NATO: আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যোগ দিল ফিনল্যান্ড, পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি মস্কোর

।। প্রথম কলকাতা ।।

NATO: মঙ্গলবার ন্যাটো (NATO) সামরিক জোটে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিল ফিনল্যান্ড (Finland)। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ৩১তম সদস্য হিসেবে যোগ দিল দেশটি। ন্যাটোতে যোগদানের পরই “পাল্টা ব্যবস্থা” নেওয়ার হুমকি দিয়েছে মস্কো (Moscow)। ন্যাটোতে ফিনল্যান্ডের যোগদান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) জন্য একটি বড় ধরনের কৌশলগত আঘাত বলেই মনে করছেন অনেকে। ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার ১,৩৪০ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এছাড়াও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের ফলে রাশিয়ার বাল্টিক সাগরে প্রবেশের পথ আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়ল।

ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেক্কা হাভিস্তো ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দফতরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে একটি অফিসিয়াল নথি হস্তান্তরের মাধ্যমে ন্যাটোতে যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ ফিনল্যান্ডকে সদস্য পদে স্বাগত জানিয়ে উল্লেখ করেছেন যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ন্যাটো সম্প্রসারণের বিরোধিতাকে তার আক্রমণের একটি যুক্তি হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন।

স্টলটেনবার্গ ব্রাসেলসে বলেছেন, “তিনি (পুতিন) ঠিক উল্টোটা পাচ্ছেন…ফিনল্যান্ড আজ এবং শীঘ্রই সুইডেনও জোটের একটি পূর্ণাঙ্গ সদস্য হয়ে উঠবে।” অন্যদিকে ক্রেমলিন বলেছে যে ফিনল্যান্ডের যোগদানের জন্য “পাল্টা ব্যবস্থা” নিতে বাধ্য হবে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, এই পদক্ষেপ ইউক্রেনে সংঘাত আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি করেছে।

ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগদানের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া সোমবার বলেছে যে তারা পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তাদের সামরিক সক্ষমতা জোরদার করবে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ন্যাটো সম্প্রসারণ “আমাদের নিরাপত্তা এবং রাশিয়ার জাতীয় স্বার্থের উপর সীমাবদ্ধতা”। তিনি বলেন, ফিনল্যান্ডে ন্যাটো সামরিক মোতায়েন মস্কো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

ইউক্রেন সরকারও ফিনল্যান্ডের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক টেলিগ্রামে লিখেছেন, “এফআই সঠিক পছন্দ করেছে। ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোও একটি মূল লক্ষ্য।”

সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগদানের জন্য গত বছর একসঙ্গে আবেদন করলেও ন্যাটো সদস্য তুরস্ক এবং হাঙ্গেরি সুইডিশ আবেদনটি আটকে রেখেছে। সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রোয়েম সাংবাদিকদের বলেন, “এটি সুইডেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন… তুর্কি পার্লামেন্ট বা হাঙ্গেরির পার্লামেন্টের আর কোনো বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই।”

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version