Home delivery : এক ফোনেই খাবার, করুন অনলাইনে ফুড ডেলিভারি

।। প্রথম কলকাতা ।।

Home delivery : রান্নাবান্না করতে ভালো লাগে না কিংবা কাজের চাপে রান্না ঘরে ঢুকতে ইচ্ছা করে না। আবার সাপ্তাহিক আড্ডায় কিছু বন্ধুকে ডেকেছেন দুপুরের খাবার খেতে। বন্ধুদের সাথে গল্প করবেন নাকি রান্নাঘরেই কাটাবেন। এবার অনেক সময় কাজের চাপে অনেকেই হয়তো সারাদিনে একটা স্যান্ডউইচ বা বার্গার খেয়ে দিন কাটান। ঝামেলায় রাতে অনেকেই দুপুরে লাঞ্চ হিসেবে খেয়ে থাকেন এক প্যাকেট বিরিয়ানি বা ফ্রায়েড রাইস। অফিহ টাইমে ট্রাফিক জ্যাম সবকিছু মিলিয়ে দিনের অধিকাংশ সময় ঘরের বাইরে কাটাতে বাধ্য হচ্ছে অনেকেই। ডামাডোলে মিস করে মানুষ ঘরের খাবার। তাই খুব দ্রুত সহজে রান্না করা যায় এমন খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে এখনকার ব্যস্ত প্রজন্ম। আবার অন্যদিকে সবজি, ভাত পাওয়া যায় এমন রেস্টুরেন্ট হাতে গোনা। আবার সেগুলোতে ঘরোয়া রান্নার স্বাদটা ঠিক ভাবে পাওয়া যায় না।

এসব ঝামেলা যদি মিটে যায় মাত্র একটা ক্লিকে তবে কেমন হয়? যদি অনলাইনে অর্ডার দেওয়া যায় ঘরের তৈরি নানান রকম দেশি খাবার হোম ডেলিভারি পাওয়া যায় তবে ব্যাপারটা কেমন হয়।

বর্তমান যুগে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাড়িতে তৈরি করা খাবারের অনলাইন হোম ডেলিভারি। মানুষ এখন অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। তেল, চড়া মশলা দেওয়া খাবারের থেকে তারা মুখ ফিরিয়েছে। সেজন্য বাড়িতে তৈরি সাদামাটা খাবারের এখন কদর অনেক বেশি। অনেক মহিলারা রয়েছেন যারা সুস্বাদু রান্না করে শুধু ঘরের মানুষের শুকনো তারিফের পাশাপাশি তারা খুঁজে পাচ্ছেন উপার্জনের পথ।

যে কোনো ব্যবসাতে প্রধান হল পুঁজি। খুব কম মানুষ বড় অংকের পুঁজির নিয়োগ করে ঝুঁকি নেওয়ার সাহস করেন। খাবার ডেলিভারি পরিষেবা ব্যবসার সুবিধা হল রেস্টুরেন্ট সাজানো, রক্ষণাবেক্ষণ এসবে খরচ থাকে না।

আগে ঠিক করতে হবে আপনি কোন ধরনের খাবার বিক্রি করতে চাইছেন। নিজের এলাকায় বা শহরের বাজার ঘুরে দেখতে পারেন। বিভিন্ন কর্পোরেট অফিস স্কুল-কলেজের ক্যান্টিনে কোন কোন ধরনের খাবার বেশি অর্ডার করা হয় একটু খোঁজ নিতে পারেন। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেবেন ফাস্টফুড নাকি চাইনিজ বা দুপুরের খাবার হিসেবে ভাত ডাল মাছ খাবার ডেলিভারি পরিষেবায় বিক্রি করবেন।

বাড়িতে জায়গা থাকলেই একটি আলাদা রান্না ঘর তৈরি করতে পারেন। এছাড়া রান্না ঘর ভাড়া করে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। যাতে সহজেও দ্রুত পরিষেবাটি সরবরাহ করা যায়। এছাড়া জায়গাটি যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যকর হয় এই ব্যাপারে খুব গুরুত্ব দিতে হবে।

ব্যবসা শুরু করতে হলে কয়েটি লাইসেন্স করতে হয়। যেমন ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, স্যানিটারী লাইসেন্স ফায়ার লাইসেন্স, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন এসব লাইসেন্স নিতে হয়। অনেক সময় বিভিন্ন এজেন্সি দায়িত্ব নিয়ে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় লাইসেন্স করিয়ে দেয়। আপনার যদি আগে থেকেই কোনো কর্পোরেট অফিস মার্কেট বা স্কুল কলেজের ক্যান্টিনগুলোর সাথে টাই আপ হয়ে থাকে তবে নিশ্চিন্তে খাবার সরবরাহ করতে পারবেন। তবে আজকাল অনলাইনে খাবার অর্ডার করার বিষয়টিকে মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। তবে আপনি চাইলে একটা ওয়েবসাইট খুলে নিতে পারেন। প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র ফুড ডেলিভারি কোম্পানির উপর নির্ভর করাই ভালো।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version