China-Taiwan Conflict: তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া চীনের, চটল যুক্তরাষ্ট্র! এত শত্রুতার কারণটা কী?

।। প্রথম কলকাতা ।।

China-Taiwan Conflict: চীনের (China) আচরণ অসংযত, যা একেবারেই ভালো লাগছে না যুক্তরাষ্ট্রের (US)! রীতিমত চীনকে সংযত আচরণের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি তাইওয়ানের (Taiwan) প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন স্পিকারের বৈঠকের পর বেশ ক্ষেপেছে চীন। তার জেরে সামরিক মহড়া চালানো শুরু করে দিয়েছে ড্রাগনের দেশ। ৯ এপ্রিল, রবিবার (Sunday) দ্বিতীয় দিনের এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ৭১টির বেশি যুদ্ধবিমান। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, চীনের এমন ধরনের পদক্ষেপ চক্ষু রাঙানি ছাড়া আর কিছুই নয়। চীন এর মাধ্যমে নিজের শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছে। চীন সম্প্রতি সামরিক মহড়া চালাচ্ছে তাইওয়ান ঘিরে জল ও স্থলপথে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যদি আমেরিকায় কোন ধরনের কূটনৈতিক বৈঠক হয় তার ফল ভালো হবে না, যা সরাসরি বলেছিল চীন। যদিও বিষয়টিকে পাত্তা দেয়নি তাইওয়ান আর যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাইওয়ান প্রণালীর কাছে ঘুরে বেরিয়েছে, সুখোই ৩০ সহ ৭১টি বেশি যুদ্ধবিমান। যার মধ্যে ৪৫ টি তাইওয়ান প্রণালী পেরিয়েছে।

‘জাগরণ'( হিন্দি) এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাইওয়ান নিয়ে চীন ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিদিনই কোনো না কোনো দ্বন্দ্ব সামনে আসছে। সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ​​ইং-ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র সফরে চীন ক্ষুব্ধ হয়েছে এবং এর পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছে। রবিবার তাইওয়ানের সীমান্ত এলাকায় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। অন্যদিকে আমেরিকাও তাইওয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে। সর্বোপরি কেন চীন এবং আমেরিকা (চীন-মার্কিন সম্পর্ক) তাইওয়ান নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তার নেপথ্যে রয়েছে কিছু কারণ।

গত বছর তৎকালীন মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেছিলেন, তার পর থেকে তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ক্রমাগত শত্রুতা বাড়তে থাকে। ন্যান্সির সফরের আগেই চীন হুমকি দিতে শুরু করলেও সাবেক মার্কিন স্পিকার তার সফর শেষ করেন এবং তাইওয়ানের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন। প্রকৃতপক্ষে ন্যান্সির সফরের মাধ্যমে, আমেরিকা দেখিয়েছে যে চীনের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে তারা তাইওয়ানকে সমস্ত সম্ভাব্য সহায়তা দেবে এবং চীনকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আধিপত্য করতে দেবে না। যার কারণে তাইওয়ান চীন ও আমেরিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

চীন তাইওয়ানকে তার অংশ হিসেবে বিবেচনা করে এবং এই বিষয়ে সাংহাই ঘোষণাও জারি করেছে। যদিও ১৯৭২ সালে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এই ঘোষণা অনুসরণ করে এক চীন নীতি প্রণয়ন করেছিলেন, কিন্তু আমেরিকা এখনও তার স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয় না। এই নীতির অধীনে, আমেরিকা তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসাবে বিবেচনা করে, তবে এটিও দেখায় যে তারা তাইওয়ানের পাশে থাকবে এবং যুদ্ধের ক্ষেত্রে তাইপেইকে সামরিক সহায়তা দেবে।

আসলে চীন সীমান্তের কারণে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে আমেরিকা। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনকে আধিপত্য বিস্তার করতে না দিতে এবং বিশ্বে তার আধিপত্য বজায় রাখতে আমেরিকা এসব করছে। বলতে গেলে যুদ্ধ চীনের জন্য সহজ নয়, ইউক্রেন তাইওয়ান নয়। চীন বহুবার তাইওয়ানে হামলার হুমকি দিয়েছে। তাইওয়ানের সীমান্ত পেরিয়ে বেশ কয়েকবার সামরিক মহড়াও করেছে। কিন্তু তাইওয়ানের সঙ্গে যুদ্ধ চীনের জন্য সহজ সহজ হবে না। আসলে তাইওয়ান ইউক্রেনের মতো কম শক্তিশালী দেশ নয়। প্রযুক্তি ও আধুনিক অস্ত্রের দিক দিয়েও তাইওয়ান ইউক্রেনের চেয়ে বহুগুণ বেশি সমৃদ্ধ। তাই রাশিয়া ইউক্রেনে যেভাবে হামলা করেছে, তা করা চীনের পক্ষে অতটাও সহজ হবে না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version