।। প্রথম কলকাতা ।।
সাগরের মাঝেই পাঁচিল তুললো চীন? আইন ভেঙে দক্ষিণ চীন সাগর ভাগ-বাটোয়ারা? মাঝ সমুদ্রে ফেঁসে গেল ফিলিপাইন। মাছ ধরায় বাধ সাধছে ভাসমান ব্যারিয়ার। মীমাংসার সব চেষ্টাই কি তবে ফেইল করলো? চীন ফিলিপাইন সম্পর্কে বড় চির। দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিং এর দাদাগিরি সীমা পার করে গেল। সাগরে ভাসমান ব্যারিয়ার বসিয়ে দিলো চীন। আইন মানেনি বেইজিং।
রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিজেদের এলাকার মধ্যে না পড়লেও দক্ষিণ চীন সাগরে ভাসমান ব্যারিয়ার বসিয়েছে বেইজিং। ক্ষোভ বাড়ছে ফিলিপাইনের। দক্ষিণ চীন সাগরের তীরবর্তী দেশ ফিলিপাইন। অন্যান্য দেশের মতো দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে দেশটির। চীনের এই দুঃসাহস দেখে ফিলিপাইনের বলছে, সাগরের স্কারবোরোফ শোয়াল এলাকায় ভাসমান ব্যারিয়ার বসিয়েছে চীন। ফলে তাদের দেশের মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে পারছে না। এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছে চীন। তাই ফিলিপাইন বাধ্য হয়ে সমুদ্র অধিকার ও উপকূলীয় স্বার্থ রক্ষায় দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী অন্যান্য দেশের সরকারকে দ্রুত স্টেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে এটা নতুন নয়।
ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চায় বেইজিং। বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে লালফৌজ। প্রায় গোটা জলরাশি নিজেদের বলে দাবি করে ড্রাগনের দেশ। বরাবরই দক্ষিণ চীন সাগরে ঘিরে বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে আসছে জিংপিং প্রশাসন। প্রথমে সম্পূর্ণ নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে সাগরটির প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে বিতর্ক উসকে দিল বেইজিং, আর এবার ভাসমান ব্যারিয়ার দিয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লড়াইকে আরো বেশি পোক্ত করার চেষ্টা। যাতে ফিলিপাইনের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের ফাটল আরও বেশি চওড়া হলো। জানিয়ে রাখি বেশ কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ চীন সাগরের সীমানা নিয়ে চীনের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, জাপান, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের। এর আগে সাগরের সীমানা নিয়ে চীন সরকারের সাথে কথা-বার্তা বলে মীমাংসার চেষ্টায় কোনো লাভ করতে পারেনি ফিলিপাইন। আর এবার দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘনিয়ে এলো। এই জল কতদূর পর্যন্ত গড়ায়, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম