জন্মাষ্টমীতে লোকনাথ বাবাকে এই ভুল নিয়মে পুজো দেবেন না! এই মন্ত্রতেই লোকনাথ বাবা সন্তুষ্ট

।। প্রথম কলকাতা ।।

কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী তিথিতে তাঁর জন্ম বিপদে স্মরণ করলে সকলকে রক্ষা করেন বাবা লোকনাথ সামান্য ফুল বেলপাতাতেই সন্তুষ্ট। সামান্য উপায়ে মিলবে বাবা লোকনাথের আশীর্বাদ। কী সেই উপায়? কীভাবে করবেন পুজো? কোন মন্ত্রে আপনার ঘরে বিরাজ করবেন বাবা লোকনাথ? সংসারে টাকার টানাটানি থাকবে না! থাকবে না কোনও অভাব বাবা লোকনাথের পুজোতে কোনো ভুল করছেন না তো? জানুন একটু, রণে বনে জলে জঙ্গলে যেখানে বিপদে পড়বে, আমাকে স্মরণ করিও আমি রক্ষা করিব। তাঁর এই বাণী মেনে চলেন ভক্তেরা। বিপদে পড়লেই ডাকেন বাবা লোকনাথকে। বাবাকে সন্তুষ্ট করার সঠিক নিয়ম জানেন কি?

শোনা যায় তিনি নাকি অন্যের রোগ নিজের দেহে ধারণ করে রোগীকে সুস্থ করতেন বাবা লোকনাথ খুব অল্পতেই সন্তুষ্ট। তাঁর পুজোয় প্রধান উপকরণ নীল শামলা বা নীল শালুক সাথে রাখতে পারেন যে কোনো সাদা ফুল। আর কয়েকটা বেলপাতা। বাবা লোকনাথকে সন্তুষ্ট করতে পুজোর উপাচারে রাখতে পারেন তালশাঁস আর কালোজাম। এছাড়াও তালমিছরি কিংবা যে কোন সাদা মিষ্টি বাবার ভীষণ প্রিয়। ভক্তরা মনে করেন, বাবা লোকনাথ শিবের অবতার। তাই বাবা লোকনাথের আরাধনার আগে পুজো করতে হবে দেবাদিদেবকে। মহেশ্বরের আশীর্বাদ পেলে তবেই মিলবে লোকনাথের আশীর্বাদ।

কারোর যদি রোগভোগ যোগ বা দারিদ্র যোগ থাকে তাহলে প্রতি সোমবার বাবা লোকনাথের পুজো করলে রোগমুক্তি হয়। আর্থিক দশা ফেরে এমনই বিশ্বাস লোকনাথ বাবার পুজোর দিন কয়েকটি কাজ করলে বাবার আশীর্বাদ পেতে পারেন। মিছরি দিয়ে পুজোর পর সেই মিছরি বাচ্চাদের দান করবেন। উচ্চারণ করুন জয় বাবা লোকনাথ মন্ত্র। এই মন্ত্র উচ্চারণে মানুষের জীবনের পথ মসৃণ হয়। যে পথে কোনো বাধা থেকে না। পাশাপাশি উচ্চারণ করতে পারেন জয় শিব লোকনাথ, জয় গুরু লোকনাথ এবং জয় ব্রহ্ম লোকনাথ বলা হয়। এই মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে প্রতি সোমবার বাবা লোকনাথের পুজো করলে বাবার আশীর্বাদ পাবেনই।

সরল সাদাসিদে জীবন যাপন করতেন বাবা লোকনাথ। তাঁর সব ভক্তদেরই তিনি সমান চোখে দেখতেন, সবাইকেই বুকে টেনে নিতেন। তাঁর আরাধনা করলে সব বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় বলে তাঁর ভক্তদের মনের বিশ্বাস।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version