Pomegranate Farming: চাকুরিজীবীর থেকেও বেশি আয়! মুনাফা কামান বেদানা চাষে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Pomegranate Farming: ভারতে যেভাবে চিরাচরিত পদ্ধতিতে চাষাবাদ হয়ে চলেছে তা লাভ দেওয়ার বদলে ক্রমশ ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে কৃষকদের। তার উপরে আবার প্রায় প্রতি বছর কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে অনেকটা। যার কারণে কৃষকরা বর্তমানে এমন কোন বিকল্প চাষের পথ খুঁজছেন যেখানে মুনাফা বেশি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম। ভারতে বিগত কিছু সময় ধরে কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে বেদানা বা ডালিম চাষ করা শুরু করেছেন।

এই বেদানা দারুণভাবে লাভজনক চাষ হিসেবে নজর কেড়েছে কৃষকদের। কারণ এই গাছ লাগানোর পর কিছুদিন পরিচর্যা করলেই ফল দিতে শুরু করে। আর একবার এই গাছের ফলন শুরু হলে টানা ২৪ বছর পর্যন্ত গাছটি থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারবেন আপনি। যদিও স্থানভেদে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে দু চার বছর কম বেশি হলেও হতে পারে। কিন্তু একটি বেদানা গাছ আপনাকে নিশ্চিন্তে বহু বছর ফল দিয়ে যাবে।

* কী ভাবে শুরু করবেন বেদানার চাষ ?

১. কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, বেদানা চাষ করার জন্য আদর্শ সময় হল বছরের অগাস্ট থেকে মার্চ মাস।

২. এই বেদানা গাছ যেকোনো ধরনের মাটিতেই চাষ করা যেতে পারে।

৩. চারা রোপণ করার প্রায় এক মাস আগে জমিতে গর্ত খুঁড়ে রাখতে হবে। দিন ১৫ মতো খোলা অবস্থাতেই ছেড়ে দিতে হবে গর্তগুলিকে।

৪. এরপর ওই গর্তের মধ্যে ২০ গ্রাম শুকনো গোবর সার, এক কিলোগ্রাম সিঙ্গেল সুপার ফসফেট , আধা গ্রাম ক্লোরোপাইরিফসের চূর্ণ মিশিয়ে দিতে হবে।

৫. ওই মিশ্রণ গুলি ভরে দিতে হবে গর্তের মধ্যে।

৬. বেদানা চাড়া রোপণ করার পর মনে রাখতে হবে জলসিঞ্চন অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে প্রতি ৫ থেকে ৭ দিনের ব্যবধানে জল দিতে হবে।

৭. চারা গাছ থিতু হলে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠবে আর তারপর গাছে ফল আসা শুরু হবে।

* কতটা মুনাফা দেবে বেদানা চাষ ?

একটি বেদানা চারা চার বছরের মধ্যে গাছে পরিণত হয়। ওই পরিণত গাছে যদিও কিছুটা আগে থেকেই ছোট ছোট ফল ধরতে শুরু করে। তবে একবার গাছের ফলন বৃদ্ধি পেলে টানা এই গাছ নির্দিষ্ট সময়ে ফল দিয়ে যাবে আপনাকে। খেয়াল রাখতে হবে কোনভাবেই যেন অনাকাঙ্ক্ষিত পোকামাকড় বাসা না বাঁধে সেই গাছে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, একটা পরিণত ডালিম গাছ প্রায় ৮০ কিলো ফল দিতে পারে একবারে। তাই এক হেক্টর জমিতে যদি বেদানা চাষ করা হয় সে ক্ষেত্রে ফল পাওয়া যাবে ৮,৮০০ ক্যুইন্টাল পর্যন্ত। আর সেই ফল থেকে বাণিজ্যিকভাবে আয় করা যাবে ৮ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। বছরে এই পরিমাণ আয় করলে প্রত্যেক মাসে তা কত দাঁড়াচ্ছে একটু হিসেব করলেই বোঝা যাবে। অর্থাৎ এই বেদানা চাষ যে কোনো কৃষককে চাকুরিজীবীদের থেকেও বেশি রোজগার এনে দেবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version