Boutique Business: টেলারিং জানা আছে ? অল্প পুঁজি হাতে নিয়েই শুরু করুন বুটিক ব্যবসা

।। প্রথম কলকাতা ।।

Boutique Business: বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষের চাহিদায় বদল এসেছে। তাদের পছন্দের খাবার থেকে শুরু করে পোশাক পরিচ্ছদ সবকিছুতেই একটা নতুনত্ব খুঁজে বের করতে চাইছেন তাঁরা। আর এই পোশাক পরিচ্ছদের নতুনত্ব নিয়েই সহজ সরল উপায়ে শুরু করা যেতে পারে একটা দারুন লাভজনক ব্যবসা। ছেলে মেয়ে উভয়ই এই ব্যবসার জন্য সমানভাবে উপযোগী। তার ওপরে আপনি যদি হন একটু ক্রিয়েটিভ এবং সময়ের সাথে সাথে নিজের ফ্যাশন সেন্সকেও যদি আপডেট করে থাকেন তবে অল্প পুঁজিতে আপনার জন্য এক্কেবারে সঠিক ব্যবসা হল বুটিকের।

সাধারণত এখন মানুষ ফিউশন পোশাক পরিচ্ছদ পড়তে বেশ পছন্দ করেন। তাই আপনাকে ওয়েস্টার্ন কালচারের ডিজাইনের সাথে পুরনো কিছু ডিজাইনের মেলবন্ধন কিংবা ভারতীয় পোশাকের মেলবন্ধন ঘটাতে হবে। আর তারপর গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী তৈরি করে দিতে হবে তাদের স্বপ্নের পোশাক। তাহলেই কেল্লাফতে। এক্ষেত্রে যদি আগে থেকেই আপনার টেলারিং জানা থাকে তাহলে সোনায় সোহাগা। এখন বুটিকের ব্যবসা ভীষণভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নিজের পছন্দের পোশাক ঠিক কেমন হবে তার একটা ওভারভিউ দিলেই কিছুদিনের মধ্যে সেটি আসলে তৈরি হয়ে চলে আসছে। এটাই তো গ্রাহকরা চাইতেন এতদিন। কিন্তু সবার পক্ষে বড় বড় ডিজাইনার দিয়ে ডিজাইন করা তো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে টেলারিং সহ বুটিকের ব্যবসা অল্প পুঁজিতেও দারুন ফল দিতে পারে।

* বুটির ব্যবসা শুরু করতে কতটা পুঁজি প্রয়োজন ?

ছোট ব্যবসা হিসেবে বুটিক শুরু করতে গেলে আপনাকে হাতে নূন্যতম ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা রাখতে হবে। কারণ বুটিকের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং ভালো মানের কাপড় কিনতে শুরুতেই এই পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হবে। আর যদি বড় ব্যবসা হিসেবে বুটিক খুলতে চান সেক্ষেত্রে হাতে এক লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় নামতেই পারেন। পরবর্তীতে নিজের সুবিধা অনুযায়ী ব্যবসায় যত বিনিয়োগ করবেন ততই লাভের পরিমাণ বাড়বে।

* বুটিক ব্যবসায় কী কী সরঞ্জাম প্রয়োজন ?

এই ব্যবসার জন্য প্রথম ধাপে প্রয়োজন কিছু ভালো মানের ট্রেন্ডিং প্রিন্টের কাপড়, সেলাই মেশিন সহ সূচ- সুতো, কাঁচি, স্কেল ,ফিতা, ডাইস, বিভিন্ন রং অর্থাৎ টেলারিং এর সমস্ত জিনিস।

* কীভাবে শুরু করবেন বুটির ব্যবসা ?

১) এই ব্যবসা শুরু করতে গেলে সর্বপ্রথম আপনাকে টেলারিংয়ে নিজের হাত পাকা করতে হবে । এছাড়াও একটা পোশাক নিজে থেকে ডিজাইন করে তৈরি করার মত জ্ঞান রাখতে হবে।

২) নিজের বুটিক এমন একটি জায়গায় তৈরি করবেন যা জনবহুল। বাড়িতে বসেও অনলাইনের মাধ্যমে দারুণভাবে এই ব্যবসা করা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে নিজের ব্যবসা প্রচারের দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। ভীষণভাবে ব্যবহার করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়াকে।

৩) অল্প দামে কোথায় আপনার ব্যবসার কাঁচামাল মিলবে সেই খোঁজ রাখতে হবে। অর্থাৎ ভালো মেটেরিয়ালের ট্রেন্ডিং ছিট কাপড় সহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক জিনিস কোথায় অল্প টাকায় পাওয়া যায় তা খুঁজে বের করতে হবে।

৪) বুটিকের পোশাকের ক্ষেত্রে দাম নির্দিষ্ট রাখা কিন্তু খুব প্রয়োজন। প্রথমত আপনার নিজের তৈরি করা স্যাম্পল পোশাক গুলির দাম নির্দিষ্ট রাখবেন। অন্যদিকে গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী তৈরি করা পোশাকের ক্ষেত্রেও সঠিক দাম ধার্য করবেন। প্রথম দিকে অল্প লাভ রাখতে পারেন। তাতে কাস্টমারের কাছে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

* বুটিক ব্যবসায় কি লাভজনক ?

বর্তমানে বুটিক এমন একটি ব্যবসা যেখানে গ্রাহক ধরে রাখতে পারলে মাসের শেষে কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার টাকা জুড়বে শুধুমাত্র লাভের খাতায়। প্রথমদিকে গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে হবে। তখন লাভের পরিমাণ নিজে থেকেই কিছুটা কম রাখুন। পরবর্তীতে আপনার ব্যবসা যখন ধীরে ধীরে বড় হবে, আরও পুঁজি বিনিয়োগ করতে পারবেন তখন লাভের পরিমাণও বাড়তে শুরু করবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version