দশমীতে এই নিয়মগুলি মানুন, সৌভাগ্য উপচে পড়বে!

।। প্রথম কলকাতা ।।

দশমীর দিন অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত! তাহলেই সুখ শান্তিতে ভোরে উঠবে আপনার জীবন। আর এমন কিছু কাজ আছে যেগুলি দশমীর দিন একদমই করা উচিত নয়। জানেন কি কি? আজ আপনাদের জানাবো দশমীর নিয়ম কানুনের কথা। বিজয়া দশমী মানেই মন খারাপের পালা! মা চলে যাবেন। আবার বছর ভরের প্রতীক্ষা! শাস্ত্রমতে, দশমীতে মা দুর্গা অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভ শক্তি সঞ্চার করেন। বিশ্বাস করা হয়, এদিন কয়েকটা নিয়ম পালন করলে জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে, অভাব-অনটন দূর হয়, সৌভাগ্যের দেখা মেলে!

জানেন কি কি করা উচিত দশমীর দিনে?

দশমীর সকালে দুর্গার চরণে সিঁদুর অর্পণ করার পর বাকি সিঁদুর চরণে ছুঁইয়ে বাড়ি নিয়ে আসুন, সারা বছর পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে সকলেই ব্যবহার করুন। মা দুর্গার বিসর্জনের পর একটি পাত্রে কিছুটা চন্দন, অল্প সিঁদুর, অল্প কর্পূর, একটি পান এবং অল্প গো চোনা নিয়ে একসঙ্গে বেটে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তার পর ঘরের ভেতরে যে কোনও পবিত্র স্থানে সেই মিশ্রণের পাত্রটির সামনে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরের দিন সকাল থেকে পর পর সাতদিন সেই মিশ্রণটির টিকা কপালে পরুন।

দশমী পুজো হয়ে যাওয়ার পর মা দুর্গার ঘটের কাছ থেকে একটি পদ্মফুল নিয়ে এসে হলুদ কাপড়ে মুড়ে বাড়ির দক্ষিণ-পুর্ব কোণে ঝুলিয়ে দিন। দশমী পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার সময় সাদা বা নীল অপরাজিতা ফুল নিবেদন করুন। পৌরাণিক ধারণা অনুযায়ী, দশহরা ও বিজয়াদশমীর দিন শমী গাজের পুজো অত্যন্ত ফলদায়ী। মহাভারত কালে শমী গাছেই অস্ত্র লুকিয়ে ছিলেন পাণ্ডবরা। এর পরই কৌরবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করেন তাঁরা। বিজয়াদশমীর দিন বাড়ির পূর্ব দিকে শমী গাছের চারা প্রতিষ্ঠিত করে রীতি মেনে পুজো করা উচিত।

এই কাজগুলি করলে অবশ্যই আপনার জীবনে এবং আপনার পরিবারে সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। আর কি কি করবেন না সেটাও জেনে নিন! দশমীর দিন কোনও চামড়ার জিনিসই ব্যবহার না করা ভালো বলে উল্লেখ রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্রে।

এদিন যেকোনো ব্যক্তির নিজের মনের মধ্যে ব্যাপ্ত নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, বদঅভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। লঙ্কাধিপতি রাবণ বিদ্বান ছিলেন। কিন্তু কাম, ক্রোধ, লোভ ও মোহের নাগপাশে জর্জরিত রাবণ হিতাহিতজ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। রাবণ বধ করে রাম সমস্ত সংসারে এই বার্তা পৌঁছে দেন যে, লোভ, অহংকার, নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ব্যক্তির পতনের কারণ। জ্ঞানী, ধর্ম পরায়ণ, পরম শক্তিশালী, বিদ্বান হওয়া সত্ত্বেও রাবণের মনের মধ্যে ব্যপ্ত অন্ধকার তার সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এই দিন এই সমস্ত মন থেকে মুছে ফেলুন। দেখবেন ফল পাবেন। সুখ সমৃদ্ধিতিতে ভরে উঠবে আপনার জীবন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version