।।প্রথম কলকাতা।।
Niya pooja: সংস্কৃতে পুজো শব্দের অর্থ হল ভগবানের আরাধনা করা। তাঁর নাম নেওয়া। মনে মনে সর্বশক্তিমানের পায়ে নিজেকে সপে দেওয়া। আর এমনটা যাতে ঠিকভাবে হয় তা সুনিশ্চিত করতেই শাস্ত্রে সহজ কিছু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।যে নিয়মগুলি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললে ঠাকুর ঘরের পবিত্রতা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনই মন শান্ত হয়।
ঠাকুর পুজো আমরা কেন করি? অবশ্যই আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য। কিন্তু জানেন নিত্য পুজো করার সময় কতগুলি নিয়ম মেনে যদি না চলা হয় তাহলে ঠাকুর ঘর এবং ঠাকুরের পবিত্রতা ক্ষুন্ন হয়। নিত্য পুজো করার সময় বেশ কয়েকটি বিষয় আমাদের সকলের মাথায় রাখা উচিত।
অনেক বাড়িতেই নম নম করে নিত্য পুজো সারা হয়। এমন ভাবে পুজো করার থেকে না করাই ভালো। কারণ এক মনে দেবের আরাধনা না করলে কোনও সুফল পাওয়া যায় না। পুজো শুরুর আগে মন ও মস্তিষ্ক শান্ত রাখতে হয়। ক্লান্তি থেকে বেরিয়ে পরিষ্কার জামা কাপড় পরে প্রদীপ ধূপ ধুনো জ্বালিয়ে পুজো শুরু করা উচিত।
সকালের থেকে পবিত্র সময় সারা দিনে আর কখনও হয়না। তাই এই সময় এক মনে সর্বশক্তিমানের আরাধনা করলে যে সুফল মিলবে তা দিনের অন্য সময় পুজো করলে মেলে না। তাই সকাল বেলা উঠে স্নান সেড়ে শুদ্ধ শান্ত মনে ভগবানের পুজো করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। নিত্য পুজো করার আগে পরিষ্কার একটা কাপড় দিয়ে প্রথমে ঠাকুরের ছবি মূর্তি পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর ঠাকুর ঘর ভালো করে ধুয়ে মুছে নিয়ে পুজোয় বসতে হবে। পুজো করার সময় প্রদীপ জ্বালাতে হবে।সে ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হলো ঠাকুরের আসনের দু কোনায় দুটি প্রদীপ জ্বালাতে হবে। একটি জ্বালাতে হবে পূর্ব দিকে মুখ করে, অন্যটি উত্তর দিকে মুখ করে।
শাস্ত্রমতে পুজো করার সময় কখনও মাটিতে বসা উচিৎ নয়। পুজো করার সময় উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখ করে বসে দেবের আরাধনা করতে পারেন এবং আসনে বসে পুজো করতে হবে। পুজো করার সময় যে দেবতার পুজো করছেন তাঁর মন্ত্র উচ্চারণ করতে ভুলবেন না। নিত্য পুজো করার সময় ফুল দিয়ে ঠাকুরকে সাজিয়ে তুলবেন। এছাড়া শাস্ত্র মতে নিত্য পুজো করার আগে যদি গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতে পারেন তাহলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম