।। প্রথম কলকাতা ।।
Avocado Farming: অ্যাভোকাডো নামক ফলটি ভারতীয় ফল নয়, যার কারণে এই ফলের সঙ্গে এমন অনেক মানুষই রয়েছেন যারা পরিচিত নন। বিদেশের বাজারে এই ফলের চাহিদা খুব বেশি। হালকা জলখাবারের অ্যাভোকাডো (Avocado) খেতে পছন্দ করেন অনেক মানুষ। তবে ভারতেও (India) বর্তমানে অ্যাভোকাডোর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু ভারতে অ্যাভোকাডো সেই ভাবে চাষ করা হয় না তাই বাজারে এর দাম খানিকটা বেশি। তবে ভারতে এই ফলের চাষ শুরু করলে লাভবান (Profitable ) হতে পারবেন কৃষকরা তা একপ্রকার নিশ্চিত।
কাঁচা অ্যাভোকাডো ফল হিসেবে তো খাওয়া হয়। একইসঙ্গে স্যালাডে ব্যবহার করা হয়। টোস্টের সাথেও অ্যাভোকাডো অনেকটা বাটার কিংবা জ্যাম- জেলি মতো খাওয়া হয়। এই ফলটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী । কারণ এই ফলের মধ্যে চিনির পরিমাণ খুব কম থাকে। আর শিশুদের অ্যাভোকাডো খাওয়ানো স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। কারণ এই ফলের মধ্যে যথেষ্ট পুষ্টিগুণ রয়েছে , যা শিশুদের যকৃতকে সুরক্ষিত রাখতে পারে । এমনকি শুনলে আশ্চর্য হবেন এই ফল মাতৃদুগ্ধের বিকল্প হিসেবেও খাওয়ানো যেতে পারে শিশুদের । অ্যাভোকাডো বিদেশি ফল হলেও চাষ করতে এমন কিছু প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না।
জেনে নিন কীভাবে চাষ করবেন অ্যাভোকাডো (Avocado Farming) ?
- প্রথমত এই ফল চাষ করার জন্য এমন জমি নির্বাচন করতে হবে যেখানে কোনোভাবেই জল দাঁড়ায় না। সেই জমিতে যেন রোদ এসে পড়ে এবং জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুব ভালো হয়। অ্যাভোকাডো চাষ করার জন্য উঁচু জায়গা এবং উর্বর দো-আঁশ মাটির প্রয়োজন হয় । যেখানে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে সেই সকল জায়গায় অ্যাভোকাডো ফল খুব ভালোভাবে চাষ করা যায়।
- এই ফলের চারা রোপণ করার সময় বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয় । যেমন ধরুন প্রতিটি চারা গাছের মধ্যে দূরত্ব রাখতে হবে ৮ থেকে ১০ মিটার। মাটি তৈরি করার জন্য গর্ত খনন করে সেখানে ইউরিয়া, গোবর সার এবং টিএসপি সারের সঙ্গে মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে ১২ থেকে ১৫ দিন রেখে দিন । তারপর সেই গর্তের মধ্যেই চারা রোপণ করা হবে । সারা বছরের মধ্যে মোট তিনবার সার প্রয়োগ করতে হয় । প্রথমবার গাছে ফল ধরার পর দ্বিতীয়বার বর্ষার আগে আর তৃতীয়বার হল বর্ষার শেষে।
- গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ শুষ্ক মরশুমে ১০-১৫ দিন পর পর সেচের প্রয়োজন হয় । এই গাছে নানান ধরনের পোকামাকড়ের উপদ্রব দেখতে পাওয়া যায়। তাই প্রয়োজনমতো কীটনাশক স্প্রে করতেই হবে।
- অ্যাভোকাডো গাছে ফুল আসে শীতের শেষে । আর ফল পাকার আদর্শ সময় হল অগাস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ । এই গাছের ফল পুরোপুরি পেকে গেলে কিন্তু ঝরে পড়ে না । আর তখনই সঙ্গে সঙ্গে এই ফল সংগ্রহ করা হয় না। কিছুদিন গাছের মধ্যেই রেখে দেওয়া হয়। আর তারপর ফলটিকে সংগ্রহ করে নেওয়া হয়।
বলাই বাহুল্য অ্যাভোকাডো একটি স্বাস্থ্যসম্মত ফল। এই গাছ বহুদিন পর্যন্ত বাঁচে। আর এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কপার, ভিটামিন , ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ,আয়রনের মত উপাদান । কলায় যে পরিমাণ পটাশিয়াম মজুত থাকে তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায় এই ফলে। এছাড়াও আমাইনো এসিড এবং স্যাচুয়েটেড ফ্যাট এই ফলে বিদ্যমান। যা কোলেস্ট্রল কমানো থেকে শুরু করে ত্বক উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম