মোদীর গদি কাড়তে চীনের ইভিল প্ল্যান! ২০২৪ ভোট কন্ট্রোল, ভারত আটকাতে পারল কি ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনের বড় ইভিল প্ল্যান ভারতের ভোট কন্ট্রোল করার আবারও। ভারতের ভেতরেই বসে চলছে গোপন কাজ ২০১৪-২০১৯ এ ফেল হয়ে এবার বেজিংয়ের বড় চ্যালেঞ্জ মোদী যাতে কোনওভাবেই না হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী চীন কি এভাবেই বাংলাদেশের নির্বাচনও কন্ট্রোল করবে? ২০২৪এ বড় কিছু করার ষড়যন্ত্র ধরা পড়ে গেল কীভাবে ভারতীয়দের ব্রেনওয়াশ করতে চাইছে চীন। ইজরায়েলের টিম জর্জের থেকেও কী খতনাক টিম চায়না? ২০২৪ ভারতের হবে লোকসভা নির্বাচন কিন্তু সেটা কন্ট্রোল করবে চায়না তাও আবার ভারত থেকেই কীভাবে? আগেও কী এমনই চেষ্টা করা হয়েছিল যাতে চীন দাহা ফেল হয়। ইভিএম নিয়ে বড় গেম নাকি চীনের ফান্ডিংয়ে হবে ভারতজুড়ে অ্যান্টি মোদী প্রচার? টিম জর্জ কারা একটু পরে আসছি সে বিষয়ে।

অপপ্রচারের কৌশলের প্যাটার্ন বদলে দেওয়া হচ্ছে দ্রুত যাতে কেউ ধরতে না পারে। আগে ভারতের বুকেই ‘নিউজক্লিক’ নামে একটি মিডিয়া পোর্টালে চীনের বিলিয়ন বিলিয়নের বিনিয়োগ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। নেভিল রায় সিঙ্ঘম নামে এক মার্কিন ধনকুবের সিঙ্ঘমের এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য বিকৃত করে ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বেসিক্যালি অভিযোগ ছিল তেমনটাই। এবারের যা খবর তাতে বদলে গেছে স্ট্র্যাটেজি। ২০১৯র নির্বাচনের আগেই বিবিসির এক রিপোর্ট চমকে দিয়েছিল। ভারতের ২০১৯ সাধারণ নির্বাচনের আগে হোয়াটসঅ্যাপ প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে নানা ধরনের মিথ্যে তথ্য ছড়ানো এবং অপপ্রচার চালানোর বড় অভিযোগ উঠেছিল। তবে এবারের মেটা চীনকে দায়ী না করলেও ইঙ্গিত স্পষ্ট সেদিকে। একাধিক মিডিয়ার খবরের হেডলাইন তুলে ধরছে এমনি কিছু তথ্য। আর সেটা থেকেই জলের মতো পরিস্কার চীনের শি জিনপিংয়ের ব্লাড প্রেসার দ্বিগুণ হয়ে যাবে যদি ভারতে ২০২৪র নরেন্দ্র মোদীর সরকার আসে আর মোদীই হন নেক্স প্রধানমন্ত্রী। সেজন্যই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরকেই ম্যানুপুলেট করার চেষ্টা?

এক রিপোর্ট যেখানে পরিস্কার গোটা গোটা অক্ষরে বলা হচ্ছে ৪৭৮৯ ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভেট করে দিয়েছে মেটা। মেটার দাবি এটা দিয়েই ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার বড় চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেটা কীভাবে? আপনি বলতেই পারেন চীনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ভারত বা আমেরিকার ভোটে অশান্তি কীভাবে সৃষ্টি করতে পারে বা এই দুই দেশের নির্বাচনকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে? ওয়াকিবহাল মহল বলছে একদম পারে। আর এক্ষেত্রে রিস্ক অনেকটাই বড়। ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। বিশেষজ্ঞদের দাবি সোশ্যাল মিডিয়াই যেহেতু মানুষের জীবনে বড় অংশ জুড়ে রয়েছে মানুষ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপে যা দেখে তাই বিশ্বাস করে। সেক্ষেত্র এরা লক্ষের ওপর বেশি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কোনও ভারতের নির্বাচন বা রাজনীতি সংক্রান্ত কোনও ভুয়ো বা ফেক নিউজ তৈরি করে তা ছেড়ে দেয় বাজারে। এবার একসঙ্গে বহু অ্যাকাউন্ট থেকে একই খবর দেখা গেলে। বেশি বেশি শেয়ার হলে তাতে বেশি লাইক পড়লে তা স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে যে কোনও মানুষ। সাধারণ মানুষের কাছে এখন এতো সময়ও নেই যে সে সব খবর ভেরিফাই করে দেখবে। যার ফলে মানুষের মনও বদলাতে পারে। আর এসব অ্যাকাউন্টের কাজই চলবে ভোটের ঠিক আগে পর্যন্ত।

আর ঠিক এই পথে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি সম্পর্কে ভুয়ো খবর ছড়ানোর বড় চেষ্টা করা হচ্ছে। আর ঠিক এই অভিযোগটাই রয়েছেয়চীনের ৪,৭০০ ভুয়ো অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে। তবে মেটার হাতে যা তথ্য এসেছে তাতে বাংলাদেশের ভোটের কোনও উল্লেখ নেই। বিবৃতি দিয়ে মেটা জানিয়েছে বন্ধ হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্টগুলো একে অপরের পোস্টগুলি শেয়ার করত এবং কিছু পোস্ট ‘‌এক্স’‌ বা পূর্বেকার টুইটার থেকে সরাসরি কপি করে গুজব ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করত। চীন কিন্তু এ নিয়ে একটা কথা বলেনি কার্যত একেবারে চুপ। শুধুই কি চীন করছে এমন কাজ এক্ষেত্রে বিশ্লেষকদের দাবি ঠিক এমন অভিযোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহুবার রাশিয়ার ওপরও এনেছিল। এক্ষেত্রে যদি কোন দেশ এক্সপার্ট হয়ে থাকে এই ভুয়ো খবর  ছড়ানোর বা নির্বাচনকে প্রবাহিত করার তাহলে সেই দেশ হল ইজরায়েলের। ইজরায়েলের আল্ট্রা সিক্সেট এজেন্সি টিম জর্জও ঠিক এই কাজটাই করে। যাদের মূল কাজই হল নির্বাচনকে প্রভাবিত করা। বিশ্বের অন্তত ৩০টা দেশের ক্ষেত্রে এই কাজটাই করেছিল এরা। তাই এবার ভারত সরকারের আইটি মন্ত্রক মারাত্মক সতর্ক ২০২৪এর ইলেকশনের আগে এধরণের সবক্ষেত্রেই কড়া নজর রাখছে ভারত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version