দলাইয়ের ভোলবদল, চীনের সাথে মিশে যাচ্ছে তিব্বত? বড় গেম খেলছে চীন, শত্রুর ফাঁদে পা দিলেই বিপদ

।। প্রথম কলকাতা ।।

‘চিরশত্রু’ চীনের সঙ্গে কি আপোসের পথে হাঁটছেন দলাই লামা? ৬ মাসের মধ্যেই ভোলবদল। কি চাইছেন তিব্বতি ধর্মগুরু? সত্যিই কি তিব্বতের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের সমীকরণ পাল্টে যাবে? পুরনো দিনগুলো বেমালুম ভুলে গেলেন, সব প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কী জলে গেল? চীন নিয়ে অকপট দলাই লামা। শত্রুর ডাকেই সাড়া দিলেন দলাই লামা। দিব্যি বেজিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়ে গেলেন তিব্বতি ধর্মগুরু। তিব্বতের লোকেদের আবেগকে হাতিয়ার করে চীনের সঙ্গে আপোসের পথে হাঁটছেন দলাই লামা। চেনা সমীকরণ বদলে যাচ্ছে।

পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে, তিব্বতের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে গোটা বিশ্বে যখন প্রতিবাদ করে চলেছেন তিব্বতিরা। সেই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে দলাইয়ের সম্পর্কে নয়া মোড় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। চীন যোগাযোগ করতে চাইছে আর তাতেই তিনি রাজি? বলছেন চীন এখন বুঝতে পারছে, তিব্বতের লোকেদের আবেগ অত্যন্ত শক্তিশালী। আর তিব্বতের সমস্যাকে মেটানোর জন্য চীন তাঁর সঙ্গে ঘরোয়া ভাবে হোক বা আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগাযোগ করতে চাইছে, এতে তিনিও তৈরি। তিব্বতের সমস্যা নিয়ে চিনের সঙ্গে কথা বলতে তিনি রাজি।

একই সঙ্গে জানালেন চীনের উপর তার কোনো রাগ নেই। সাফ জানালেন তাঁরা চীনেরই অংশ, চিনের সঙ্গেই থাকবেন। মোটেও স্বাধীনতা চাইছেন না। বরং চাইছেন, তিব্বতিদের বিশেষ আইডেন্টিটিকে গুরুত্ব দিক চিন। কারণ, চীন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তিব্বতের প্রতি চিনের যে নেতারা খারাপ ব্যবহার করেছেন, তাঁদের প্রতিও তাঁর রাগ নেই। তাঁর কথায়, চীন ঐতিহাসিক ভাবেই বৌদ্ধদের দেশ, সেটা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। বিশ্বশান্তির বার্তা দিয়ে নব্বই ছুঁইছুঁই তিব্বতি ধর্মগুরু ১০০ বছর বাঁচার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

কিন্তু, হঠাৎ করে এই সুর বদলের কারণ? ১৯৫৯ সালে কিন্তু চিনা অভিযানের মুখে পড়েই তিব্বত ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন দলাই লামা। টানা পাঁচ দিন ধরে পার্বত্য পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছেছিলেন ভারতে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও চিনের কাছে সে বার সার্বভৌমত্ব ত্যাগে বাধ্য হয়েছিল তিব্বত। দলাই লামা কি তা হলে সেই সব দিন ভুলে গেলেন? ভয়ঙ্কর শক্তিশালী চিনের থেকে আলাদা হয়ে তিব্বতিদের পৃথক দেশের জন্য লড়াই নিয়ে তো কম কথা হয়নি। এই ইস্যুতে বেশ কয়েক জন তিব্বতি আত্মঘাতীও হয়েছেন। সব প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কি তা হলে জলে গেল? উত্তর দেবে সময়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version