Dhaka Blast: ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর স্তব্ধ ঢাকা, আপনজনের খোঁজ পেতে শুধুই হাহাকার

।। প্রথম কলকাতা ।।

Dhaka Blast: বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্রই বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেকেই ওই স্থানে পাগলের মতো ছোটাছুটি করছেন। আসলে তারা জানেন ওই জায়গাতে হয়ত এসে থাকতে পারে তাদের আপনজনেরা কিংবা ওই বিল্ডিংয়ের কোন দোকানে থাকতে পারে তাদের প্রিয়জনেরা। তাই তাদের খুঁজতে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলে এপাশ থেকে ওপাশ ছোটাছুটি করছিলেন বহু মানুষ। বাংলাদেশের (Bangladesh) ঢাকার (Dhaka) গুলিস্তানের এই দৃশ্য অত্যন্ত মর্মান্তিক ছিল।

‘সময় টিভি’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিস্ফোরণের (Blast) খবর পাওয়ার পর থেকেই ওই এলাকায় অবস্থান করা ব্যক্তিদের পাগলের মত খোঁজ নিতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। যারা নিজেদের আপন জনের খোঁজ পাননি তারা ঘটনাস্থলে হাজির হন। ৭ই মার্চ বিকেল ৪টে ৫০ এর দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের নর্থ সাউথ রোডের একটি ভবনের নিচের তলায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এখনো পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের কারণে শতাধিক আহত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের, তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার। তারা অনুমান করছে, এটি গ্যাসে জনিত কোন বিস্ফোরণ হতে পারে, তবে এখনো তদন্ত চলছে। তদন্তের পরেই বোঝা যাবে এটি দুর্ঘটনা নাকি কোন নাশকতা। উদ্ধার কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ১১টি ইউনিট।

বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে এখন থমথমে এলাকা। যারা এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তারা এখনো ভয়ে আতঙ্কিত। তাদের কাছে মনে হচ্ছিল যেন গোটা পৃথিবীটাই কেঁপে উঠেছে। বিস্ফোরণে মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তারা। একদিকে ছিল রঙের উৎসব, অপরদিকে শবে বরাত। মানুষ খুশি মনে কেনাকাটা করছিলেন। তারপর আচমকাই সেই সময়ে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে সিদ্দিক বাজার। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৭ জনের। বহুতলটি ভেঙে পড়ায় বহু আবাসিকও সেখানে আটকে পড়ে থাকেন। আপাতত যতগুলি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই মৃত্যু হয়েছে মাথায় আঘাত লাগার কারণে। এখনো উদ্ধারকার্য চলছে।

ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিদ্দিক বাজারের বিস্ফোরণ এক অবকাঠামগত হত্যাকান্ড। এমনটাই দাবি করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। তার অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকার মতো একটা জায়গায় সরকারের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ গুলোর কার্যক্রম যেভাবে কাজ করতে দেরি করেছে তা চরম ব্যর্থতা এবং এটা নৃশংসতার বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশের একের পর এক এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। অথচ দেশবাসী তার কোনো কারণ জানতে পারছে না। যেমন ভোরে নাটোরে, বিকেলে সিদ্দিক বাজারে, তার আগে সাইন্স ল্যাবে, এর আগে সীতাকুণ্ড অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে তার কারণ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট প্রকাশ্যে আসছে না কিংবা কোন সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে না বলে মনে করছেন তিনি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version