়ি বেরোনোর কোন আশা নেই। বরং, আরও খারাপ দিন জিনপিংয়ের জন্য অপেক্ষা করে আছে। তাহলে কী যে চীন একের পর এক দেশকে ঋণ দিত, তাদের ঋণের ট্র্যাপে ফেলে ছড়ি ঘোরাতো, এবার সেই চীনের কপালেই ঘনিয়ে এল অশেষ দুঃখ?
এটা তো স্পষ্ট বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে হু হু করে ধস নামছে। গত ১২ বছরেও এই পরিস্থিতি দেখা যায়নি।
নির্মাণশিল্পের এই দুর্দশা কাটাতে না পারলে আগামী দিনে জিনপিং কে আরও ভুগতে হবে, মত বিশ্লেষকদের। না, ভারত কোনও ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে না। গ্রাউন্ড রিপোর্ট কিন্তু সত্যই চাপের। চীনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম