ডাব ১৫০ টাকা! বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতেই, করুণ দৃশ্য প্রতিবেশী দেশে

।। প্রথম কলকাতা ।।

মাত্র ১ পিস ডাব ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। শপিংমল নয়, বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতেই। এই চিত্র প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের। লঙ্কা, ডিমের পর আগুন লেগেছে ডাবের দরে। অসহায় আমজনতা। কলকাতার থেকে ডবল দাম ঢাকায়। কারণটা কী? বাংলাদেশে কি ডাব কম ফলে? দুই দেশ এত গায়ে গায়ে থাকা সত্ত্বেও দামের ফারাক এতটা কেন? কোন জালে জড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশের মানুষ?

কয়েকদিন আগেই, বাংলাদেশে স্থান ভেদে কোথাও কোথাও ডাব বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। অভিযানের আগে ঢাকায় দাম ছিল ১৫০ টাকা। অভিযানের পর বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়। ভারতীয় রুপিতে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। ১০০ টাকার ডাব বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ভারতীয় রুপিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। আপাতত ঢাকায় ৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১০ টাকায় ডাব বিক্রি হচ্ছে। সেই তুলনায় কলকাতায় ডাবের দাম অনেক কম।

কেন বাংলাদেশে ডাবের দাম বাড়ছে?

এটা কিন্তু ভাববার বিষয়। শহরাঞ্চলের বাইরে গ্রামবাংলায় যে ডাবের দাম ৫০ টাকার কাছে ঘোরাঘুরি করে কিংবা তার থেকেও কম, সেটা কোন ম্যাজিকে ঢাকা বা চট্টগ্রামের মতো বড় শহরে এসে ১৫০তে পৌঁছায় ? হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায় চার গুণ। অনেকে ইচ্ছা থাকলেও ডাব কিনতেই পারেন না। অথচ ডাব অসুস্থ মানুষের জন্য কতটা প্রয়োজন বলুন তো। দেশটাতে কিন্তু ডাবের ফলন নেহাত কম নয়। সব থেকে বেশি ডাবের চাষ হয় লক্ষীপুর, বাগেরহাট আর নাটোর অঞ্চলে। নারকেল উৎপাদনের বড় অংশ পাওয়া যায় লক্ষ্মীপুর জেলায়। প্রায় ১৪৫৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই অঞ্চলের প্রত্যেকটা বাড়িতেই ঢুঁ দিলে পাবেন নারকেল গাছ।

একদিকে দেশটা ভুগছে ডেঙ্গুর অত্যাধিক প্রাদুর্ভাবে, যার জেরে বেড়েছে ডাবের চাহিদা। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এমন মনে করছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য চিকিৎসকরা ডাব খাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সুযোগেই ডাব বিক্রি হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি দামে। বর্তমানে বাংলাদেশের দ্রব্য মূল্য সত্যি অস্থিতিশীল। বহু পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। কিন্তু ডাবের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কি আদৌ কোন যুক্তি রয়েছে, প্রশ্নটা বাংলাদেশের আমজনতার।

বাংলাদেশের বহু গণমাধ্যমের দাবি, গ্রাম থেকে শহরে ক্রেতার কাছে ডাব পৌঁছানোর আগে হয় প্রায় বারোটা হাত বদল। প্রত্যেকটা হাতে লাভের হিসাব রাখতে গিয়ে বাড়ছে দাম। পাইকারি দরের ডাব পৌঁছে যায় ১০০ টাকার উপর। ব্যবসায়ীদের যুক্তি, চলতি বছরে খরা থাকায় ডাবের ফলন কম। শ্রাবণ ভাদ্র মাসে ডাবের পরিমাণ কম থাকে। বৃষ্টির কারণে পিচ্ছিল গাছে উঠে ডাব পাড়ার সংখ্যাটা কমেছে। বাজারে কমেছে সরবরাহ। অথচ প্রচন্ড গরমের চাহিদা থাকে প্রচুর। তাই প্রত্যেক বছরের এই সময় ডাবের দাম বেশি থাকে। আপাতত অভিযান চালানোয় বাংলাদেশের ডাবের মূল্য কিছুটা হলেও সহনীয়। বহু অঞ্চলে ১০০ টাকার নিচেই পাওয়া যাচ্ছে ডাব।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version