Nil Sasthi Mahadev: জানেন মহাদেবের জন্ম কীভাবে হয়েছিল? নীল ষষ্ঠীতে এই ভুল করলে সর্বনাশ!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Nil Sasthi Mahadev: দেবাদিদেব মহাদেব, তাঁর চেয়ে শ্রেষ্ঠ কেউ নয়। কিন্তু জানেন?ভোলেনাথের জন্ম কখন ও কীভাবে হয়েছিল? নীল ষষ্ঠীর আগে জানুন মহাদেব কাদের সন্তান? যা কেউ জানেন না। নীল ষষ্ঠীতে কোন কোন টোটকা মেনে চলবেন? এই নিয়ম মেনে চললে সন্তানের মঙ্গল হবে। শিবপুরাণ, স্কন্দ পুরাণে মহাদেব সম্বন্ধে নানা তথ্য পাওয়া যায়। শিব চেতনার কবে শুরু তার কোনও হদিশ মেলে না। পুরাণ মতে, তিনি আসলে স্বয়ম্ভূ। শিবকে কেউ সৃষ্টি করেননি। তিনি নিজে নিজেই উদ্ভূত হয়েছিলেন। সব ধ্বংস হয়ে গেলেও তিনি থেকে যাবেন। তিনি আদিঅনন্তকাল ধরে বিরাজমান। সৃষ্টি করার পর ব্রহ্মাকে মহাবিশ্ব সৃষ্টির দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিষ্ণুদেব মহাবিশ্বের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পান। একদিন ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু তাদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ? এই বিতর্কের সময় এক ঐশ্বরিক আলো আবির্ভূত হয়েছিল। যেখানে একটি বিশাল শিবলিঙ্গ ছিল।।সেই শিবলিঙ্গের উৎপত্তির সঙ্গে সঙ্গে একটি ভবিষ্যদ্বাণীও ছিল। সেই বাণীতে বলা হয়েছিল, তোমরা দুজনেই আমার দ্বারা সৃষ্টি। ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর থেকেও শ্রেষ্ঠ একজন হিসেবে মহাদেবের জন্ম হয়েছিল। এমনটাই শোনা যায়।

অন্যদিকে বিষ্ণু পুরাণ অনুসারে, একবার ভগবান ব্রহ্মা ও ভগবান বিষ্ণু মহাবিশ্বের সৃষ্টি নিয়ে বেজায় চিন্তা পরেছিলেন। ঠিক সেইসময় ভগবান শিবের আবির্ভাব ঘটে। ব্রহ্মা শিবের মূর্তি দেখে চমকে ওঠে। মনে মনে ভাবলেন, এই সুঠাম, শক্তিশালী ও সুদর্শন মূর্তি কার? সেইসময় ভগবান বিষ্ণু তাঁকে শিবের কথা জানান। এরপর ভগবান ব্রহ্মা ক্ষমা চেয়ে তাঁকে পুত্র রূপে বর চান। কিছুকাল পর যখন ব্রহ্মা ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করতে শুরু করেন, তখন তাঁর একটি সন্তানের প্রয়োজন হয়। তখন ব্রহ্মা ভগবান শিবের এই বর স্মরণ করলে তিনি শিবলাভ করেন।

https://www.facebook.com/100082942485331/posts/409160458525367/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz

ভগবান ব্রহ্মা সেই শিশুর নাম রাখেন রুদ্র। সামনেই নীল ষষ্ঠী। মায়েরা সারাদিন উপোস থেকে সন্ধেয় শিবের মাথায় জল ঢালবেন। কিন্তু মনে রাখবেন আরও বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে। সবার প্রথমে মনে রাখতে হবে। শিবের পুজো করার সময়ে যেন কোনও ভাবে শিবলিঙ্গের গায়ে আঘাত না লাগে। খুব ধীরে ধীরে শিবলিঙ্গের পুজো করতে হবে। সন্তানের মঙ্গলের জন্য গঙ্গাজলে কাঁচা দুধ, কাঁচা হলুদের রস, সাদা চন্দন মিশিয়ে শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন। আগের দিন উপোস থেকে সন্ধেয় নীলাবতীর পুজো দিয়ে নীলকণ্ঠ শিবের ঘরে বাতি জ্বালাতে হবে। মা ষষ্ঠীকে প্রণাম করার পর উপোস ভঙ্গ করতে হবে। সন্তানের দীর্ঘ জীবনের জন্যই নীল ষষ্ঠী করতে হয়। মা ষষ্ঠীর কথা মতো নীল ষষ্ঠী করে ভাগ্য ফেরে বামুন-বামনীর। সন্তানরা দীর্ঘ জীবন পাবে।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version