Ellora Caves Mystery: এই গুহা দিয়ে অন্য পৃথিবীর রাস্তা, রহস্যময় মন্দির! গেলে মাথা ঘুরে যাবে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Ellora Caves Mystery: এই মাটির নীচেই রয়েছে আরেকটা পৃথিবী,আর তার রাস্তা রয়েছে ভারতের একটা গুহার ভিতর! অজন্তা ইলোরা গুহার নাম শুনেছেন? এখানেই রয়েছে এমন এক রহস্যময় এলাকা , যা কীভাবে তৈরি হল তা তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা খুঁজে পাননি। চলুন ঘুরে আসি অবাক করা সেই পৃথিবী থেকে।

ভারত তো মন্দিরের দেশ আর সেখানে এক এক মন্দিরের নেপথ্যে এক এক রহস্যে ঘেরা কাহিনী। কিন্তু কোনও মন্দিরই যদি আপনাকে পৌঁছে দেয় অন্য কোনও পৃথিবীতে তাহলে? মন্দিরের ঠিক নীচ বরাবর এক অদ্ভুত গুহা। আর সেটাই নাকি পৌঁছে দেয় একেবারে অন্য শহরে। আর এই মন্দির হলই ভারতের সবথেকে বিস্ময়কর শিবমন্দির। অনেকেই বলেন এমন মন্দির নাকি মানুষের পক্ষে তৈরি করা সম্ভব নয়

ভালো করে দেখুন এই মন্দিরের ছবি। এটা ইলোরার ১৬ নম্বর গুহা যা কৈলাস মন্দির নামে পরিচিত। আর্কিওলজিস্টরা বলেন যেভাবে এই মন্দির তৈরি হয়েছে, তাতে এই ধরনের পাথর কেটে কিন্তু সেটা বলাটা যতটা সহজ করাটা ততটা নয়। বিজ্ঞান বলছেন এই মন্দির বানানোর জন্য প্রায় ৩ লক্ষ টনের কাছাকাছি পাথর কেটে সরাতে হয়। তা তৈরি করতে মোটামুটি ১২ লক্ষ বছর সময় লাগাবার কথা।

কিন্তু ইতিহাস বলছে, কৈলাস মন্দির মাত্র ১৮ বছরের নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রচলিত আছে, রাষ্ট্রকূট রাজা প্রথম কৃষ্ণের সময় ৭৫৬ খ্রিস্টাব্দের দিকে ৭৭৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই ১৮ বছরের মধ্যেই মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল। অর্থাৎ ১৮ বছরে ৩ লক্ষ টন পাথর কাটা হয়। যা অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রশ্ন ওঠে শুধুমাত্র ছেনি হাতুড়ি দিয়ে পাথর কেটে কীভাবে এত তাড়াতাড়ি নির্মাণ করা সম্ভব?

তাইতো অনেকেই বলেন মানুষ নয়, ভীনগ্রহীরা নাকি এসে বানিয়ে গেছিল এই মন্দির। শুধুমাত্র ছেনি হাতুড়ি দিয়ে পাথর কেটে কীভাবে এত তাড়াতাড়ি নির্মাণ করা সম্ভব এমন অদ্ভুত মন্দির? এদিকে তখন ক্রেন বা কোনো আধুনিক যন্ত্রপাতিও ছিল না। এর থেকে বের হওয়া পথ কোথায় নিয়ে যায়? সত্যিই কি এর সঙ্গে অন্য পৃথিবীর যোগ আছে? এই মন্দির ঔরঙ্গজেব ১০০০ জন সৈন্য প্রায় ৩ বছর ধরে মন্দির ভাঙার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মানুষের তৈরি মন্দির মানুষই ভাঙতে পারেনি তাহলে কারা করেছিল মন্দির? স্বয়ং ঈশ্বর নাকি ভিনগ্রহীরা?

সাধারণত কোনও পাথরের গুহা খনন হয় বাইরে থেকে ভেতরের দিকে। এই কঠিন এবং জটিল পদ্ধতিকে বলা হয় ‘কাটিং মনোলিক পদ্ধতি’। কিন্তু ইলোরার ১৬ নম্বর গুহায় অবস্থিত কৈলাস মন্দির উপর থেকে নিচের দিকে পাথর কেটে নির্মাণ করা হয়। যা সত্যিই এক বিস্ময়কর ঘটনা। প্রথমে পাথরগুলি উপর থেকে কাটা শুরু হয় এবং মাঝখানে এক বিরাট আয়তাকার পাথরের চারিদিকে ১১০ ফুট গভীর গর্ত করা হয়। এরপর মাঝখানের ওই পাথরটিকে কেটে কেটে বিভিন্ন কারুকার্য এবং ভাস্কর্যের সমাহারে বানানো হয় এই কৈলাস মন্দির।

জিওলজিস্টদের মতে মন্দিরের নিচে আছে এক ভূমিগত গুহা। যেখানে যাওয়ার রাস্তা সাধারণ মানুষের জন্য এখন বন্ধ। আর ঠিক এই দরজার পিছনে আছে একটি সুরঙ্গ পথ। যেটি অনুসরণ করে মানুষ একটি ভূগর্ভস্থ শহরে পৌঁছে যেতে পারেন, তবে সেখানে যাওয়া সকলের বারণ। https://www.facebook.com/100069378195160/posts/703758128613454/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz

Exit mobile version