ইজরায়েল যুদ্ধে চীনের এন্ট্রি! কার পক্ষে সাপোর্ট ? জিনপিংয়ের উস্কানি এখানেও

।। প্রথম কলকাতা ।।

প্যালেস্টাইনকে চীনের দুহাত খুলে সমর্থন! এবার কী ছায়াযুদ্ধ বাধবে আমেরিকা-চীনের? কোন লাভের আশায় প্যালেস্টাইনকে সমর্থন করে বেজিং? প্যালেস্টাইনকে অস্ত্র সাহায্য করতে পারেন জিনপিং বড় ইঙ্গিত। ভারত ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে দিয়েছে কিন্তু যুদ্ধের আবহে চীনের প্রতিক্রিয়া কী হবে সে নিয়ে চলছিল‌ জল্পনা। শেষে শি জিনপিংয়ের সেই কথাতেই সিলমোহর দিল বেজিং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই একমাত্র সমাধান পরিস্কার জানিয়ে দিল চীন। এর মানে আবারও বিশ্ব দুটো অক্ষে ভাগ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো। আমেরিকার ঘরের লোক ইজরায়েল আর চীনের ঘনিষ্ঠ প্যালেস্টাইন দুই দেশের যুদ্ধ কি এবার আড়ালে রিচালনা করবে দুই সুপারপাওয়ার? বিশেষজ্ঞরা বলছেন থুব বেশি দিন এই যুদ্ধ চলতে থাকলে এই ধারণা একেবারেই অমুলক নয় এটা বলাই যায়।

এদিকে ইজরায়েলের যুদ্ধ পরিস্থিতির আঁচ পড়েছে মিশরেও। সেদেশের এক পুলিশকর্মীর গুলিতে মৃত্যু হল দুই ইজরায়েলি পর্যটকের। একজনের আহত হওয়ারও খবর মিলেছে। তাহলে এই যুদ্ধের আগুনে বেজিং কি নতুন করে ঘি ঢালবে? ইসরায়েলের পাশে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা অনেক দেশ। এই সংঘাতের অবসানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন আলাদা দুই স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলছে চীন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের বর্তমান উত্তেজনা ও সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনায় চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন তারা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শান্ত থাকার, সংযম চর্চার আহ্বান জানাচ্ছে। পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের‌ রক্ষায় পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না ঘটে সেজন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

একইসঙ্গে বেজিংয়ের দাবি সংঘাতের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে একটি বিষয় দেখা যাচ্ছে যে শান্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা চলতে পারে না। দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বাস্তবায়ন ফিলিস্তিনের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এই সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার মূল উপায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চীন এসব বড়বড় কথা এখন বললেও ২০২২ সালে সৌদি আরবে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে বলেছিলেন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতিতে যে পরিবর্তনই আসুক না কেন চীন অবশ্যই ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন করবে এবং তাদের পাশে থাকবে। জিনপিং এটাও বলেছিলেন ফিলিস্তিন ও চীন গত আধা শতাব্দীর বেশি সময় ধরে পরস্পরকে সমর্থন করে এবং তারা একে অপরের পরীক্ষিত বন্ধু। এরমানে এখন ইজরায়েলের শান্তির কথা বললেও আসলে এই ফাঁকে চীন বলে দিল ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্টার পক্ষেই তারা। যুদ্ধে যদি এগোয় সেক্ষেত্রে চীনের অবস্থান কী থাকবে সেটাই দেখার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version