টিকিং টাইম বম্বে ফেঁসে চীনা অর্থনীতি! অঙ্ক ঘোরানোর ছক ? কীর্তি দেখে হাসছে যুক্তরাষ্ট্র

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনা অর্থনীতির কালো দিন শেষ? বিভীষিকা কাটিয়ে বেরোতে চাইছে বেজিং। অঙ্ক ঘোরানো এতো সহজ হবে কী? সরকার এখন কী করছে? বাইডেনের “টিকিং টাইম বম্ব” কমেন্টে কেন গাত্রদাহ চীনের? আবাসন খাতের হিস্যা দিয়েই চীনা ইকোনমিকে সমৃদ্ধ করার ছক। চীন যে ট্র্যাপে পড়েছে তা থেকে উঠে দাঁড়ানো সহজ না হলেও অসম্ভব নয়। ডিফ্লেশনের জালে জড়িয়ে গেছে চীন। কিন্তু উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ত্রুটি রাখছেনা দেশটা।

অর্থনীতিকে চাঙা করতে নতুন নতুন পদক্ষেপ করছে বেজিং। যেমন দেশটার শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলো ফের ঋণের সুদ কমানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে নিয়মকানুন শিথিল করা হচ্ছে। কিছুটা হলেও বিশ্লেষকরা আশার আলো দেখছেন বৈকি। চীন যা করছে তাতে আবাসন খাতে পতনের ধারা থামবে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কিন্তু আবাসন খাত নিয়ে এতো মাতামাতি কীসের? আগে হিসেবটা কিন্তু বুঝতে হবে। চীনা ইকোনমিতে আবাসন খাতের হিস্যা এক-তৃতীয়াংশের বেশি। তাই আবাসন খাতের এই সংকট দেশটার অর্থনীতির জন্য বড় রিস্কের। বিশ্লেষকেরা তো বলছেন, ২০২১ সালের পর এই প্রথম চীন আবাসন খাতের নিয়মকানুন সহজ করছে। এটা কিন্তু বেশ তাৎপর্যপূর্ণ একটা বিষয়। এতে বাজারে আত্মবিশ্বাস ফিরবে, আবাসন খাতের পতন রোধ করা সম্ভব হবে। আবাসন খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়বে।

না শুধু এটুকুই নয় অর্থনীতিকে চাঙা করতে ঋণ নেওয়ার নিয়ম সহজ করার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখার পরিমাণ কম করা হয়েছে। মূলত দেশটার মুদ্রা ইউয়ানের দরপতন ঠেকাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটিই কি ঘুরে দাঁড়াবে চীনের অর্থনীতি? শত্রুদেশ তেমন সম্ভাবনা দেখছে শূণ্য শতাংশ। ঝোপ বুঝে কোপ মারছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনের অর্থনীতিকে ‘টিকিং টাইম বম্ব’ মানে ক্রমশ এক বড় বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন। যদিও শি জিংপিং এমন দাবি উড়িয়ে পাল্টা দিয়েছেন। বলেছেন চীনের অর্থনীতি টেকসই, এর সম্ভাবনা দারুণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতেও চীন আসলে নিজেই নিজের কম্পিটিটর। চীনের এখনকার যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সেটাকে আসলে ‘ধীরগতি’ বলা হচ্ছে আগের বছরগুলোর দুর্দান্ত সাফল্যের সঙ্গে তুলনা করে।
সেই অনুযায়ী দেখতে গেলে চীনের অর্থনীতির জন্য এটা বিরাট পতন। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে, এই প্রবৃদ্ধি এখনো অনেক বেশি।

কিন্তু চীনের ইকোনমিক্যাল কন্ডিশন নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শঙ্কায় আছেন। তারা চাইছেন, সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিক। অথচ যারা দায়িত্বে আছে, তারা কাজ করছেন দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য মাথায় নিয়ে। তারা জানে, কাগজে-কলমে হলেও, চীনে এখনো প্রবৃদ্ধির বিরাট সুযোগ। চীন বিশ্ব অর্থনীতির এক বিরাট চালিকাশক্তি।
তাহলে কী বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে হু হু করে ধস নামছে, এই খবরটা চীন ছাড়া বাকি বিশ্বে খুব বেশি এফেক্ট ফেলছে? উত্তর অধরা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version