জিনপিংয়ের থেকেও পাওয়ারফুল চীনের প্রিমিয়ার! ক্ষমতা কীভাবে ছিনিয়ে নেওয়া হল?

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং কতটা পাওয়ারফুল? শি-য়ের হাতের পুতুল কীভাবে হলেন তিনি? মোদীর সঙ্গে আলাদা বৈঠকের সম্ভাবনা লি-য়ের। নতুন ঝামেলা জি২০ থেকে নয় তো? কী শিখিয়ে পাঠানো হচ্ছে? চীনা প্রেসিডেন্ট ভারতে আসলে যা আয়োজন করা হত চীনের প্রধানমন্ত্রী বা প্রিমিয়ার আসায় কী ততটাই গুরুত্ব দেবে দিল্লি? সংবিধান বলছে জিনপিংয়ের থেকে ক্ষমতা বেশি লি-য়ের তাহলে কেন তাঁকে পুতুল বানিয়ে রাখা হল? চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা পার্থক্য কতটা?

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সংবিধান অনুযায়ী চীনের রাষ্ট্রপ্রধান হলেন দেশের প্রেসিডেন্ট বর্তমানে যে পদে রয়েছেন শি জিনপিং আর সরকারের প্রধান হলেন প্রিমিয়ার বা প্রধানমন্ত্রী যে পদে রয়েছেন লি কিয়াং। সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের কর্তৃত্ব সীমিত এবং বেশিরভাগই ক্ষেত্রেই তাঁর ক্ষমতা সংরক্ষিত অর্থাৎ, তিনি সুপারিশ করতে পারেন মাত্র। অন্যদিকে, প্রিমিয়ারের হাতে সরকারে নির্বাহী অংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাহলে শি জিনপিং কীভাবে এত ক্ষমতাবান হয়ে গেলেন? জিনপিংই কি কেড়ে নিয়েছিলেন সব অধিকার? বিশেষজ্ঞদের দাবি চীনা রাজনৈতিক ব্যবস্থার এক এমন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সচরাচর পশ্চিমী দেশগুলিতে তো বটেই এমনকি কমিউনিস্ট ব্যবস্থাতেও দেখা যায় না।

প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিনের সময় থেকে প্রেসিডেন্ট পদটিই চীনের সবথেকে ক্ষমতাধর পদ হয়ে ওঠে কারণ সেই সময় থেকে প্রোটোকল অনুযায়ী দেশের প্রেসিডেন্ট একই সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব সিসিপি সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান পদেও আসীন হন এই দুই পদ সবথেকে শক্তিশালী। কারণ বেজিংয়ে কমিউনিস্ট পার্টিই সরকারের নিয়ন্ত্রক শক্তি এবং সরকারের ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করে সামরিক বাহিনী। তাই খাতায় কলমে, চিনা প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোৎস্থায়ী কমিটির ৭ সদস্যের সমান। আর এই পলিটব্যুরোই চীনের সমস্ত ক্ষমতা এবং নীতির উৎস। এবার বুঝতে পারছেন কীভাবে ক্ষমতার সিফ্ট হয় একপদ থেকে আরেক পদে অনেকেই বলছেন বেজিং প্রধানমন্ত্রীকে না পাঠিয়ে তো চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং-ই কে পাঠালে বোধহয় কাজে দিত।

প্রিমিয়ার হলেন স্টেট কাউন্সিল বা চীনের মন্ত্রিসভার প্রধান। মন্ত্রীদের এবং সরকার চালানো তাঁর দায়িত্ব তবে, তিনি বলতে গেলে সরকার চালানোর যন্ত্র ছাড়া কিছু না। নীতি নির্ধারণ, সামরিক নিয়ন্ত্রণ, প্রচার, কর্মীদের সংগঠিত করার মতো কোনও ক্ষমতাই তাঁর নেই। এমনকি বিদেশনীতি নিয়েও বিশেষ কোনও কাজ তিনি করতে পারেন না। এই সব ক্ষমতাই থাকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির হাতে বা, বলা ভাল প্রেসিডেন্টের হাতে। তবে হ্যাঁ এটাও ঠিক চীনা প্রেসিডেন্ট পরই চীনে খাতায়কলমে যিনি ক্ষমতাশালী তিনি হলে লি কুয়াং মানে দেশের প্রধানমন্ত্রী।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version