।। প্রথম কলকাতা ।।
Colourful Watermelon: তরমুজ মানে সবুজ মোড়কের মধ্যে টকটকে রসালো লাল রঙের ফল। যার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগণ। তবে চেনা ছকের বাইরেও যে তরমুজের রং হতে পারে এটা অনেকের কল্পনাতেও আসে না। আমাদের পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে এমন জায়গা, যেখানে তরমুজ কাটলে লাল নয় পাবেন হলুদ আর সবুজ রং। খেতে এক্কেবারে স্ট্রবেরি এবং আনারসের মতো। প্রায় ৫ থেকে ৬ রকমের তরমুজ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বর্ধমানের কৃষক হাসিবুল রহমান। ব্যতিক্রমী ঘরানার বাইরে তরমুজ চাষ করে তিনি বেশ ভালই লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন। মাত্র তিন মাসের মধ্যে ৮ বিঘা জমিতে চাষ করে তরমুজ বিক্রি করে পেয়েছেন প্রায় এক লক্ষ আশি হাজার টাকা।
পূর্ব বর্ধমান রায়নার ২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা হাসিবুল রহমানের এই ব্যতিক্রমী ঘরানার চাষ পদ্ধতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। তাঁর ৮ বিঘা জমিতে চাষ করা বিভিন্ন রকম তরমুজের চাহিদা তুঙ্গে ছিল, এমনকি তাঁকে তরমুজ বিক্রি করার জন্য লুকিয়ে বিক্রি করতে হত। আসলে হাসিবুল চেয়ে ছিলেন এমন একটি বিকল্প পদ্ধতিতে চাষ করতে যেখানে মানুষ আলু বা ধান চাষের ধারাবাহিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন, কারণ বর্তমানে সারের দাম থেকে শুরু করে কৃষিক্ষেত্রে এতটা পরিমাণ খরচ বেড়ে গিয়েছে যে বহু কৃষক লাভের মুখ দেখতে পান না। অথচ সেই গতানুগতিকতা আঁকড়ে ধরে একই জমিতে আলু কিংবা ধান চাষ করে আসছেন।
এই গতানুগতিকতার বাইরে এসে তিনি তাঁর ৮ বিঘা জমিতে চাষ করেছিলেন ৫ থেকে ৬ রকমের তরমুজ। এমনকি এই তরমুজের একেকটির ওজন প্রায় ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। কোনোটার ভিতরের রং সবুজ , কোনোটার রং ভিতরে লাল কিংবা হলুদ। স্বাদেও একেবারে ব্যতিক্রম। তাইওয়ানের এক কোম্পানিতে নিযুক্ত বন্ধুকে দিয়ে বিদেশে উচ্চ ফলনশীল বীজ নিয়ে ৮ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেন হাসিবুল। তবে এই কাজে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন খড়গপুর আইআইটির কৃষিবিজ্ঞানী শান্তিরঞ্জন বাবু। হাসিবুল রহমানের জমিতে যে তরমুজ চাষ হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে গোল্ডেন রেজা, জান্নাত, মান্নাত, আরোহী, আনমোল প্রভৃতি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম